সাতটি রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি।

হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি নীলা আক্তার প্রতিদিনের মত আজকেও আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার পোস্টের বিষয় হচ্ছে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম। চলুন আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফির অ্যালবামটি শেয়ার করি।

ফটোগ্রাফি দারুন একটি বিষয়। যারা ফটোগ্রাফি করে তারা অনেক কিছু বুঝতে পারে। কোন এঙ্গেলে কোন ফটোগ্রাফি করলে সুন্দর হবে । আমি ফটোগ্রাফি তেমন ভালো পারি না। তবে যথা সম্ভব চেষ্টা করি। আর চেষ্টা করলে ধীরে ধীরে সব কিছু সহজ হয়ে যায়। আজকে আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। এগুলো আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। আমাদের এখানে কয়েকটি বাগানের ফল সহ কয়েকটি বন্য ফুলও রয়েছে। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

আপনারা দেখতে পারছেন এটি একটি জবা ফুলের ফটোগ্রাফি। জবা ফুল সম্পর্কে আপনাদের সকলেরই কমবেশি ধারণা আছে। জবা ফুল একটি উপকারী ফুল। এটি ব্লান্ডার করে চুলে ব্যবহার করলে চুল পিচ্ছিল এবং চকচকে হয়। কিছুদিন আগে কলেজে পরীক্ষা দেওয়া শেষ করে। আসার সময় আমি এই জবা ফুল টা দেখে এর ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। পিংক কালারের এই ফুল টা দেখতে অনেক সুন্দর।

এই গাছটি অনেকেই চিনতে পারছেন আবার অনেকেই চিনতে পারছেন না। এটি হচ্ছে জল কলসের গাছ। জল কলস মোহ ওষুধী গাছ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শিশুদের ঠান্ডা লাগলে জল কলস গাছের ফুলগুলো দুধের সাথে মিক্স করে বাচ্চাদের খাওয়ানো হয়।আমাদের বাড়ির ছাদে জল কলস গাছ হয়েছে এবং ফুলও ফুটেছে। তাই আমি এই ফটোগ্রাফি টা করে নিয়েছি। ফুল গুলো ছোট তবে উপকারি।

মাইকের মতো দেখতে এই ফুলটা দেখে আপনারা হয়তো চিনতে পারছেন। এটি হচ্ছে ড্রাগন ফুল। ড্রাগন ফুল বিশাল আকৃতি ধারণ করে ফুটে। এই ফুলটা ফোটার সময় শাপলা ফুলের মত মনে হয়। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি ড্রাগন ফলটা মোটামুটি ফোটার ভাব নিয়েছে তাই আমি এটার ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর ড্রাগন চাষ হচ্ছে।

আমাদের সকলের পরিচিত নয়নতারা ফুল। এই ফুলটি খুবই সহজে ফুটে। তবে নয়নতারার এই পিংক কালারের ফুল তেমন বেশি পাওয়া যায় না। সাদা কালার নয়ন তারা ফুল পাওয়া যায়। অনেকের কাছে শুনেছি নয়নতারা ফুল নাকি রূপচর্চায় ও ব্যবহৃত হয়। এটিও আমার বাড়ির ছাদের সিড়ির মধ্যে লাগানো একটি ফুলের ফটোগ্রাফি।

এই ফুলটি দেখে অনেকেই চিনতে পারছেন না। এটি হচ্ছে বন্য ফুল। রাস্তার দুই পাশে সব জায়গাতেই এই ফুল দেখা যায় । এই ফুল গাছে প্রচুর কাঁটা থাকে। আমি শুনেছি যাদের হাতে পায়ে গা হয়,তারা যদি এই ফুল গাছ পুড়িয়ে ছাই করে তারপর তেল মিশিয়ে হাতে বা পায়ে লাগায়। তাহলে পায়ের ঘা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এটি একটি ঔষধি গাছ। নদীর ধারে রাস্তায় হেটে যাওয়ার সময় ফুলটা আমার নজরে পড়লো তখন এটার ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি।

এই ফুলটির কথা তো বলতেই হবে না। এটি হচ্ছে বেগুন গাছের ফুল। বেগুন গাছের এই বেগুনি রঙের ফুলটি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাই এটির ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি। এটিও আমার ছাদ বাগানের একটি অংশ। আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবজির ফুল অনেক উপকারে আসে।

এই ফুলটির নাম হচ্ছে মাছি ফুল। এই ফুল গাছটি বাড়ির যেকোনো জায়গায় মাটিতে লাগালে খুব ভালোভাবে জন্মায়।এই গাছের পাতাগুলো খুব ছোট ছোট এবং ফুলগুলো খুব ছোট । তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে মাছি ফুল। মাঝে ফুলের এই পিংক কালার রংটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এটিও আমার ছাদেরই একটি ফুল।

বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই। আমার ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন। এই প্রত্যাশা নিয়ে আপদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ ।