জেনারেল রাইটিং:- আমি খেটে খাওয়া কৃষক ও দিনমজুরের কথা বলছি।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশে প্রায় ৮০ ভাগ মানুষই কৃষির সাথে কোনো না কোনোভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। তারা রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে, বৃষ্টিতে বজ্রপাতের আতঙ্কের মধ্যে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের জন্য ফসল উৎপাদন করে। ঠিক একইভাবে খেটে খাওয়া মানুষ যারা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের জীবন গুলো অনেকটাই সহজ হয়। খেটে খাওয়া মানুষগুলোই অন্যের জন্য অট্টালিকা তৈরি করে কিন্তু নিজে থাকে কুঁড়েঘরে। রিক্সাওয়ালা রিক্সা চালায়, একটু এলোমেলো হলেই তাদের মুখ প্রশস্ত করতে হয় চড়-থাপ্পড় খাওয়ার জন্য। কি নির্মম পরিস্থিতি আমাদের চারপাশে বিরাজমান। যেন কৃষক আর খেটে খাওয়া মানুষগুলোর জন্মই হয়েছে অন্যের হাতে চড়-থাপ্পড় খাওয়ার জন্য। আমরা তাদেরকে মানুষই মনে করি না অথচ তারা ব্যতীত আমরা চলতে পারবো না।
প্রথমত আমি কৃষকের কথাই নিয়ে আসলাম, একজন কৃষক কত কষ্ট করে ধান উৎপাদন করে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী হলেও ধানের দাম কখনও বৃদ্ধি পায় না। ধানের দাম আগের জায়গায় থেকে যায়। সিন্ডিকেটের এই বাজারে কৃষকের মাথায় হাত। তারা যদি আজকে ফসল উৎপাদন বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা না খেয়ে মরতে হবে। দিনশেষে আমরা তায় স্বীকার করিনা বরং তাদের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করি। আমাদের দৃষ্টিতে কৃষক মানেই গরীব, অসহায়, নত, নাজুক। তাদের কোন আত্মসম্মান থাকবে না, তাদের সাথে এলোমেলো হলেই তাদেরকে চড় থাপ্পড় দিব আমরা। কারণ তারা গরীব। একজন কৃষক ধান উৎপাদন করতেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়, রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। আর আমরা অপচয়ের পাহাড় বুনি।
খেটে খাওয়া মানুষের কথা ধরুন, ওরা আপনার জন্য কি না করে। যে কাজের জন্যই আপনি তাকে নিয়োগ দিবেন সে সেই কাজই করবে। বিনিময় তার মজুরি কতইবা দেন আপনি। আপনার অট্টালিকাটা সেরা ডিজাইনে তারাই তৈরি করে দিবে, আপনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবে তারা। কিন্তু সে থাকবে কোথায়, ভাঙ্গা কুঁড়েঘরে। পোশাক শিল্পের শ্রমিক যারা, তাদের তৈরি পোশাক বিদেশে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু তাদের বেতন ৫-৭ হাজার টাকা। তারা হাজার ধর্মঘট করলেও তাদের বেতন বাড়ে না। অথচ তাদের শ্রমের বিনিময়ে আপনি হচ্ছেন শিল্পপতি।
একজন রিক্সাচালক, তার পরিশ্রমের শেষ নেই। অথচ তাদের সাথে আমরা কেমন অমানবিক! একটু এলোমেলো হলেই তাদের মুখে মারি চড়-থাপ্পড়। আমরা কত হিংস্র! ফাইভ স্টার হোটেলে খেতে গেলে ১০০০ টাকা বকশিশ দিতে গায়ে লাগেনা, অথচ একজন রিকশা চালককে ১০ টাকা দিতে আমাদের কলিজা বের হয়ে যায়। কি অবাক করা বিষয়, কেমন নির্মম ভাগ্য তাদের। তাদের মতো হালাল উপার্জন কয়জনেরইবা আছে। আসুন আমরা একটু মানবিক হই, মানবতার হাত বাড়িয়ে দিই, সবাইকে মানুষ হিসেবে দেখতে শিখি। তাহলে দুনিয়াটা হবে এক সুন্দর পরিবার।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/titaherul/status/1787127676148539505?t=NsqcBZiO3cm5wfIJDahZ6w&s=19
খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষগুলো ছিল বলে আমাদের মুখে ভাত জোটে কিন্তু এই বিষয়গুলো যাদের টাকা আছে তারা কখনোই ভাবে না। কৃষক ভাইয়েরা অক্লান্ত পরিশ্রম করার মধ্য দিয়ে ফসল ফলায় এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। যাইহোক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি লিখেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো, হয়তো এটা অনেকের উপকারে আসবে।
ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমরা কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাছে চির কৃতজ্ঞ কারণ তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই আমাদের মুখে অন্ন জোটে। আমরা তাদেরকে সঠিক মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে, তাদেরকে প্রকৃত সম্মান দিতে হবে।