এবিবি স্কুল-লেভেল ওয়ান হতে আমার অর্জন -by @ti-taher

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহি ওয়া রাসূলিহিল কারীম ভালো আছি। আমি 'তাহেরুল ইসলাম' আমার বাংলা ব্লগের নতুন সদস্য। ইতিমধ্যে লেভেল ওয়ান ক্লাসের মাধ্যমে আপনাদের সাথে পরিচিত হয়েছি। লেভেল ওয়ান এর লেকচার শিট খুব মনোযোগ দিয়ে কয়েকবার পড়েছি। ক্লাসের মধ্যেও আমাদের সম্মানিত এডমিন, মডারেটরগণ লেকচার শীটের আলোকে খুব সুন্দরভাবে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতা আমি লেভেল ওয়ানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে এসেছি।
তাহলে শুরু করা যাক -

১। প্রশ্ন: কোন ধরনের এক্টিভিটিজ স্পামিং বলে গণ্য হয়?

উত্তর: স্পামিং বলতে আমরা বুঝি অপ্রাসঙ্গিক ও অবাঞ্চিত বিষয়াদি। অনেকে নিজের সক্রিয় অ্যাক্টিভিটিস দেখানোর জন্য অন্যের পারমিশন ছাড়া নিজের পোষ্টে অন্যের নাম বারবার মেনশন দিয়ে থাকে এটাও স্পামিং এর আওতাধীন। এটা ছাড়াও স্পামিং এর অনেকগুলো ধরন রয়েছে। যেমন: পোস্ট স্পামিং, কমেন্ট স্পামিং, ট্যাগ স্পামিং, ম্যানশন স্পামিং।

(ক) পোস্ট স্পামিং হচ্ছে এমন এক ধরনের স্পামিং যা বারবার একই ছবি এবং একই লেখা দিয়ে পোস্ট করা। ধরুন কোথাও ঘুরতে গেলাম, সেখানে কিছু ছবি তুললাম সে ছবিগুলো দিয়ে বারবার ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে একই ধরনের পোস্ট করলাম। এখানে একই ছবি বারবার ব্যবহার এবং একই লেখা বারবার ব্যবহার করাই হলো স্প্যামিং।
(খ) কমেন্ট স্পামিং বলতে আমরা বুঝি, যে প্রসঙ্গের পোস্ট সে প্রসঙ্গের সাথে মিল না রেখে তার বিপরীতে কমেন্ট করা। এক ধরনের কমেন্ট একাধিক পোস্টে গিয়ে বারবার করা।
(গ) ট্যাগ স্পামিং বলতে আমরা যা বুঝি, যে বিষয়ের পোস্ট সে বিষয়ে ট্যাগ ব্যবহার না করে অন্য বিষয়ের ট্যাগ ব্যবহার করা।
(ঘ) ম্যানশন স্পামিং হচ্ছে কোন ব্যক্তিকে অপ্রয়োজনে বারবার মেসেজ করা কিংবা কোন পোস্টে তার নাম মেনশন করা।

২। প্রশ্ন: ফটো কপিরাইট সম্পর্কে আপনি কি ধারণা অর্জন করেছেন?
উত্তর: প্রথমত কপিরাইট সম্পর্কে একটু ধারণা নিই- কপিরাইট হচ্ছে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রক্ষা করার একটি আইন। একজন মানুষের তার চিন্তা চেতনা মেধা দিয়ে যা কিছু আবিষ্কার করে তা দিয়ে যেন অন্য কেউ ব্যবসা করতে না পারে সেজন্যই কপিরাইট আইন তৈরি করেছে।যাইহোক ফটো কপিরাইট বলতে আমরা বুঝি, অন্যের তোলা ছবি কিংবা তৈরিকৃত ছবি ব্যবহার করতে হলে তাকে পেমেন্ট করতে হবে। এছাড়া ব্যবহার করা যাবেনা। তবে কপিরাইট ফ্রি এমন অনেকগুলো সাইট রয়েছে যে সাইটের ছবি/ইমেজগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারব তবে সোর্স উল্লেখ করে।"

৩। প্রশ্ন: তিনটি ওয়েবসাইটের নাম বলুন, যেখান থেকে কপিরাইট ফ্রি ফটো সংগ্রহ করা যায়?
উত্তর: কপিরাইট ফ্রি তিনটি ওয়েবসাইটের নাম নিচে দেওয়া হল-
http://pixabay.com/
http://pexels.com/
http://freeimage.com

৪। প্রশ্ন: পোস্ট করার সময় ট্যাগ কেন ব্যবহার করতে হয় এবং কিসের ভিত্তিতে ট্যাগ নির্বাচন করতে হয়?
উত্তর: আমরা প্রতিটা পোস্টে কোন না কোন ট্যাগ ব্যবহার করে থাকি, কারণ আমাদের এই ট্যাগগুলোর কারণে আমাদের পোস্টটিকে আমরা সহজে খুঁজে বের করতে পারি। তাই আমাদেরকে সবসময় স্মরণ রাখতে হবে যে, আমরা যেন পোস্ট রিলেটেড ট্যাগ ব্যবহার করি। তবে লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, রেসিপি রিলেটেড পোস্টে যেন আমরা ভ্রমণের কোন ট্যাগ ব্যবহার না করি একইভাবে ভ্রমণের পোস্টে যেন রেসিপি ট্যাগ ব্যবহার না করি।
আমরা সাধারণত steemit এ আটটি ট্যাগ ব্যবহার করতে পারি। তবে আমার বাংলা ব্লগে সাতটি ট্যাগ ব্যবহার করা যায়।

৫। প্রশ্ন: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কি কি বিষয়ের উপর পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ?
উত্তর: আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যে সকল বিষয়ে পোস্ট লেখা নিষিদ্ধ তা নিম্নরূপ:
(ক) পশুপাখি হত্যামূলক পোস্ট শেয়ার করা যাবে না।
(খ) ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট শেয়ার করা যাবে না।
(গ) নারীদের সম্মান বিনষ্ট হবে এমন পোস্ট করা যাবে না
(ঘ) কোন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে তার অসম্মানমূলক পোস্ট করা যাবে না।
(ঙ) চাইল্ড পর্নোগ্রাফি বা শিশুশ্রম জাতীয় পোস্ট করা যাবে না।
(চ) অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক কোন পোস্ট করা যাবে না।
(ছ) রাজনৈতিক বিভ্রান্তিকর কিংবা কোন দলের প্রশংসা, সমালোচনা, দ্বন্দ্ব নিয়ে কোন পোস্ট করা যাবে না
(জ) nsfw (not safe for work) ট্যাগ ব্যতীত যৌন বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করা যাবে না।

৬। প্লাগারিজম সম্পর্কে আপনি কি জানেন?
উত্তর: অন্যের সৃষ্ট সৃজনশীল লেখা হুবহু নকল করে অথবা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকেই প্লাগারিজম বলে। তবে অন্যের লেখাকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে নিজ জ্ঞানে ৭০% লিখলে তা প্লাগারিজমের আওতাধীন হবে না। তবে বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে সে লেখা থেকে ৩০% পর্যন্ত তথ্য নেওয়া যাবে।

৭। প্রশ্ন: re-write আর্টিকেল কাকে বলে?
উত্তর: যদি আমরা কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আর্টিকেল লিখে থাকি তাহলে সে আর্টিকেল লিখার সুবিধার্থে যে ওয়েবসাইট বা সোর্স থেকে সহায়তা নিয়ে থাকি তখন এটি re-write হিসেবে গণ্য হবে। তবে স্মরণ রাখতে হবে নিজের জ্ঞানে ৭৫% লিখতে হবে আর বাকি ২৫% সোর্স থেকে নেওয়া যাবে তবে সোর্স উল্লেখ করতে হবে।

৮। প্রশ্ন: ব্লগ লেখার সময় re-write আর্টিকেলে কি কি বিষয় উল্লেখ করতে হবে?
উত্তর: একটি ব্লগ লেখার সময় re-write আর্টিকেলে যে সমস্ত বিষয়গুলো আমাদের উল্লেখ করতে হবে তার নিচে দেয়া হল-

(ক) অবশ্যই রাইটারের রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে এবং যেখান থেকে ডাটা গ্রহণ করলাম তার সোর্স উল্লেখ করতে হবে।
(খ) re-write এর ক্ষেত্রে আমাদের নিজস্ব লেখা অবশ্যই ৭৫-৮০% হতে হবে।
(গ) সোর্স উল্লেখের মাধ্যমে আমরা ২৫% ওয়েবসাইট থেকে নিতে পারব।
(ঘ) re-write লেখার ক্ষেত্রে অবশ্য আমাদের মাথা রাখতে হবে যেই ডাটা-টা আমরা ওয়েবসাইট থেকে নিচ্ছি, সেটাই ইনভাইটেড কমার মধ্যে রাখতে হবে।

৯। প্রশ্ন: একটি পোস্ট কখন মাইক্রো পোস্ট হিসেবে গণ্য করা হয়?
উত্তর: যে পোস্ট ১০০ শব্দের নিচে এবং একটি মাত্র ছবি ব্যবহার করা হয় তাকে মাইক্রো পোস্ট বলে গণ্য করা হয়। যা আমার বাংলা ব্লগে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে ১০০ শব্দের উপরে এবং কম করে হলেও ৬-৭ টি ছবি ব্যবহার করা।

১০। প্রশ্ন: প্রতি ২৪ ঘন্টায় একজন ব্লগার সর্বোচ্চ কতটি পোস্ট করতে পারবে?
উত্তর: প্রতি ২৪ ঘন্টায় আমার বাংলা ব্লগে একজন ব্লগার সর্বোচ্চ তিনটি পোস্ট করতে পারবে।

এবিবি স্কুলের লেকচার সিট আর ক্লাসের মধ্য দিয়ে যতটা ধারণা পেয়েছি, তারই ধারাবাহিকতায় চেষ্টা করলাম লেভেল ওয়ানের পরীক্ষা সম্পন্ন করতে। যদি উত্তরপত্রে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ধরিয়ে দিবেন, তা আমি শুধরে নিব।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন এবিবি স্কুল থেকে ভালোভাবে শিক্ষা অর্জন করে ভেরিফাইড হতে পারি।

পরিশেষ, ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে।