ইদুর যখন বিড়ালের বন্ধু || রক্ষক যখন ভক্ষক হয়।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
এডিট snapseed
টাইটেলটি দেখেই আপনারা বুঝেছেন আজকের লেখাটি কি নিয়ে লিখতে চাচ্ছি। আমাদের চারপাশের রয়েছে অসংখ্য রক্ষক বেশে ভক্ষক। তাদের চলাফেরা, কলা-কৌশল যে কাউকেই প্রতারিত করতে পারে। কিন্তু আপনি তাদের চেহারাটা দেখলে কখনোই বুঝতে পারবেন না তাদের মুখোশের আড়ালে কি লুকিয়ে আছে। মুখোশটি যখন উন্মোচিত হয় তখনই বোঝা যায় তার মধ্যে একটা হিংস্র জানোয়ার বসবাস করেছিল। আর যখন বুঝেন তখন অনেক দেরি হয়ে যায়।
বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি অনিয়ম আর অনিয়ম। প্রথমত আমি যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকাই, তখন দেখতে পাই হাজারো অনিয়ম। এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। যখন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ছিল তখন মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকরা অসংখ্য মানুষ গড়ে তুলেছিল।
আর যখন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়ালো তখন মানুষ গড়ার অধিকাংশ কারিগর গুলোই অমানুষ হয়ে গেলো। এখন আর মানুষ গড়ে উঠছে না, গড়ে উঠছে অমানুষ হয়ে। টাকা ছাড়া শিক্ষক দিচ্ছে না পাঠদান। ক্লাসে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়টা নিয়ে অনিহা প্রকাশ করতেছে অধিকাংশ শিক্ষক। প্রাইভেট টিউশনের লোভে শিক্ষকেরা করতেছেন নানান সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেটের যাঁতাকলে আবদ্ধ হয়ে আছে কচি-কোমল শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি টেন্ডেন্সি দাঁড়িয়ে গেল। প্রাইভেট পড়লে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো নাম্বার দেওয়া হয়। প্রাইভেট না পড়লে শিক্ষার্থীদের ফেল করে দেওয়া হয়। তবে এটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত বলে আপনি মনে করেন? তবে আমি অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত আছি বিধায় বিষয়টি তুলে ধরতেছি। আমার কথাগুলো বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখবেন। আমি যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছি, সে প্রতিষ্ঠানে আমি নিজেই দেখেছি ম্যাথের টিচার দুজন ছিল। একটি শিক্ষকের কাছে ম্যাথের জন্য প্রাইভেট পড়লে অন্য ম্যাথের শিক্ষকটি কারণ ছাড়াই তাকে ফেল করিয়ে দেয়। এ নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অনেক বেশি আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। বরং কারণ হিসেবে দাঁড় করায় অংকের নিয়ম ঠিক নেই। শিক্ষকদের মেন্টালিটি যদি এমন নোংরা হয় তাহলে শিক্ষার্থীরা কিসের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে।
একসময় শিক্ষকেরা ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষা দিত। ছাত্র-ছাত্রীরাও মানুষের মত মানুষ হয়ে গড়ে উঠত। ন্যায়, অন্যায়ের ভেদাভেদ শিক্ষা দিত। বিপদে-আপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর শিক্ষা দিত। অভাব অনটনে ধৈর্য ধরার শিক্ষা দিত। কিন্তু বর্তমানে শিক্ষকরা তা করে না। আমি সব শিক্ষকের কথা বলছি না। বর্তমান শিক্ষকদের অসচেতনতার কারণে আজকে ছাত্রদের মধ্যে কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে কিশোর গ্যাং মানে হচ্ছে এক আতঙ্কের নাম। এই নামটি শুনলে সবার মনে একটা আতঙ্ক জন্মায়। কিন্তু এই কিশোর গ্যাং কোথায় থেকে উৎপন্ন হয়েছে? কিশোর গ্যাং কারা? এরা তো সবগুলো স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা। যাদের হাতে কলম থাকার কথা আজ তাদের হাতে অস্ত্র, কে তুলে দিল? আজকে কিশোর গ্যাং সর্বত্রই নৈরাজ্য সৃষ্টি করতেছে। তাদের কাছে শিক্ষকেরা পর্যন্ত অসহায়। এ কিশোর গ্যাং এর কাছে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত জিম্মি থাকে।
আমার এই লেখাটি চলমান থাকবে। আমি এ টাইটেলে মোট দশটি পর্ব দিব। এই ধারাবাহিক পর্বগুলোতে বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরব। যেটি বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা দৃশ্যমান। আমার লেখাটি আপনারা বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখবেন। যদি কোন ভুল ত্রুটি খুঁজে পান তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই জানাবেন। আজকের মত সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ফি-আমানিল্লাহি ওয়া রাসুলিহিল কারীম সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/titaherul/status/1799419699572396389?t=75WTTNmXBsSqhTTI7kxJVQ&s=19
খুব সুন্দর অভিজ্ঞতা শেয়ার করলে আপনি ভালো লাগলো পড়ে। যখন বিড়াল আর ইদুর বন্ধু হয় আসলেই এটি সম্পূর্ণ আশ্চর্য জনক একটি ঘটনা। বর্তমান সময়ে এমন কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যায় যারা রক্ষক আবার তারা ভক্ষকও হয়। একটি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান যখন শিক্ষাদানের কারিগর না হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরিত হয় সেখানে রক্ষক এবং ভক্ষক দুটি থাকে। একদম বাস্তব কথা শেয়ার করলেন আপনি। যে স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়বে সে স্যার বেশি নাম্বার দেবে না হয় নাম্বার দিবে না। অনেক ভালো অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আপনি আমার পুরো পোস্টটি পড়ে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি আমার জীবনের প্র্যাকটিক্যালি বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য।