স্বরচিত কবিতা: চাঁদের বুড়ি by ti-taher
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করছি ভালো আছেন। সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থল হতে মোবারকবাদ এবং সালাম আসসালামু আলাইকুম।
এডিট- thumbnail app
হ্যালো বন্ধুরা আজকে আমি আমার লেখা একটি স্বরচিত কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। ছোটবেলা থেকেই আমি লেখালেখি করতে পছন্দ করি। সেই ধারাবাহিকতা কবিতাও লিখতাম।
আমি কবিতা পড়তে খুব ভালোবাসি, সেই সুবাদে মাঝে মাঝে কবিতা লিখতে চেষ্টা করি। তবে প্রফেশনালি কবিতা লিখি এমনও না। যখনই সময় সুযোগ হতো তখনই ডায়েরি নিয়ে বসতাম কবিতা লেখার উদ্দেশ্যে।
আমি মনে করি, কবিতা পড়তে সবাই ভালোবাসে। কবিতার ছন্দে মন আনন্দে মেতে ওঠে। আমার যখন মন খারাপ হয় তখন আমি কবিতা পড়ি। আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অসংখ্য কবিতা আমি পড়েছি। যাইহোক, আমি একটি কবিতা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
তাহলে শুরু করা যাক।
স্বরচিত কবিতাঃ চাঁদের বুড়ি।
ছোটবেলায় গল্প শুনতাম দাদী নানীর মুখে
ঘুম পাড়ানির গল্প বলতো কতই না হেসে খেলে
ভয়ানক সব ভুতের গল্প বলতো কতভাবে
ভয়ের ছোটে ঘুমিয়ে পড়তাম নিজের অজান্তে।
সন্ধ্যা হলে ঘর বাহিরে বিছাইত পাটি
সবাই মিলে আড্ডা জমতো ছিলনা কোন কমতি
পুরো বাড়ি মাথা নিয়ে হৈচৈ পেলে দিয়ে
গল্প বলতো নানী-দাদী ভুত যেন এলো তেড়ে।
বাড়িঘর সব অন্ধকার, ছিলোনা কোন আলো
বৈদ্যুতিক বাতি কল্পনাতীত নানা-নানুর কাছে
চেরাগের তেল পুরিয়ে গেলো মোম যে সব শেষ
বাহিরেতে আড্ডা চলতো এটাই যেন বেশ।
হঠাৎ নানু নাতনিদেরকে বলে এক কথায়
গল্প শুনবি তোরা কেউ আরো কাছে আয়
নাতি-নাতনির আগ্রহের কমতি রইলোনা কিছু
কাছে এসে বসলো সবাই গল্প শুনবো আজি।
নানু বলে গল্প বলবো চাঁদের বুড়ি নিয়ে
চাঁদে যে এক বুড়ি আছে জানিস তোরা আগে?
নাতি-নাতনি বলে উঠলো জানি নানু ভাই
তবে বলুন বুড়ি কেমনে চাঁদে চলে যায়।
নানু বলে শুন তোরা এবার বলি আমি
এক ছিলো দুষ্ট বুড়ি কথা বলতো কুড়ি-কুড়ি!
চাঁদকে দিত জব্বর গালি, দেখাতো তার ঝাড়ু খানি
নিচে নেমে আয় চাঁদ দিব তোকে ঝাড়ুর বাড়ি।
হঠাৎ একদিন চাঁদ মামা নেমে এলো নিচে
বুড়ির দরজা কড়া নাড়লো, বুড়িকে পেতে
অমনি বুড়ি বের হল ঝাড়ু হাতে নিয়ে
চাঁদ মামা টপকে গিয়ে ধরলো বুড়িকে চেপে।
নিয়ে গেল চাঁদের দেশে দিলো না আর ফেরত
অমনি বুড়ির গালি শুরু হলো কুড়ি-কুড়ি
বুড়ির গালির প্রেমে পড়ে চাঁদ করলো তাকে বিয়ে
অবশেষে চাঁদ মামার শান্তি রইল না কপালে।
কবিতার মর্ম কথা |
---|
এক সময় গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে চাঁদের বুড়ির গল্প অনেক বেশি প্রচলন ছিল। কালের বিবর্তনে সবকিছুই হারিয়ে গেল এখন। বর্তমান প্রজন্ম চাঁদের বুড়ির কথা জানেই না। আগে দাদী-নানীরা চাঁদের বুড়ির গল্প বলে নাতি নাতনিদের ঘুম পাড়াতাম। বর্তমানে মা-বাবারা তাদের সন্তানদের মোবাইলে ভিডিও/ কাটুন দেখিয়ে দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়। যার কারণে এ প্রজন্ম ধ্বংসের পথে। কিছুদিন আগে এবিবি ফানে আমাদের সম্মানিত মডারেটর @alsarzilsiam ভাইয়ার একটি ফান পোস্ট দেখলাম চাঁদের বুড়িকে নিয়ে। সেখানে তিনি বলেছিলেন চাঁদের বুড়ি হারিয়ে গেল বর্তমান প্রজন্মের কাছে। একসময় চাঁদের বুড়িকে নিয়ে কত গল্প কবিতা লিখত কবিরা।অথচ এখন সবকিছুই হারিয়ে গেল। তো সে দিনই চিন্তা করলাম চাঁদের বুড়ি কে নিয়ে একটি কবিতা লিখার চেষ্টা করবো, সে সুবাদে আজকের এই কবিতাটি লিখলাম।
তো বন্ধুরা আজকে এতোটুকুই আশা করি সামনে আরও কবিতা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। আর যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজ আর নয়, সবার নিকট দোয়া চেয়ে এখানেই বিদায় নিলাম।
***
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।( ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://twitter.com/titaherul/status/1797134700693303736?t=1S_Xf9nHDBvpyEoPYQ-AOQ&s=19
বাহ্!!! অসাধারণ হয়েছে আপনার কবিতাটি।
আপনার কবিতার লাইন গুলো পড়ে মনে হলো ছোটবেলার সেই চাঁদের বুড়ির গল্পতে ফিরে গেলাম। এখনকার সময় কেউ আর চাঁদের বুড়ি নিয়ে গল্পও শুনায় না আর শুনতেও কারো সেই আগ্রহও দেখা যায় না। তবে আপনার কবিতা পড়ে মনে হলো এখনো কেউ চাঁদের বুড়ি নিয়ে গল্প বলে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। একজন কবির সার্থকতা তখনই ফুটে ওঠে যখন তার কবিতাটি পড়ে পাঠক তার জীবনের বাস্তবতা খুঁজে পায়। আমি সর্বদা চেষ্টা করি বাস্তবসম্মত কিছু কবিতা, গল্প লিখার জন্য।
যারা কবিতা পড়তে পছন্দ করে তারাই খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা লিখতে পারে। আপনার আজকের কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। কবিতার প্রতিটি লাইন পড়ছিলাম আর মনে হচ্ছিলো ছোটবেলায় হারিয়ে যাচ্ছিলাম। ছোটবেলায় এই চাঁদের বুড়ির গল্প অনেক শুনতাম। যাইহোক ভালো লাগলো কবিতাটি পড়ে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, আমার কবিতাটি পড়ার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি ছোটবেলার স্মৃতি তুলে ধরার জন্য। কতটুকু স্বার্থক হয়েছি তা জানি না। চাঁদের বুড়িকে নিয়ে অসংখ্য গল্প শুনেছি আমরা। আর বর্তমান প্রজন্ম এটি সম্পর্কে জানেইনা, আফসোস।
বর্তমান প্রজন্মে আসলেই চাঁদের বুড়ির সেই সব গল্প হারিয়ে গিয়েছে। আপনার লেখা কবিতাটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। কবিতাটা পড়ে ছোটবেলায় গল্পগুলো শোনার কথা মনে পড়ে গেল। প্রত্যেকটা লাইন সত্যি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ে আপনার মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। আমাদের ছোটবেলা অনেক স্মৃতি দাদী-নানীর গল্প শোনা নিয়ে। সেই স্মৃতিগুলো থেকেই এই কবিতাটি লিখা।
বাহ ভাইয়া অসাধারণ হয়েছে। আজকে আপনি চাঁদের বুড়ি নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। তবে এটিই ঠিক ছোটকালে আমরাও চাঁদের বুড়ি অনেক গল্প শুনতাম বড়দের থেকে। তবে আপনার কবিতার প্রতিটি লাইন অসাধারণ। সত্যি আপনি বেশ চমৎকার একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ার জন্য। এবং আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। হাজারো স্মৃতি বিজড়িত সময়টাকে স্মরণ করেই আমার কবিতাটি লিখা।
আপনার কবিতা পড়ে নানি দাদির কথা মনে পড়ে গেল। আমার দাদি কিন্তু এরকম গল্প বলতো আমাদেরকে। তবে এখন আর এরকম গল্প বলার কেউ নেই। আপনি চাঁদের বুড়ি কে নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। তাছাড়া আপনার কবিতার ভাষা খুবই অসাধারণ। আপনার কবিতা পড়তে পড়তে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেলো। অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটি পড়ে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কবিতাটি পড়ার জন্য। একটি কবিতার সার্থকতা তখনই আসে যখন পাঠক সেটার মাঝে বাস্তবতা খুঁজে পায়। আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো। কবিতাটি পড়ে আপনার ছোটবেলার স্মৃতি স্মরণ হলো, এটাই কবিতার সার্থকতা।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার লেখা কবিতা আবৃত্তি করে আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আসলে এমন সুন্দর কবিতা যদি উপস্থাপন করতে দেখি তাহলে আবৃত্তি করতে খুবই ভালো লাগে আমার। এত সুন্দর একটা কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার কবিতাটি পড়ার জন্য। এবং আবৃত্তি করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি বাস্তবতা নিয়ে একটি কবিতা লেখার জন্য।
ভাইয়া আপনার কবিতাটি পড়ে ছোটকালের কথা মনে পড়ে গেল। ছোট কালে এভাবে দাদী আমাদেরকে চাঁদের বুড়ি গল্প শোনাতেন। আজকে আপনি দেখতেছি চাঁদের বুড়ি নিয়ে খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। তবে আপনার কবিতাটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। মনের অনুভূতি দিয়ে সুন্দর করে কবিতাটি লিখে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সুন্দর চাঁদের বুড়ি কবিতা লিখে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান, আমার কবিতাটি পড়ার জন্য। আমি ছোটবেলার স্মৃতিকে স্মরণ করে বাস্তবতা নিয়ে কবিতাটি লেখার চেষ্টা করেছি। পাঠকের মনোরঞ্জন হলেই কবিতার সার্থকতা ফুটে উঠবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের, মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক উৎসাহ পেলাম।
আপনার কবিতার লাইনগুলো পড়তে আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া। আসলেই আপনার কবিতার লাইনগুলো আপনি আগের সেই দাদিমার নানি মার মুখের কবিতা অনেক সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন ।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি সবকিছু তুলে ধরার জন্য। পাঠকের মনোরঞ্জনই কবিতার স্বাস্থ্যকতা।