পরিবার নিয়ে মনপুরা বিনোদন পার্ক ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। আজকে আপনাদের সামনে একটা নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি ব্লগটি আপনাদের ভালো লাগবে।
https://w3w.co/mercies.prematurely.passports
বাসা বসে থাকতে থাকতে যেন একঘেয়েমি আচার-আচরণ চলে আসছে আমার কাছে। এই একঘেয়েমি মনোভাবকে দূর করার জন্য বিনোদনের বিকল্প নেই। তাইতো মনের আনন্দে ঘুরে বেড়াই মাঝেমধ্যে দূর অজানা কোথাও। আমার কাছে মন ভাল করার একটাই ঔষুধ রয়েছে, তা হচ্ছে ভ্রমণ। ভ্রমণ আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। যখনই হাতে সময় থাকে তখনই ভ্রমনের উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়ি। একঘেয়েমি মনোভাবকে দূর করার মহা ঔষধ হচ্ছে ভ্রমণ। নিত্য নতুন জায়গা আবিষ্কার নেশা আমি ঘুরে বেড়াই এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে। তাই পরিবারকে নিয়েই ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। কোথায় যাওয়া যায় এ নিয়ে একটি পরামর্শ করলাম। তখন সবার সম্মতিক্রমে আমরা মনপুরা বিনোদন পার্কে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
এবারে ঈদের সিদ্ধান্ত নিলাম, কোথায় পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া যায়! আমি সব সময় চেষ্টা করি পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সব সময় সময় সুযোগ হয় না। পরিবারের কেউ না কেউ কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকে। তাই সব সময় সুযোগ হয় ঈদের সময়, সবাই ঈদকে কেন্দ্র করে বাড়িতে থাকে। সে সময়ই সুযোগ থাকে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হবার। এবারও সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা সবাই ঘুরতে গেলাম মনপুরা বিনোদন পার্কে। সেখানে পরিবেশটা সত্যি অসাধারণ ছিল। মনপুরা বিনোদন পার্কের দৃশ্য খুবই সুন্দর এবং অসংখ্য পর্যটকেরা এ বিনোদন পার্কে ঘুরতে আসে।
প্রথমত পরিবারের সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবারে ঈদুল আযহার মধ্যে কোথায় যাওয়া যায়? তখন সবাই বলল এবারে দূরে কোথাও যাবো না। আশেপাশে যদি কোথাও ঘুরার জায়গা থাকে তাহলে সেখানে যাওয়া যাক। তাই সবাইর সমতিক্রমে আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম মনপুরা বিনোদন পার্কে ঘুরতে যাবো। এটার বিশেষ একটি কারণ ছিল, আমাদের সাথে ভাতিজা, ভাগ্নি এরা ছিল। ছোট বাচ্চারা থাকার কারণে সেটা আমার দিক থেকে প্রথম পছন্দের জায়গা ছিল। তখন সবাই সম্মিলিতভাবে আমরা সিদ্ধান্ত পৌছালাম মনপুরা বিনোদন পার্কেই আমরা যাব।
এই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে আমরা একটি প্রাইভেট গাড়ি নিলাম। দুপুরে খাওয়া দাওয়া খেয়ে রওনা দিব সেখানে। তার জন্য সবাই খাওয়া দাওয়া খেয়ে খুবই দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সে সময় বাড়িতে আমার ওয়াইফ নেই। সে তাদের বাড়িতে ছিল। শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ থাকা সে আমাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তারপরও আমি আমার সিদ্ধান্ত অটুট থেকে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবে পৌঁছালাম। দুপুর আড়াইটার দিকে গাড়ি চলে আসলো বাড়ির সামনে।
কিন্তু আপনারা ভালো করে জানেন মা বোনেরা রেডি হতে অনেক সময় নেয়। তাই তাদের সাজুগুজুতে সময় গেল অনেক বেশি। সবাইকে দ্রুত করার জন্য আমি কয়েকবার নক দিলাম। কিন্তু তারা তাদের ধীর গতিতে সাজতে লাগলো। যাইহোক আমরা সবাই একসাথে হয়ে ঘর থেকে বের হলাম ৩:০০ টার দিকে। সবাই গাড়িতে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। ড্রাইভারও আমাদের চিন-পরিচিতির মধ্যে ছিল। আমি ডাইভারের পাশের সিটে বসলাম। তার সাথে বিভিন্ন কথা বলতে বলতে পথ চলতে লাগলাম। সবার খুব সুন্দর বিনোদনের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছালাম। গন্তব্যে গিয়ে নামার পরে সবাইকে বলে দিলাম, যেন কেউ কাউকে না ছাড়ে, যেহেতু আমাদের সাথে ছোট বাচ্চারা ছিল।
সবাই খুব ডিসিপ্লিনতার সহিত সামনের দিকে এগোতে লাগলাম। আমি গিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে নিলাম। পার্কে ঢুকতে হলে সবাইকে অবশ্যই টিকেট নিতে হবে। ঈদ উপলক্ষে একটি টিকিটের দাম ৫০ টাকা করে নিল। আমরা প্রায় ১৪ জন ছিলাম। সবার জন্য টিকেটটা নিয়ে ভিতরে ঢুকলাম। ঢোকার পর দেখলাম কাজ পরিপূর্ণভাবে শেষ হয়নি পার্কের। এটা দেখে কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেল। বিনোদন পার্ক জমজমাট থাকার কথা ছিল কিন্তু নতুন কিছু জায়গা নিয়ে তারা কাজ ধরলো। তাই যেভাবে চিন্তা করলাম আশানুরূপ পাইনি। তবে একদমই যে খারাপ অবস্থা তাও নয়। আমার মতে ৫০ টাকার টিকেট অনুযায়ী সেরকম কোন বিনোদন মুখর পরিবেশ ছিল না।
ছোট বাচ্চারা নাগরদোলা উঠলো। ঘোড়ার পিঠে বসে কিছুক্ষণ বিচরণ করল। সেখানে যতগুলো বিনোদনের পর্ব ছিল সবকিছুই তারা উপভোগ করলো। লক্ষ্য করলাম তাদের জন্য এটি অনেক বড় বিনোদন। তাদের আনন্দ দেখেন নিজেরই খুব ভালো লাগলো। তারা অল্পতেই অনেক সন্তুষ্ট হলো। আসলে ছোটবেলার বিনোদনগুলো অন্যরকম ই থাকে। আমার মতে পরিবারের সাথে মাঝেমধ্যে ঘুরতে বের হবার খুব বেশি দরকার। পরিবারকে যত বেশি সময় দেওয়া হবে তত বেশি একে অন্যের সাথে সম্পর্ক তৈরি হবে। সবার আনন্দ দেখে নিজের কাছে খুব ভালো লাগলো। তবে প্রতি ঈদেই কোন না কোন নতুন জায়গা ঘুরতে যেতে খুব ভালো লাগে।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
https://x.com/titaherul/status/1810307479714308425?t=bestBuU5HQ6zf2TctwyMNw&s=19
পরিবার নিয়ে ঘোরাফেরার মজাই আলাদা। আর মনপুরা কাবাব হাউজ পরিবার নিয়ে ঘুরা ফেরার জন্য একটি অসাধারণ জায়গা। আমরা নিজেরাও মাঝেমাঝে পরিবার নিয়ে সেখানে ঘুরতে যাই। তবে বেশ কিছুদিন যাওয়া হচ্ছে না কারণ কর্ম ব্যস্ততায় কাটছে দিন। দেখি খুব শীঘ্রই যেতে পারি ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আমার পোষ্টের আলোকে আপনার মহামূল্যবান মন্তব্য উপস্থাপন করার জন্য। পরিবার নিয়ে মাঝেমধ্যে ঘুরতে গেলে মন ভালো থাকে। জ্বি, অবশ্যই সময় সুযোগ করে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসবেন।
মাঝে মাঝে এমনিতেই যাওয়া হয় তবে পরিবার নিয়ে সবসময় যাওয়া হয় না।চেষ্টা করব সেখানে সবাই মিলে যাওয়ার জন্য ।