প্রশ্নপত্র ফাঁস || জাতি ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা ,
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। সদা-সর্বদায় সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। যাইহোক আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট শেয়ার করবো। আমি নিয়মিত লেখালেখি করতে চেষ্টা করি। যখনই সময় সুযোগ হয়ে ওঠে ঠিক তখনই বই পড়া কিংবা লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। তবে আমি বাস্তবসম্মত লেখা লিখতে চেষ্টা করি । তো বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে তেমনি বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
এডিট snapseed
আজকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আজকের বিষয়টি খুবই বাস্তবসম্মত একটি বিষয়। আমরা সবাই নিজেকে মানুষ মনে করি, কিন্তু হাত-পা থাকলেই কি শুধু মানুষ হয়? মানুষ হতে হলে প্রয়োজন মনুষত্বের। আজকে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব নেই, নেই কোন বিবেক। আজকে মানুষ বিবেক হারিয়ে হিংস্র জন্তুতে পরিণত হয়েছে। কিছু অমানুষ শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য উঠে পড়ে লেগে আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তারা। এদের থেকে যদি শিক্ষা ব্যবস্থাকে উদ্ধার করা না যায় তাহলে শিক্ষার মৃত্যু অচিরেই হবে।
শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়। কিন্তু কোন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড তা বুঝতে হবে। শিক্ষা সবাই অর্জন করে তবে সুশিক্ষা কতজনই বা অর্জন করতে পারে? আমরা আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রের মধ্যে অসংখ্য শিক্ষিত মানুষ দেখতে পাই, কিন্তু আমরা সুশিক্ষিত মানুষ খুব কমই দেখতে পাই। ছোটবেলা থেকেই একটি ভাব সম্প্রসারণ পড়ে বড় হয়েছি "শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড"। তখন বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করেনি। কিন্তু বর্তমানে এসে যখন পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখতে পাই এবং বিভিন্ন বিষয় গবেষণা করতে থাকি তখন দেখি এই ভাব সম্প্রসারণটি পুরোপুরি ভুল।
সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। ভাব সম্প্রসারণ টির নাম এভাবে দেওয়া উচিত ছিল "সুশিক্ষা জাতির মেরুদন্ড"। আমরা দেখেছি শিক্ষা অনেক মানুষই অর্জন করে। যেমন চোর চুরি বিদ্যা অর্জন করে, ডাকাত ডাকাতি বিদ্যা অর্জন করে। এগুলো সবগুলোই শিক্ষা। কিন্তু কোনটাই সুশিক্ষা নয়। এই শিক্ষাগুলা দিয়ে তারা মানুষকে প্রতারিত করতে পারে এবং চিন্তাই করতে পারে। সমাজে লুটের রাজত্ব কায়েম করতে পারে। এই শিক্ষার মধ্য দিয়ে তারা অন্যদের ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারে না। তারপরও তো ধরা যায় এগুলো শিক্ষাই। তার মানে এই শিক্ষাগুলো সমাজে অন্যায় অপরাধ কায়েম করার লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয়।
তাই সব শিক্ষাকে শিক্ষা বলা যায় না। আশা করছি এখন বুঝতে পারলেন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হতে পারে না। সুশিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আজকে যারা শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তারাই প্রশ্নপত্র ফাঁস করে শিক্ষার মর্যাদা লুণ্ঠন করলো। এরাও তো কোন না কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো ডিগ্রী অর্জন করল। গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করল। তাদের অসংখ্য ছাত্র রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাপী। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত অবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারক হিসেবে রয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে শিক্ষার মান কতটুকু গচ্ছিত রয়েছে। তারা সুযোগ পেলেই অনিয়ম শুরু করে। মনে হচ্ছে তাদের কাছে শিক্ষা ব্যবস্থা যেন জিম্মি হয়ে আছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে, তারা প্রত্যেকেই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত ছিল। তারা সবাই শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষিত হয়েছে। কিন্তু কেউই সুশিক্ষিত হতে পারেনি। সুশিক্ষা অর্জনকারী ব্যক্তি কখনো শিক্ষার মানহানি করতে পারে না। টাকার জন্য প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারে না। এ ব্যক্তি গুলো টাকার লোভে শিক্ষার মেরুদণ্ডই ভেঙে দিল। তাহলে আপনারাই বুঝুন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তথা পুঁথিগত শিক্ষা কখনো একটা মানুষকে সুশিক্ষিত করতে পারেনা। মানুষকে সুশিক্ষিত করতে হলে তার বিবেক বুদ্ধির প্রয়োজন। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের বিবেক জাগ্রত করতে পারছে না। তাই আমাদেরকে সুশিক্ষা সুশিক্ষিত হতে হবে।
প্রশ্ন ফাঁস করে স্টুডেন্টদের জীবনগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেল। এসব অমানুষ গুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হয়ে আছে। এরা পুরো জাতিকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। যেখানে শিক্ষা ব্যবস্থা পঙ্গু সেখানেই জাতি কখনো মেরুদণ্ড যুক্ত হতে পারেনা। একটা জাতি ধ্বংসের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয়াটাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ তদন্তের মধ্য দিয়ে বিষয়গুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে হ্যান্ডেলিং করা উচিত। আমি অনেকবার দেখেছি রাষ্ট্র এখানেও অপারগতা প্রকাশ করছে বারবার। এটি শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি অনেক বেশি দৃশ্যমান হয়ে আছে। বারবার প্রমাণিত হলেও এগুলো নিয়ে সঠিক কোন তদন্ত হচ্ছে না।
আজকের লেখাটি আমি বাস্তবতাকে সামনে রেখে লেখার চেষ্টা করেছি। আমি তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি বাস্তবতা। আমার কথাগুলো অবশ্যই বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে নিবেন। যদি কোন ধরনের অবাস্তব কথা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা মূল্যবান মন্তব্য জানাবেন।
নিজেকে নিয়ে কিছু কথা
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। প্রথমেই সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। আমি তাহেরুল ইসলাম, আমার স্টিমিট ইউজার আইডি হল - @ti-taher। আমি ফেনী জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। বর্তমানে ফেনী শহরে অবস্থান করছি। আমি ফেনীতে পড়াশোনা করেছি এবং বড় হয়েছি। আমি একজন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ, আমি ভ্রমণ করতে এবং ছবি তুলতে ভালোবাসি। নতুন জায়গায় ঘুরতে আগ্রহী, নতুন জায়গায় ঘুরতে এবং নতুন কিছু আবিষ্কার করতে ভালোবাসি। আমি বই পড়তেও ভালোবাসি, অনেকে আমাকে বই পোকাও বলে থাকে। আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস এবং বৈজ্ঞানিক বই সহ সব ধরনের বই পড়তে পছন্দ করি। আমার প্রিয় কবি "কাজী নজরুল ইসলাম"। প্রিয় কবিতা "বিদ্রোহী"।(ফি আমানিল্লাহ)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
https://x.com/titaherul/status/1811022593853641218?t=fmTNap4Ngbz0-Flr3APDgg&s=19
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এরকম ব্যবহার মোটেও কাম্য নয়। জাতি এদের কাছ থেকে কি শিখবে সেটাই ভাবছি। আসলে ভবিষ্যতে যে আরো কি হতে চলেছে কে জানে। আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। অসাধারণ লিখেছেন আপনি।
এই প্রশ্ন পত্র ফাঁস প্রতি বছর হয়ে থাকে ভাইয়া। এইটা আমাদের দেশে একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়ে গেছে। যতই আমরা বলি না কেন তা থাকবেই থাকবে ভাইয়া। যে জাতি সচেতন নয় তারা এমটা করে। কিছু লোভী অসাধু ব্যবসায়ী টাকার লোভে প্রতি বছর এমনটা করেন। সত্যি এদের জন্য আপসোস হয়।
আসলেই ভাই, মানুষ মনে করি নিজেদের, কিন্তু মানুষের অবয়ব টা পেলেই মানুষ হওয়া যায় না, প্রয়োজন হয় মনুষ্যত্ব বোধের। এই যে যারা এই দুর্নীতির সাথে জড়িত দীর্ঘ বছর ধরে, তারা একবারও চিন্তা করেছি কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে ঠিক ই, কিন্তু পাশাপাশি কত পরিবারের কত মানুষের হক নষ্ট করে আসছিলো তারা। এই যে এখন প্রকাশ পেয়ে গেলো, কত মানুষ এর অভিশাপ কুড়াচ্ছে এখন! এরা প্রকৃতপক্ষে অধম, অবিবেচক, অমানুষ ছাড়া আর কিছুই না!
উচ্চপদস্থ যে কর্মকর্তাগুলো রয়েছে, তারাই এই প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে ছাত্রসমাজকে পুরো পঙ্গু করে দিচ্ছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় নিয়ে অনেকবার অনেক কিছু হয়ে থাকলেও এই ঘটনাগুলো বারবারই সব জায়গায় দেখা যায়। এটা আসলে আমাদের সমাজের জন্য একটা অভিশাপের মত কাজ করে। যোগ্য ব্যক্তিরা তাদের প্রাপ্যটা পায় না, এরকম প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে। যাই হোক, এই ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। আপনার এই শিক্ষামূলক পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাই। ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি বিষয়কে এইভাবে আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।
আপনার কথাগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে ভাই। সত্যি প্রশ্ন ফাঁস শুধু একটা ছাএের না পুরো দেশকে ধ্বংস করে দেয়। এর থেকে মারাত্মক আর কিছু হতে পারে না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি আমাদের সুশিক্ষিত অবশ্যই হতে হবে।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যারা নিজেরা কোটাধারী, নিজেরা চাকরিটা কিনে নিয়েছে তারাই এরকম কাজ গুলো করছে। তারা মূলত শুরু থেকে দুর্নীতির পথে হেটেছে। আর দুর্নীতি দিয়েই চালিত করছে সব। যারা এভাবে এসেছে তারা তো সেভাবেই করবে। আমাদের দেশ দুর্নীতিতে ভরপুর। এখানে সবাই নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। তবে এটা ঠিক বলেছেন শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড নয়, সুশিক্ষাই হলো জাতির মেরুদন্ড। শিক্ষা যে কোন ধরনের হতে পারে কিন্তু একমাত্র সুশিক্ষাই পারে একটি জাতিকে মজবুত করে মাথা তুলে দাঁড়াতে ।
ভাইয়া অন্যান্য পরিক্ষার কথা বাদই দিলাম। পিএসসির পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায়,চিন্তা করেন বিষয়টা। আবেদ আলীদের সোজা গুলি করে মেরে ফেলা দরকার। দেশে তো কোন বিচার হয় না, দেশ থেকে ন্যায় বিচার উঠে গেছে। যার ফলে দুর্নীতি বাড়ছে। ধন্যবাদ।