রজব আলীর আত্মত্যাগ (দ্বিতীয় পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


তাদের সংসারের অভাব অনটন লেগেই থাকে। রজব আলিও শুরুতে এমনই করতো। তবে পরবর্তীতে সংসারের সদস্য সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সে দিনরাত পরিশ্রম করে রিক্সা চালাতে থাকে। তাতে অবশ্য তার সংসারে বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আর তাকে না খেয়ে থাকতে হয় না। দিনরাত পরিশ্রম করে রিক্সা চালিয়ে গ্রামে সে কিছু জমিও কিনেছে। আবার নিজের রিক্সা কেনার জন্য টাকাও জমিয়েছে। আর বছর খানেক পরিশ্রম করতে পারলেই নিজের একটা রিকশা হয়ে যাবে তার। পরিশ্রম করে টাকা পয়সা সে ভালোই জমাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে পণ্য দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার মত পরিশ্রমী মানুষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

Polish_20240813_202051127.jpg

রজব আলী রিকশা চালাতে থাকে আর আশেপাশে তাকিয়ে প্যাসেঞ্জার খুজতে থাকে। আর তার মনের ভেতরে এই কথাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। রজব আলি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কখন তার নিজের একটা রিকশা হবে। তাহলে আর তাকে গ্যারেজ মালিকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। আর প্রতিদিন ২০০ টাকা করে তার গচ্চাও যাবে না। রিক্সা নিতে হলে তাকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। নিজের রিকশা হলে তখন তার ইনকামের পুরো টাকাটাই তার কাছে থাকবে। তাছাড়া সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতো কষ্টই হোক সে তার ছেলে মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া শেখাবে।

তার ছেলে মেয়ে দুটোর যেন তার মতো রিকশা চালিয়ে খেতে না হয়। সেই কারণেই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন আগে চায়ের দোকানে গল্প করার সময় দোকানদার তাকে একটা খবর পড়ে শোনায়। সেই খবরটা ছিলো একজন রিক্সাওয়ালার মেয়ের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প। পত্রিকার সেই গল্পটা শোনার পর থেকে রজব আলীর মনের ভেতর একটা অন্যরকম বল এসে গিয়েছে। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।




🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Sort:  
 last month 

রজব আলী চমৎকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিজের একটা রিকশা থাকলে,সে ভালোই ইনকাম করতে পারবে এবং তার সন্তানদের পড়াশোনার খরচও চালাতে পারবে। রজব আলী একদিন ঠিকই সফল হবে। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.17
JST 0.029
BTC 69701.45
ETH 2509.99
USDT 1.00
SBD 2.56