রজব আলীর আত্মত্যাগ (দ্বিতীয় পর্ব)
রজব আলী রিকশা চালাতে থাকে আর আশেপাশে তাকিয়ে প্যাসেঞ্জার খুজতে থাকে। আর তার মনের ভেতরে এই কথাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। রজব আলি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কখন তার নিজের একটা রিকশা হবে। তাহলে আর তাকে গ্যারেজ মালিকের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। আর প্রতিদিন ২০০ টাকা করে তার গচ্চাও যাবে না। রিক্সা নিতে হলে তাকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। নিজের রিকশা হলে তখন তার ইনকামের পুরো টাকাটাই তার কাছে থাকবে। তাছাড়া সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতো কষ্টই হোক সে তার ছেলে মেয়ে দুটোকে লেখাপড়া শেখাবে।
তার ছেলে মেয়ে দুটোর যেন তার মতো রিকশা চালিয়ে খেতে না হয়। সেই কারণেই সে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছুদিন আগে চায়ের দোকানে গল্প করার সময় দোকানদার তাকে একটা খবর পড়ে শোনায়। সেই খবরটা ছিলো একজন রিক্সাওয়ালার মেয়ের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প। পত্রিকার সেই গল্পটা শোনার পর থেকে রজব আলীর মনের ভেতর একটা অন্যরকম বল এসে গিয়েছে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
রজব আলী চমৎকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নিজের একটা রিকশা থাকলে,সে ভালোই ইনকাম করতে পারবে এবং তার সন্তানদের পড়াশোনার খরচও চালাতে পারবে। রজব আলী একদিন ঠিকই সফল হবে। যাইহোক গল্পটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।