জীবনের বাঁক বদল ( চতুর্থ পর্ব)
ফারিয়া কলেজে ক্লাস করা প্রায় বাদ দিয়ে দেয়। কলেজে এসেই সে তূর্যর সাথে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ে। শুধু যে কলেজ থেকে তারা ঘুরতে যায় তা নয়। মাঝে মাঝে বিকালে ফারিয়া বাসা থেকে বের হয়ে তূর্যর সাথে শহরে মোটরসাইকেলে ঘুরে বেড়ায়। এভাবে একদিন ঘুরতে গিয়ে ফারিয়া আর তুর্য হঠাৎ করে রিশাদের সামনে পড়ে যায়। তূর্য ফারিয়াকে নামিয়ে দেয়ার জন্য ফারিয়াদের এলাকার দিকে আসছিলো। আর রিশাদ তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে চার পাচটা মোটরসাইকেলে করে কোথায় যেনো যাচ্ছিলো।
রিশাদ ফারিয়াকে তুর্যের মোটরসাইকেলের পেছনে দেখে রাগে দিশেহারা হয়ে যায়। সাথে সাথে সে মোটরসাইকেল থেকে নেমে তুর্যের মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। রিশাদ মোটরসাইকেল থেকে নেমে তূর্যের মোটরসাইকেলের কাছে গিয়ে ওর কলার ধরে টেনে নামাতে চেষ্টা করে। তখন ফারিয়া তূর্য আর রিশাদের ভেতরে গিয়ে দাঁড়ায়। ফারিয়া রিশাদকে বলে রিশাদ খবরদার ওর কোন ক্ষতি করবে না। ওর কোনো দোষ নেই আমি ওর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম।
তখন রিশাদ চিৎকার করে জিজ্ঞেস করে কেনো তুমি ওর সাথে ঘুরতে গিয়েছো? ফারিয়াও রেগে রিশাদকে জবাব দেয় আমি কার সাথে ঘুরবো না ঘুরবো কোথায় যাবো না যাবো সেই কৈফিয়ত কি তোমাকে দিতে হবে? তখনকার মত রিশাদ আর কোনো কথা না বলে চলে যায়। তবে যাওয়ার সময় তূর্যকে ইশারায় বুঝিয়ে যায় যে তার জন্য খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। সেদিনের মতো তূর্য তার বাসায় চলে যায়। তারপর থেকে আবার তারা দুইজন শহরে ঘুরেফিরে বেড়াতে থাকে। তবে ফারিয়ার মাথায় একটা দুশ্চিন্তা কাজ করে যে রিশাদ তূর্যর কোনো ক্ষতি না করে বসে।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।