গ্রীষ্মকাল

আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে গ্রীষ্মকাল সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।


image.png



লিংক


আসলে আমরা ছোটবেলা থেকে ছয় ঋতুর নাম শুনে এসেছি। এই ছয় ঋতুর মধ্যে অন্যতম একটি কাল হলো গ্রীষ্মকাল। এই গ্রীষ্মকাল আমার মনে হয় বেশিরভাগ লোকের কাছে অপছন্দের একটি কাল। কারণ মনে হয় যেন এই গ্রীষ্মকালে সূর্য যেন আমাদের পৃথিবীতে চলে আসে। এছাড়াও গরমের পরিমাণ যে এতটা বেশি থাকে তা সহ্য করা যায় না। অর্থাৎ এই গ্রীষ্মকালে মানুষের সবথেকে বেশি কষ্ট হয়। আসলে এই গ্রীষ্মকাল হল বছরের সবথেকে উষ্ণতম একটি কাল। আসলে আমরা সবাই ছোটবেলায় বইতে এই গ্রীষ্মকাল সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের জিনিস পড়েছিলাম। অর্থাৎ কেন এই গ্রীষ্মকাল সবচেয়ে উষ্ণতম কাল হয়। আসলে আমাদের এসব অঞ্চলের গ্রীষ্মকালে তেমন একটা বেশি ফসল হয় না। কারণ সূর্যের প্রখর তেজে মাঠে কোন জল থাকে না এবং রোদের আলোতে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে যায়।


আসলে আমরা সবাই জানি যে বৈশাখ এবং জ্যৈষ্ঠ জুড়ে এই গ্রীষ্মকাল। আসলে এই সময় মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পশু প্রাণীরাও অনেক বেশি কষ্ট পায়। কেননা এই সময় রোদের প্রচন্ড তাপে খাল, বিল এবং জমির জল প্রায় সব শুকিয়ে যায়। আসলে বর্তমান সময়ে আমরা এই গ্রীষ্মকালের কষ্ট সম্পর্কে সবাই বুঝতে পারছি। কেননা আগেরকার সময়ে গ্রীষ্মকালে এতটা বেশি গরম কখনই পড়তো না। কারণ চারিদিকে ছিল গাছ পালায় ভর্তি এবং তখন বিভিন্ন জায়গায় জলাধার ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে একদিক থেকে যেমন জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাচ্ছে তেমনি অন্য দিক থেকে মানুষ অতিরিক্ত হারে গাছ কাটার ফলে দেশে গাছের পরিমাণ অনেক কমে যাচ্ছে। আর আমরা সবাই জানি যে গাছের পরিমাণ কমে গেলে কত দ্রুত হারে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।


যদিও বর্তমান সময়ে মানুষ সবকিছু বুঝেও যদি অতিরিক্ত পরিমাণে গাছ না লাগায় তাহলে পরবর্তীতে আমরা গ্রীষ্মকালে মোটেও থাকতে পারবো না। আসলে এই গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রির ঊর্ধ্বে থাকে। আসলে যেসব অঞ্চল সারা বছর ঠান্ডা থাকে সেসব অঞ্চলে এই গ্রীষ্মকালে ফসল উৎপাদন করা হয়। কেননা সেসব অঞ্চলে শীতকালে কোন রকমের ফসল উৎপাদন করা যায় না। ফলে তারা সব সময় অপেক্ষায় থাকে কখন গ্রীষ্মকাল আসবে এবং এই গ্রীষ্মকালে তারা তাদের জমিতে ফসল ফলাবে। তাইতো পৃথিবীর এক সাইডে যেমন গ্রীষ্মকালে কোন ফসল হয় না তেমনি পৃথিবীর অন্যদিকে শীত প্রধান এলাকায় এই গ্রীষ্মকালের জন্য অপেক্ষায় থাকে। কারণ তারা এই সময়ে ফসল ফলায় এবং এই একটা সময়ের জন্য তারা সুযোগ পায়।


আসলে এই গ্রীষ্মকালে আমরা বাজারের বিভিন্ন ধরনের ফল দেখতে পাই। এসব ফলের মধ্যে লিচু কাঁঠাল তরমুজ ইত্যাদি আমরা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকি। আসলে গরম যত বাড়ে ততই মনে হয় যেন কাঁঠাল পাঁকা শুরু হবে। আসলে আমরা যদি এই গ্রীষ্মকালে এতটা কষ্ট না পেতে চাই এজন্য আমাদের প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। আসলে আগেকার সময়ে গ্রীষ্মকাল অনেকটা মজাদার একটা কাজ ছিল। কিন্তু এখন মানুষের এই গ্রীষ্মকালের নাম শুনলে মানুষ ভয়ে পালায়। আসলে পৃথিবীতে এক একটা কালের এক এক ধরনের দৃশ্য আমরা দেখতে পাই। আসলে এই গ্রীষ্মকালটা হয়তোবা সবার একটু কষ্টে গেলেও গ্রীষ্মকালের মাঝে মাঝে যে ঝোড়ো হওয়া এবং বৃষ্টি হয় এতে সবাই আবার আনন্দের নেচে ওঠে।



আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 64381.21
ETH 3475.67
USDT 1.00
SBD 2.50