দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা (শেষ পর্ব)
তাদের সেই আস্তানার থেকে কিছুটা দূরে থাকতে সোহেলরা সবাই মোটরসাইকেল থেকে নেমে গেলো। তারপরের পথটা তারা খুব সাবধানে হেঁটে হেঁটে আগাতে লাগলো। আর যাওয়ার সময় সোহেল ছেলেটাকে বলছিলো যদি কোন রকম চালাকি করার চেষ্টা করিস তাহলে এখানেই তোকে গুলি করে মেরে তোর লাশটা মাটিতে পুঁতে রাখবো। ছেলেটা সোহেলের এই হুমকি শুনে খুবই ভয় পেয়ে যায়। সোহেলরা ধীরে ধীরে এগিয়ে দেখতে পায় সামনে একটা ভাঙাচোরা মতো বাড়ি। সোহেলের গ্রামের এদিকটাতে তারা কখনো আসে না। রাতের বেলা তো আসার প্রশ্নই ওঠে না। দিনের বেলাতেও লোকজন এদিকটাতে কম আসে। সেই সুযোগেই এই জায়গাটাকে তারা তাদের ডাকাতির আস্তানা বানিয়ে ফেলেছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
সোহেল খুব সাবধানে গিয়ে সেখানে উঁকি দিয়ে দেখে ভেতরে ৬/৭ জন লোক বসে মদ খাচ্ছে। তাদের পাশে কয়েকটা রামদা রাখা ছিলো। সোহেল বুঝতে পারলো এরাই সেই ডাকাত দল। তখন সোহেলরা হুরমুর করে একবারে সবাই সে ভাঙ্গাচোরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে তাদের দিকে বন্দুক তাক করে ধরলো। সোহেলদের এক বন্ধু টর্চের আলো ফেললো সেই ডাকাত দলের লোক গুলোর উপরে। হঠাৎ করে তারা এমন পরিস্থিতিতে পড়ে হতভম্ব হয়ে গেলো। সেই ডাকাত দলের সদস্যদের ভেতর দুজন রামদা উঠিয়ে সোহেলের দিকে আগানোর চেষ্টা করলে সোহেল বলল আর এক পা আগালে গুলি করে দেবো।
তখন ডাকাত দলের সদস্যরা সবাই চিৎকার করতে থাকে না গুলি কইরেন না। আমাদেরকে এবারের মত ছেড়ে দিন। তখন সোহেল তার সেই বন্ধুকে বলে তোর বাবাকে ফোন দিয়ে বল এখানে পুলিশ পাঠাতে। বল যে আমরা ডাকাতির মালসহ ডাকাত দলের লোকজনকে ধরতে পেরেছি। ঘন্টাখানেকের ভেতরে সেখানে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়। তারপর ডাকাতদের ধরে নিয়ে যায়। আর এভাবেই সোহেল এবং তার বন্ধুদের বুদ্ধি এবং সাহসিকতায় ডাকাত দল ধরা পড়ে। সেই সাথে সোহেলদের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া মালামালের বেশিরভাগটাই উদ্ধার করা সম্ভব হয়। (শেষ)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
যাক এই পর্বটার অপেক্ষায় ছিলাম, কখন এই পর্ব টা পাবো। অবশেষে সোহেল এবং তার বন্ধুরা মিলে ডাকাতির সব মালামাল ফিরে পেয়েছি যদিও কিছু তারা আগেই খরচ করে ফেলেছিল। যাই হোক যা পেয়েছে সেটাই বড় ভাগ্যের বিষয়। অবশেষে তারা ডাকাত দলকে ধরতে পেরেছে এবং পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
সোহেল এবং তার বন্ধুরা সত্যিই সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। তাছাড়া এমন বন্ধু পাওয়াটাও ভাগ্যের ব্যাপার। যাইহোক শেষ পর্যন্ত ডাকাতদের খুঁজে বের করে ডাকাতি হওয়া প্রায় সবকিছু ফিরে পেয়েছে, এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। এই গল্পের প্রতিটি পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছে। যাইহোক এতো সুন্দর একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর গল্পটির শেষ দেখতে পেলাম। সোহেল এবং তার বন্ধুর বিচক্ষণতার কারণে ডাকাত দল ধরা পড়ল। এ কারণে যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিলে যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিকে সহজে মোকাবেলা করা সম্ভব। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন ধারাবাহিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।