সততার পুরস্কার (ষষ্ঠ পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


সে পুলিশকে জানালো বেশ কিছুদিন থেকে মেহেদী তার বেতন বাড়ানোর জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিলো। বেতন না বাড়ানোর জন্য সে এই কাজটা করেছে। এই কথা শুনে পুলিশের ও বিশ্বাস হোলো টাকাটা মনে হয় মেহেদী নিয়েছে। তাই তারা মেহেদিকে টর্চার করতেই লাগলো। এর ভেতর মেহেদির স্ত্রী এসে মালিকের পায়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করলো। কিন্তু কিছুতেই তার মন নরম হয়নি। এভাবে বেশ কয়েকদিন থানা হাজতে মেহেদীর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চললো।


Black and Gold Fancy New Year Card_20240531_231247_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত টাকার সন্ধান না দিতে পারায় পুলিশ মেহেদীকে জেলে চালান করে দিলো। মিথ্যা মামলায় মেহেদীর জেল খাটতে লাগলো। বেশ কিছুদিন পর অন্য একটা অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ কিছু ছিন্তাইকারী কে ধরলো। তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারলো এর আগেও তারা একটা বড় অ্যামাউন্টের টাকা ছিনতাই করেছে। তখন পুলিশ তাদের কাছ থেকে ভালোভাবে শুনে বুঝতে পারে মেহেদী নামের ছেলেটা বিনা দোষে জেল খাটছে।


তারা বিষয়টা মেহেদীর মালিককে জানাই। ততদিনে দুই বছর পার হয়ে গিয়েছে। মেহেদীর মালিক নিজেও বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছিনতাইটা যে মেহেদী করেনি এই কথা শুনে সে প্রচন্ড দুঃখ পায়। একটা ছেলের সাথে সে এই রকম জুলুম করেছে চিন্তা করে সে নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকে। তারপরে সে নিজে উদ্যোগী হয়ে মেহেদীকে জেল থেকে বের করে। ততদিনে মেহেদির শরীর একেবারে ভেঙ্গে গিয়েছে। পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের ফলে তার এখন চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। মেহেদীর মালিক তার নিজ খরচে মেহেদীর ভালো ট্রিটমেন্ট করায়। (চলবে)


আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

নির্দোষ মেহেদীকে অযথা দুই বছর জেল খাটতে হলো,এটা জেনে ভীষণ খারাপ লাগলো। সেই দোকানের মালিক মেহেদীর সাথে অনেক অন্যায় করেছে। যাইহোক শেষ পর্যন্ত মেহেদী নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে, এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.15
JST 0.028
BTC 59986.17
ETH 2417.93
USDT 1.00
SBD 2.45