বেকার জীবনের কষ্ট গুলো (দশম পর্ব)
কালকের ভেতর আমার টাকা পরিশোধ করবা। রাজন আর কথা না বাড়িয়ে মাথা নিচু করে সেখান থেকে তার কাজে চলে যায়। পরবর্তী কয়েকদিন রাজন তার বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা পয়সা জোগাড় করার চেষ্টা করে। কিন্তু রাজনের বন্ধুরা কেউই তেমন ধনী না। আর দু একজনের যাও টাকা পয়সা আছে তারাও বেকার বলে রাজনকে এড়িয়ে চলে। রাজন সাধারণত কারো কাছেই কখনো ধার চাইতে যায় না। তবে এবার প্রচন্ড বিপদে পড়ে যাওয়ার কারণে তাকে বন্ধুদের কাছে ধার চাইতে বের হতে হয়েছে।
এইভাবে কয়েকটা দিন কেটে যায়। এর ভেতরে সে একবারের জন্যও সাবিহার সাথে যোগাযোগ করতে পারেনা। বুঝতে পারে সাবিহা ওদিকে হয়তো অস্থির হয়ে পড়েছে।বিকালে টিউশনি করতে যাওয়ার সময় খেয়াল করে দেখে তাদের গলির মাথায় সাবিহা দাঁড়িয়ে রয়েছে। রাজন সাবিহা কে দেখে মৃদু হেসে বলে হঠাৎ করে তুমি এখানে যে? কি ব্যাপার সাবিহা রাজনের কথার উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে তোমার কি ব্যাপার আগে সেটা বলো?
গত কয়েকদিন ধরে তোমার কোন খোঁজ খবর নেই। ফোন দিলে ফোন সবসময় বন্ধ পাই। তোমার কি হয়েছে সেটা এখন আমাকে বলতে হবে। রাজন তখন সাবিহাকে জিজ্ঞেস করে এখানে দাঁড়িয়ে সবকিছু শুনবে? নাকি আগে কোথাও গিয়ে বসি। তখন সাবিহা বলে ঠিক আছে চলো। তারপর রাজন সাবিহাকে নিয়ে তাদের এলাকার কাছাকাছি যে পার্কটি আছে সেখানে গিয়ে বসে। সেখানে বসে রাজন সমস্ত কথা সাবিহাকে খুলে বলে। সাবিহা রাজনের কথা শুনে অবাক হয়ে যায়। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
আসলে বেকারদেরকে কেউ সহজে ধার দিতে চায় না। তাই রাজনও কারো কাছ থেকে ধার হিসেবে টাকা নিতে পারলো না। যাইহোক সাবিহার কাছে রাজন সবকিছু খুলে বলাতে খুব ভালো হয়েছে। নয়তো সাবিহা ভুল বুঝতো রাজনকে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।
"🌞 আপনারা কেমন আছেন? 😊 এই বিষয়টি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ! 👍 আশাকরি সবার ভালো থাকছে। 🙏
ধন্যবাদ, @your-username, এই মন্মুহূর্তটিকে শেয়ার করতে! 😊
আপনি সবার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন, এই লেখাগুলোকে মজার দেন! 😄
যারা পড়বেন, তারা অবশ্যই আরও দিনের জন্য আগ্রহী থাকবেন! 😊
মনে রাখবেন, @xpilar.witness-এর ভোট দেওয়ার জন্য পৃথিবী তলায় গিয়ে সেখানে https://steemitwallet.com/~witnesses এর মধ্যে ভোট দিন। 🌎
আমরা, @xpilar.witness-কে ভোট দিলে বিষয়টি সফল হতে পারে! 💪