দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা। পর্ব: ০২

লিংক


আসলে আজকে আবারো আমি চলে এলাম আপনাদের মাঝে আমার দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনা নিয়ে। আমি যেহেতু আগেও বলেছি যে প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা আমাদেরকে সারা জীবন মনে করিয়ে দেয়। কেননা আপনি প্রতিদিন চলাচলের পথে এমন কিছু জিনিস দেখতে পারবেন যে সেই জিনিসগুলো আপনি চেষ্টা করলেও কখনো ভুলতে পারবেন না। আসলে এই জিনিসগুলো আমাদের সবার জন্য একটা স্মৃতি হয়ে থাকে। আসলে এক একজন মানুষের জীবন এক এক ধরনের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। যদিও সকালবেলা যখন আমি ঘর থেকে বাইরে কাজের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছিলাম তখন বাইরে হঠাৎ মেঘ এবং হঠাৎ রোদের দেখা মিলছিল। যেহেতু গরমের পরিমাণটা এখনো আবার অনেক বেশি বেড়ে গেছে তাই সবার এই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছিল।

যাইহোক আমি যখন বাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম তখন চারিপাশের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছি এবং বিভিন্ন লোকের আচার আচরণ দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম। আসলে একটু দূরে গিয়ে দেখতে পারলাম যে একদল পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে এবং আমাকে দূর থেকে সিঙ্গেল দিচ্ছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। আসলে হয়তোবা আমি প্রথম অবস্থায় ভেবেছিলাম যে তারা বোধহয় আমার গাড়ির কাগজপত্র এবং আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করবে। আসলে যেহেতু আমার কাছে সকল ধরনের পেপার সব সময় থাকে এজন্য আমি তেমন একটা বেশি ভয় বোধ করলাম না। যদিও আমি যখন কাছে এসে থামি তখন উনাদের ভিতরে একজন আমার দিকে এগিয়ে এলেন।


আমি উনার আশা দেখে আমার ব্যাগ থেকে আমি আমার কাগজপত্র সব বের করতে শুরু করে দিলাম। আসলে আমি বুঝতে পেরেছি যে তারা মনে হয় আমার কাগজ দেখবে এজন্য আমি খুব দ্রুত কাগজগুলো বের করতে চেষ্টা করলাম। যেহেতু আমার বাড়ি থেকে বের হতে একটু বেশি দেরি হয়ে গেছে তাই আমি আর এখানে দেরি করতে চাচ্ছিলাম না। যাইহোক উনি আমার কাছে এসে বললেন যে আপনার কাগজপত্র দেখানোর কোন প্রয়োজন নেই। আসলে বিষয়টা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম। কাগজপত্র দরকার নেই তাহলে উনারা কি চাইছেন আমার কাছ থেকে। তখন পাশ থেকে একজন বললেন যে দাদা আমরা এই গরমের সময় পথযাত্রীদের জন্য একটু জলের ব্যবস্থা করেছি। তাই আপনাকে এখানে দাঁড়িয়ে একটু জল খেতে হবে।

আসলে কি আশ্চর্যকর একটা ব্যাপার। এদিকে আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে আর আমি এখানে বসে বসে এখন জল খাব। যাইহোক মেজাজটা একটু ঠান্ডা করে বললাম যে দাদা আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমাকে তাড়াতাড়ি একটু জল দিন। আসলে একজন প্রথমে একটা গ্লাসে করে আমার দিকে যখন জল নিয়ে আসলেন তখন যেই আমি জল খেতে যাব তখন দেখলাম জলের উপর কতগুলো মরা পিঁপড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে। আসলে তখন আমি উনাকে বললাম দাদা আপনাদের জলের ভিতর পিঁপড়ে রয়েছে এই দেখুন। তখন উনি জল ফেলে দিয়ে আবার পুনরায় জল আনতে গেলেন এবং আবার যখন আমাকে জল দিলেন তখন সেই একই অবস্থা। যাইহোক পুনরায় আবার জল ফেলে তিনবারের বার যখন জল দিলেন তখন পূর্বের অবস্থা দেখে আমি ওনাদের কাছ থেকে আর জল খেতে চাইলাম না এবং দ্রুত চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। আসলে আমি চলে আসার মুহূর্তে একজন অফিসার বলতে লাগলেন যে তোরা কি করেছিস এইসব নোংরাজল কোথা থেকে নিয়ে এসেছিস। আসলে একজন উত্তর দিলেন স্যার মনে হয় এই পাত্রের ভিতরে পিঁপড়ে ছিল। যাইহোক আমি আর দেরি না করে দ্রুত কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।