আমার ঈদের ঘুরাঘুরি আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়া,10%shy-fox
সবাইকে ঈদ মোবারক
আজ আমি এসেছি আমার ঈদটাকে আপনাদের সাথে একটু ভাগ করে নিতে। আমাদের ঈদ শুরু হয় রোজার ১৫ দিন আগে থেকেই প্রতিদিন শপিং করতে যাওয়া এটা যেন একেবারে ঈদের আগের নিত্যদিনের ঘটনা। আমিতো পনের রোজার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই শপিংয়ে গিয়েছি এবং প্রতিদিন কিছু না কিছু কিনে নিয়ে বাসায় ফিরেছি। প্রতিদিন ইফতারের পরে বাইরে না গালে যেন ভালই লাগত না। তারপর জামা কাপড় বানাতে দেওয়া অন্যরকম একটি অনুভূতি কাজ করে।
ঈদের আগের দিন রাতে হাতে মেহেদি পরা সবাই মিলে আড্ডা দেওয়া সবই হয়েছে। ঈদের আগের দিন রাত একটা দুটো পর্যন্ত সবাই মিলে হাতে মেহেদি পড়েছি ।সবাই বলতে আমাদের বাসায় আমরা মানুষ তিনজন কিন্তু পাশের বাসার ফ্যামিলির সাথে আমাদের একেবারে নিজের আত্মীয় থেকে অনেক ভালো সম্পর্ক। আমরা দুই ফ্যামিলি একসাথে ঈদ উদযাপন করি। রাতের বেলা মেহেদী পড়েছি তারপর ঈদের আগের দিন রাত বারোটা একটা পর্যন্ত রান্নাবাড়া করেছি। কারণ রান্নাটা কিছুটা আমি আগের দিনই করে রাখি, যাতে ঈদের দিনটা যেন ফ্রি থাকতে পারি।
আর একটা কথা আপনাদেরকে বলে রাখছি এখন পর্যন্ত কিন্তু আমি ঈদের জামা হাতে পাইনি। সেটা নিয়ে আমার অনেক টেনশন কাজ করছে জামা কি শেষ পর্যন্ত হাতে পাবো। ঈদের দিন রাত বারোটার সময় ফোন দিয়ে দর্জিকে জিগ্যেস করা হল জামা হয়েছে কিনা, বললো এখনো জামা রেডি হয়নি আমি ভোর চারটের সময় এসে জামা দিয়ে যাব ।এখন কি আর করার ভোর চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আমিতো শুয়ে পড়েছি কিন্তু আমার হাজব্যান্ড চারটা পর্যন্ত অপেক্ষা করছে কখন জামা নিয়ে আসে কিন্তু 4 টার দিকে ফোন দেওয়া হলো ছেলেটা আর ফোন ধরে না। এদিকে আমি শুয়ে আছি আর ঘুমের ভিতরে টেনশন করছি জামা।না দিলে কি হবে। সকালবেলা ফোন দেওয়া হয়েছে পরে ফোন ধরে না পাশের বাসার বাচ্চাদের জামা ঐ লোকটার কাছে তারা ফোন দিয়ে যাচ্ছে পরে ফোন ধরে বলেছে ঈদের নামাজ পড়ে এসে জামা দিয়ে যাবে। তারপর সকাল এগারোটার সময় জামা নিয়ে আসলো ।যাক বাঁচা গেল শেষ পর্যন্ত জামাগুলো তো হাতে পেলাম । সারাটা রাত আমার টেনশনে খুব একটা ভালো ঘুম হলো না সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। নামাজ পড়ে এসে আবার আর একটা ঘুম দিলাম একটু দেরি করে উঠে তারপরে বাকি রান্না সেরে ফেলে রেডি হয়ে বাইরে বের হলাম।
আমার এক আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে দুপুরে খাওয়া শেষ করলাম। তারপরে বাচ্চাকে নিয়ে একটু ঘুরতে বের হলাম শহরের একটা জায়গায় আমরা সব সময় যায় সেটি হল টি এস সি সেখানে গিয়ে বেশ কিছু ছবি তুললাম ।তারপর আরো কিছুটা সময় রিক্সায় ঘোরাঘুরি করে তবে বাসায় ফিরে আসলাম ছবিগুলো এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
উপর যে ছবি চারটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হলো টি এস সির দোয়েল চত্বর। এখানে একটা ফোয়ারা দিয়ে পানি পড়ছিল দেখতে খুবই ভালো লাগছিল ।এখানে দাঁড়িয়ে আমরা কয়েকটা ছবি তুলেছি। এই জায়গাটা আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে মাঝে মাঝেই আমরা এখানে আসি।
এটা একটা নার্সারি এখানে বিভিন্ন রকমের ফুলের গাছ বিক্রি করা হয় ।এখানে এমন কোন গাছ নেই যে পাওয়া যায় না। আমরা এখান থেকে মাঝে মাঝে গাছ নিয়ে থাকি। এখানে আসলে গাছ কিনতে মন চায় গাছ না নিয়ে কখনো বাসায় ফেরা যায়না খুব সুন্দর লাগে গাছগুলো দেখতে।
ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা এইরকম ফাঁকা থাকে ।রাস্তায় বের হলে রিক্সা দিয়ে ঘুরতে খুবই ভালো লাগে। ঈদের সময় ছাড়া এরকম রাস্তা কখনোই দেখা যায় না।
এটা হল জাতীয় ঈদগাহ এখানে ঈদের দিনে হাজার হাজার মানুষ আসে ঈদের জামাত আদায় করতে।
এখন যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটি আমাদের বিল্ডিং-এর সাত তলার একটি খেলা ঘর। এখানে সব বাচ্চারা বিকেলবেলা খেলতে আসে। আমরাও মাঝে মাঝে যাই ক্যারাম খেলার জন্য ।জায়গাটা বাচ্চাদের খেলার জন্য বিশাল একটি ঘর।
এটাই ছিল আমার আজকের আয়োজন ।আশা করছি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে কষ্ট করে আমার পোস্টটি দেখার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আবার কোনদিন হাজির হয়ে যাব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung galaxy s8 plus |
ছবির লিংক | Link |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
আপনার ঘুরাঘুরি পোস্টটা দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমি এখন পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করতে যেতে পারিনি। ঈদের থেকে যেন প্রচুর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। আপনার তোলা ছবিগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঈদ-আনন্দ খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। সত্যিই আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব দুর্দান্ত হয়েছে। ঢাকা শহরের টি এস সির দোয়েল চত্বর, সুপ্রিম কোর্ট ,জাতীয় ঈদগাহ ময়দান আলোচিত দেখে খুবই ভালো লেগেছে। এত অসাধারন পোষ্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে আমার পোস্ট পড়ার জন্য।
ঈদের দিনের আগের রাত আপনি অনেক টেনশনের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন এটা বুঝতেই পারছি। কারণ আপনার জামা দর্জির কাছে ছিল। যাই হোক অবশেষে আপনি আপনার জামা হাতে পেয়েছেন এবং টেনশন মুক্ত হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে ঈদের দিন নতুন কাপড় না পড়লে কেন জানি ভালো লাগে না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
ঈদের দিনে ঘুরাঘুরির খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু।
আসলে ঈদের দিনে যদি নতুন জামা-কাপড় না পাওয়া যায় তাহলে অনেক কষ্ট লাগে। আর আপনি যে পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন আমি যদি এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়তাম তাহলে হয়তবা সারারাত ঘুমাতে পারতাম না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।