★ছেলের স্কুলের পরীক্ষা চলেই এলো★

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজ আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছেলের স্কুলের সময় প্রসঙ্গে। দেখতে দেখতে স্কুলের পরীক্ষা চলে এল। সময় কত দ্রুত চলে যায়। মনে হল এতে সেদিন ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করালাম। প্রথমে তো ভেবেছিলাম ছেলেকে স্কুলে দিয়ে দিয়েছে এখন তো পড়ালেখা যে করেই হোক না শেখাতে হবে । কিন্তু কদিন যেতেই আমার একেবারে নিরাশ হওয়ার অবস্থা কারণ ছেলে কিছুতেই একা একা স্কুলে বসতে চায় না। ওর সাথে সারাক্ষণই আমাকে বসে থাকতে হয়। প্রথম প্রথম কিছুদিন সাথে সাথে ক্লাসের ভিতরেই বসতাম কিন্তু পরে আস্তে আস্তে সেটাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু আজ ছয় মাস প্রায় হয়ে গিয়েছে কোনভাবেই একা বসাতে পারছি না। স্কুলে লেখাপড়াও প্রথমে ভেবেছিলাম কিছুই শিখতে পারবে না সারাক্ষণই তো আমাকে নিয়েই থাকে। কিন্তু তার ভিতরেও স্কুলে যতটুকু তারা যতটুকু করায়। বাসায় আমাকে তার থেকে বেশি চেষ্টা করতে হয়েছে। কারণ স্কুল ওরা তো একবার লিখে দেয় আর বাসায় হোমওয়ার্ক করানো এবং আরো বেশ কিছু টাইম আমাকে লিখাতে হয় পড়াতে হয় । আল্লাহর রহমতে সে সবকিছুতেই ছেলের আগ্রহ রয়েছে শুধুমাত্র ক্লাসে বসা ছাড়া।

20230608_234138.jpg


দেখতে দেখতে মোটামুটি লেখাটাও শিখে গিয়েছে। এখন তো পরীক্ষাও চলে এসেছে। এদিকে আমাকে ছাড়া সে বসে না আমি তো টেনশনে ভাবছি যে কিভাবে তাকে পরীক্ষা দেওয়াব। এদিকে ওদের ক্লাসের মিসরাও বলছে যে ও তো বসায় শিখছে না তাহলে পরীক্ষাটা দিতে ওর অসুবিধা হয়ে যাবে। কারণ আমাদের সাথে পরীক্ষা দিলে কিছু একটা বুঝতে না পারলে আমরা সেটা ওকে ধরিয়ে দিতে পারব এবং দেখিয়ে দিতে পারব কিন্তু ও আলাদাভাবে পরীক্ষা দিলে অন্য যে বড় মিসরা তারা নিবে। তখন তেমন একটা ভালো দিতে পারবেনা। কিন্তু কি আর করা ছেলে কিছুতেই ক্লাসে বসলো না।

20230608_234238.jpg


দেখতে দেখতে পরীক্ষার দিন চলে এলো যখন ক্লাসে পরীক্ষার জন্য সবাইকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তখন ও এত বেশি কান্নাকাটি শুরু করে দিল যে তখন তো পরীক্ষার দেওয়া নিয়েই আমি টেনশনে পড়ে গেলাম। তারপরে দেখলাম যে বড় হলরুমে যেসব বাচ্চারা বসে না তাদের সবার বসার ব্যবস্থা করেছ এবং একে একে পরীক্ষা নিচ্ছে। ওর সাথে আরও দু তিনজন ছেলেমেয়েও রয়েছে যারা মাকে ছাড়া বসে না। এই অতিরিক্ত গরমের ভেতরে ওদের পরীক্ষাটা ছিল। পরীক্ষা না থাকলে আমি ছেলেকে কিছুতেই এই গরমের ভিতরে স্কুলে নিয়ে যেতাম না ।পরীক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে যেতে হয়েছে ।

20230608_234227.jpg


শেষ পরীক্ষার দিন গিয়ে দেখলাম যে স্কুলের সব রুমে এসির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেটা দেখে কিছুটা স্বস্তি পেলাম যাক এখন থেকে গরমে আর স্কুলে কষ্ট করতে হবে না। পরীক্ষার পর বাচ্চারা এসির ভিতরে বসে ক্লাস করতে পারবে । কিন্তু তারপরও এখন পর্যন্ত পরীক্ষা শেষে আমি ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়নি। এই অতিরিক্ত গরমে পড়ার থেকে ছেলে মেয়ের দিকে খেয়াল রাখাটাই জরুরি। একবার অসুস্থ হয়ে গেলে তখন আরো বেশি ভোগান্তি হয়। যায় হোক পরীক্ষাটা তো দিয়ে ফেলল এখন ক্লাসে বসাটাই হলো বড় ব্যাপার দেখা যাক আল্লাহ ভরসা।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  

Your blog is really nice

 last year 

Thank you so much.

 last year 

আসলে প্রথম অবস্থায় বাচ্চারা নতুন পরিবেশের সঙ্গে তেমন একটা নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না যার কারণে হয়তোবা এরকম সমস্যা হয় আপনার ছেলের ক্ষেত্রেও হয়তোবা সেটাই ঘটেছে আপনাকে ছাড়া কিছুতেই বসতে চায়না। বর্তমান সময়ে আসলেই প্রচন্ড গরম পড়ছে আর এই গরমের সময় স্কুলে যাওয়াটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। তবে এটা জেনে ভালো লাগলো যে স্কুলে এসির ব্যবস্থা করা হচ্ছে এতে করে বাচ্চারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।

 last year 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এই অতিরিক্ত গরমের কারণে তো আমি স্কুলে যাই না এখন এসি লাগানো হয়েছে কষ্টটা এখন একটু কম হবে।

 last year 

আসলে ছোট ছোট বাচ্চারা বাবা মাকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা। স্কুলে গেলেও ক্লাস করতে চায় না মাকে ছাড়া। আপনার ছেলে তো ক্লাসে বসতেও চায় না আপনাকে ছাড়া। পরীক্ষা চলছিল, না হলে আপনি এই গরমের মধ্যে আপনার ছেলেকে স্কুলে পাঠাতেন না বুঝতে পারছি। এখন প্রত্যেকটা ক্লাসে এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে, এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। পরীক্ষা শেষে এখন বাচ্চারাও ভালোভাবে ক্লাস করতে পারবে এচির নিচে।

 last year 

এই গরমের ভিতরে এসি ছাড়া কোন উপায় নেই।

 last year 

আপনার বাচ্চা তো এখনো ছোট এজন্য আপনাকে ছাড়া বসতে চায় না। কিছুদিন গেলে ইনশা আল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। পরীক্ষা তো ভালোই দিয়েছে। ভালো হয়েছে গরমের ভিতরে এসির ব্যবস্থা করেছে এখন আর বাচ্চাদের কোন কষ্ট হবে না।

 last year 

দোয়া করবেন আপু ও যেন তাড়াতাড়ি ক্লাসে একা বসতে পারে।

 last year 

আপনার ছেলের পরীক্ষা চলে এসেছে দেখতে দেখতে। আপনার তো মনে হচ্ছে কিছুদিন আগে তাকে ভর্তি করিয়েছিলেন। যেহেতু ও এখনো ছোট তাই একা একা স্কুলে যেতে চায়না এবং একা একা ক্লাস করতে চায়না। আসলে ছোট বাচ্চারা এমনিতেই এরকম, বাবা-মাকে ছাড়া স্কুলে যেতে চায়না এবং ক্লাস করতে চায়না। এখন নতুন করে স্কুলে খুবই সুন্দর একটা উদ্যোগ নিয়েছে। প্রত্যেকটা ক্লাসে তাহলে এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা দেখে ভালোই লাগলো। সম্পূর্ণটা খুব ভালো লেগেছে পড়ে।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া প্রত্যেকটা ক্লাসে এসির ব্যবস্থা করা হয়েছে বাচ্চাদের একটু আরামের জন্য।

 last year 

ছোট বাচ্চাদের পড়ালেখার দিকে মা বাবাদের অনেক খেয়াল রাখতে হবে। আসলে ছোট বাচ্চারা প্রথমে স্কুলে গেলে মা না থাকলে ঠিকমতো বসে না। যাক ভালই লেগেছে স্কুলের পরীক্ষার রুমে এসি লাগিছে শুনে। ঠিক বলেছেন যেভাবেই গরম পড়তেছে যদি বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরীক্ষার ফর থেকে এখন আপনার বাচ্চাকে স্কুলে নেন নাই। আশা করি যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি গরম কমে যাবে। আপনার বাচ্চার জন্য দোয়া রইল সে ভালোভাবে যেন পড়ালেখা করে।

 last year 

অনেক বাচ্চারা আছে খুব তাড়াতাড়ি এডজাস্ট হয়ে যায় আর কিছু কিছু বাচ্চারা আছে ওদের এডজাস্ট করতে একটু সময় লাগে।

 last year 

আসলে ছোট বাচ্চারা প্রথম শিক্ষা লাভ করে মায়ের কাছ থেকে। এরপরে স্কুলে ভর্তি করানো হয়। দেখতে দেখতে আপনার বাচ্চার পরীক্ষা এসে গেল। তবে স্কুলে যেভাবে পড়ালেখা করানো হয় তার চেয়ে বেশি বাড়িতে মা বাবাদের খেয়াল রাখতে হয় তাদের পড়ালেখাগুলো। যাক এই গরমের মধ্যে স্কুলে এসি লাগিয়েছে শুনে খুব ভালো লাগলো। আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এভাবে এসির ব্যবস্থা থাকলে ছোট বাচ্চাদের জন্য অনেক ভালো হয়। দোয়া করি আপনার বাচ্চা যেন ভবিষ্যতে অনেক বড় হয়ে ভালো কিছু করতে পারে।

 last year 

আমার বাচ্চাটাকে আমি স্কুলে ভর্তি করার আগে কিছুই শেখায়নি স্কুলে দেওয়ার পরই সবকিছু শিখিয়েছি।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 62149.46
ETH 2438.84
USDT 1.00
SBD 2.68