★রঙীন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে ছোট্ট ছানা তৈরির অরিগামী★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
রঙীন কাগজ
সাদা কাগজ
কালো কলম
পেন্সিল
কম্পাস
কাঁচি
গ্লু
কার্যপ্রণালী
প্রথমে একটি রঙিন কাগজ নিয়ে কম্পাস দিয়ে গোল করে এঁকে নিয়েছি তারপর গোলের পাশ দিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
এরপর সাদা কাগজ দিয়ে গোল করে কেটে কালো কালি দিয়ে দাগিয়ে চোখ তৈরি করে নিয়েছি।
এরপর ঠোঁট ও ঝুঁটি তৈরি করে নিয়েছি।
এরপর আরো একটু রঙিন কাগজ নিয়ে দুটো পাখনার মত করে কেটে নিয়েছি।
এরপর একটি সাদা কাগজ নিয়ে নিচের বড় গোলটার ওপরে রেখে একটু বড় করে মাপ দিয়ে গোল করে কেটে নিয়েছি।
তারপর সাদা কাগজের উপরের অংশটুকু কাঁচি দিয়ে কোনা কোনা করে ডিমের খোলার মতো তৈরি করে নিয়েছি।
তারপর ছোট গোল কাগজটা নিয়ে বড় গোল কাগজটার উপরের দিকে গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি।
এরপর ঝুঁটিটা নিয়ে ছোটটার উপরের দিকে লাগিয়ে দিয়েছি।
তারপর গ্লু দিয়ে চোখ দুটো বসিয়ে দিয়েছি।
এরপর গ্লু দিয়ে ঠোঁটটা লাগিয়ে নিয়েছি।
তারপর গ্লু দিয়ে পাখনা দুটো লাগিয়ে নিয়েছি।
তারপর বড় গোল অংশটার নিচের দিকে একটু গ্লু লাগিয়ে সাদা অংশটুকু নিয়ে বসিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার রঙিন কাগজের তৈরি ছোট মুরগির ছানা ডিম থেকে ফুটে বের হচ্ছে সেরকম একটা অরিগামি।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|---|
| ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
| আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
|---|
@tauhida
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু বানালে বেশ ভালো লাগে । আপনি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে ছোট মুরগির বাচ্চা বের হওয়ার অরিগ্যামি তৈরি করেছেন। দেখতে বেশ সুন্দর লাগছে। আপনার ছেলেও বেশ পছন্দ করেছে। বাচ্চারা এ ধরনের জিনিস দেখলে বেশ খুশি হয়। আর আপনি আপনার ছেলেকে সাথে নিয়ে অরিগ্যামিটি তৈরি করলে বেশ ভালো হতো।এতে করে ছেলে নিজে বানিয়েছে বলে আরও খুশি হতো। অমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
ওকে সাথে নিয়ে তৈরি করলে জিনিসটা বানাতে আরও বেশি সময় লেগে যায়, কারণ ও সাথে সাথে বানাতে চায়।
আপু কি সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে বাচ্চাটার ফোঁটার দৃশ্য দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে । এই ধরনের কাজ নিজের দক্ষতা বাড়ায় যেটা বলার অপেক্ষা রাখে না ভালো লাগলো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে সত্যিই অনেক খুশি হলাম।
ওয়াও অসাধারণ ছিল আপু কাগজ দিয়ে বানানো মুরগীর ডিম থেকে ছানা বাননো পদ্ধতি টা ৷ বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে মুরগাীর ছানা ৷ অনেক সুন্দর ডাই প্রজেক্ট দেখতে পেলাম ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি ইউনিক ব্লগ শেয়ার করার জন্য ৷
আমার তৈরি করা মুরগির ছানাটি আপনার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও অ্যামেজিং!!!!
সত্যি আপু আপনার নতুন বুদ্ধির প্রশংসা না করে আর বাঁচবে না। দৃশ্যটি এত সুন্দর হয়েছে ইচ্ছে করছে তাকিয়ে থাকি।।
কালার কম্বিনেশন টাও দারুন ফুটেছে।
ধাপগুলো সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন ।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অনেক সুন্দর হয়েছে তাইনা ভাইয়া, আমার কাছে খুব সুন্দর লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরি অরিগামি গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে।আপু আপনি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে ছোট্ট ছানা বের হওয়ার দারুণ একটি অরিগামি তৈরি করেছেন যা দেখতে খুবই কিউট লাগছে। ছোট্ট ছানার অংশ টুকু কি যে দারুণ হয়েছে তা বলার মতো না অসম্ভব ভালো লাগার মতো একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।♥️
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আর ছোট ছানাটি সত্যি দেখতে অনেক কিউট লাগছিল বাস্তবেও ।
বাহ আপু আপনি দারুন সুন্দর একটি ইউনিক পোস্ট করেছেন। রঙিন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে ছোট ছানা তৈরীর অরিগামি। দেখতে একেবারে বাস্তব মুরগির বাচ্চার মতই মনে হচ্ছে। কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে দেখতে এমনিতেই সুন্দর লাগে। আর আপনার তৈরি এটি একেবারে ব্যতিক্রম। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রঙিন কাগজ দিয়ে ডিম থেকে ছোট ছানা তৈরি অরিগামী আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু তৈরি করার চেষ্টা করি । আপনাদের কাছে ভালো লাগে যেটা দেখে আমারও অনেক ভালো লাগে, কাজের প্রতি উৎসাহ বেড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা অবশ্য ভালো হয়েছে যে আপনার বাচ্চা প্রাক্টিক্যালি জিনিসটা শিখে নিয়েছে। এখন গল্প বলতে ওর আরো সুবিধা হবে। তাছাড়া এরকম কিউট জিনিস বানানো দেখলে আসলেই না বানিয়ে থাকা যায় না। আপনার মুরগির ডিম থেকে মুরগির বাচ্চা বের হওয়ার ডাইটি খুব চমৎকার হয়েছে। অনেক কিউট লাগছে দেখতে।
এটা গল্পের সাথে মিলে গিয়েছে দেখে ও আরো বেশি খুশি হয়েছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
বাহ!!আপু আপনার তৈরি ডাই প্রজেক্টটি আমার কাছে একদম ভিন্ন রকম মনে হচ্ছে। কেননা আমি এর আগে কখনো ডিম থেকে ছোট্ট ছানা তৈরি প্রজেক্ট দেখিনি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখতে পেলাম। তাই আপনার ডাই প্রজেক্ট আমার কাছে খুব খুব ভালো লেগেছে। সত্যিই আপু ছানাটি খুবই কিউট লাগছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রঙিন কাগজের একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমিও এর আগে এরকম জিনিস কাউকে বানাতে দেখিনি জিনিসটা আসলেই অনেক কিউট ছিল ভাইয়া।
সত্যিই দেখে মনে হচ্ছে ডিম থেকে বাচ্চা বের হয়েছে। দেখতেও ভীষণ কিউট লাগছে। তবে আপনার ছেলের বইয়ের গল্পের সাথে মিলে গেল এই বিষয়টা ভালোই হয়েছে। তাতে করে আপনার ছেলেও ভীষণ খুশি হয়েছে। ভেবেছে আপনি ওর বই থেকেই তৈরি করেছেন। তবে এই আইডিয়াটা আমার কাছে ভালো লাগলো।
ওর বইয়ের সাথে মিলে গিয়েছে দেখে ও আরো বেশি খুশি হয়েছে। আর আমার কাছেও খুব ভালো লেগেছে।