চিকেন চাপ ও লুচি খাওয়ার গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব চিকেন চাপ ও ফুচকা খাওয়ার অভিজ্ঞতা । বেশ কয়েকদিন বাসায় আমার বোনরা এসেছিল ওদের সাথে অনেক ঘোরাফেরা করেছি । ঘোরাফেরা করতে করতে কোথা দিয়ে যে সময়গুলো পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । সবাই যার যার মত চলে গিয়েছে । সেই ঘোরাঘুরি করার ফাঁকে মৌচাক মার্কেটে গিয়েছিলাম একদিন । সেখানে গিয়ে অনেক কিছু কিনেছি । মৌচাক মার্কেটের নরমালি আমি একা কখনো যাই না ওরা আসলেই যাওয়া হয় । কারণ ওই মার্কেটে অনেক বেশি পরিমাণে ভিড় থাকে মনে হয় ঢাকা শহরের সব লোকজনই মৌচাক মার্কেটে চলে এসেছে শপিং করার জন্য । কিন্তু আমার কাছে সেখানে গিয়ে শপিং করে মজা লাগে না । কারণ অত ভিড়ের ভিতর কোন কিছু কেনাকাটা করে আরাম নেই । তারপর কেউ যদি বলে তবে তাদের সাথে গিয়ে ছোটখাটো জিনিস কিনতে ভালই লাগে ।
কয়দিন আগে কয়েকটা জিনিস কিনেছিলাম মৌচাক মার্কেট থেকে । কিছু জিনিস চেঞ্জ করার পর দরকার ছিল কিন্তু সময় করে উঠতে পারছিলাম না । আজকে আমি আমার হাজব্যান্ড ও ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম সেই ছোট্ট গলিতে । বাসা থেকে যখন বের হয় তখন ঠান্ডা ছিল তাই শীতের কাপড় পড়ে ঢুকেছিলাম । কিন্তু এই গলির ভিতরে যখন ঢুকি তখন এতটাই গরম লেগেছিল যে একেবারে অস্থির হয়ে হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা । এই শীতের ভিতরে এ অবস্থা গরমের সময় গেলে একেবারে কাতর হয়ে যেতে হয় । তারপরও আমি আমার কাজগুলো সেরে দ্রুত সেখান থেকে বের হয়ে আসি ।
তারপর ছেলে বায়না ধরে যে ফুচকা খাবে । আর ওই মৌচাক মার্কেটের ভিতরে বসে ফুচকা খেতে আমার একদমই ভালো লাগেনা । আমরা নরমালি বেইলি রোডে ফুচকা খেতে বেশি পছন্দ করি । যার কারণে ওইখান থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসলাম এবং সেখান থেকে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম বেইলি রোডে । ভেবেছিলাম রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক কাপ চা খাব তবে আমি যেখান থেকে চা খাই সেই দোকানটা ওই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে গিয়েছে । দেখলাম যে ছেলেটা চায়ের পাতিল ধুয়ে রেখে দিচ্ছে সেটা দেখে মনটা কিছুটা খারাপ হয়ে গেল । তারপর ফুচকা খেতে চলে গেলাম ।
ফুচকার দোকানে বসে পাশের দোকানে দেখলাম যে চিকেন চাপ ও লুচি বিক্রি করছে । সেখান থেকে আবার চিকেন চাপ লুচি অর্ডার করে বসলাম । এই চিকেন ও লুচি গরম গরম খেতে যে কতটা ভালো লাগে তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না । চিকেন চাপ খাওয়া শেষ হলে আবার ছেলের জন্য ফুচকা অর্ডার করেছি সেখান থেকেও কিছু খেয়ে নিলাম । এই দোকানের ফুচকা টাও খুব মজার । একসাথে কয়েক রকমের টক দেয় সবকিছু মিলিয়ে খেতে অসাধারণ লাগে । আর টকটা আপনি আপনার পছন্দ মত নিজের হাতে উঠিয়ে নিতে পারবেন । আগে ওরা দিতো এখন এই অপশনটা চালু করেছে আপনি নিজে গিয়ে উঠিয়ে নিবেন । এজন্য এই দোকানটাতে গিয়ে খেয়ে মজা আছে । এরপর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার হাঁটতে হাঁটতে সুন্দরভাবে বাসায় চলে আসলাম ।আজকের সন্ধ্যার সময়টুকু ভালই কাটলো ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু আপনি গরম লুচির কথা বলে তো আবার লোভ লাগিয়ে দিলেন। গরম লুচির সাথে চিকেন যেমন মজা লাগে আমার কাছে তো রস মিষ্টি ও খুব মজা লাগে। আর ফুচকার ক্ষেত্রে টক যত বেশি মজা হয় ফুচকার টেস্ট তত বেশি ভালো লাগে। যাইহোক আপনার কাটানো সুন্দর সময়টুকু শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এগুলো গরম গরম চিকেন দিয়ে খেতে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে । রস মিষ্টি দিয়ে কখনো খেয়ে দেখিনি কেমন লাগে তাই বলতে পারব না।
খাওয়া-দাওয়ার এক দারুন অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লেগেছে। এমন ভাজাপোড়া এমনিতেই আমার খেতে বেশ ভালো লাগে তাই মাঝেমধ্যে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে আমি আর আমার বন্ধু দুজন মিলে আট দশ কিলো পথ অতিক্রম করে চলে যায় বামুন্দি বাজারে। যাই হোক, বাবু ফুচকা খেতে চেয়েছে। ফুচকা সহ সবকিছুই মোটামুটি খাওয়ার মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন এ ধরনের ভাজাপোড়া খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে আর সবাই মিলে একসাথে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে ।
গরম গরম চিকেন চাপ ও লুচি খেয়েছিলেন জেনে খুব ভালো লাগলো। যেহেতু আপনার বোনেরা আপনার বাসায় এসেছিল, তাই ওনাদের সাথে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করা হয়েছিল যা বুঝতেই পারতেছি। আপনি অনেক মজা করে চিকেন চাপ এবং লুচি খেয়েছিলেন। আর আপনার ছেলে ফুচকা খেয়েছিল। চায়ের দোকানটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে, আপনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা খেতে পারেন নি এটা জেনে সত্যি খারাপ লাগলো। আশা করছি অন্য কোন একদিন গেলে চা খেতে পারবেন মজা করে।
আসলে কয়েকটা দিন অনেক মজা করে কাটিয়েছি এবং অনেক খাওয়া-দাওয়া করেছি ভালো লেগেছিল বেশ।
ছেলের আবদার পূরণ করতে গিয়ে দেখছি আপনি বেশ মজাদার খাবার খেয়েছেন। চিকেন চাপ, লুচি এবং ফুচকা দেখে তো আমার নিজেরই খুব লোভ লেগে গিয়েছে। আপনি চিকেন চাপ এবং রুচি খেয়েছিলেন। আর আপনার ছেলে ফুচকা খেয়েছিল দেখলাম, তাও আবার অনেক মজা করে। সবকিছু দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজাদার ছিল। ফুসকার টক নিজেরাই নেওয়া যায় এটা জেনে বেশি ভালো লেগেছে। নিজেরা তো মজাদার খাবার খেয়েছিলেন, আর আমাদেরকে লোভ লাগিয়ে দিলেন এদিকে। এটা কিন্তু ভালো হলো না আপু।
এগুলো সব মজাদার ও লোভনীয় খাবার দেখলেও খেতে ইচ্ছা করে এবং খেতে খুব ভালো লাগে, ফুচকা আমরা সবাই কম বেশি পছন্দ করি।
সবাই মিলে বেশ খাওয়া দাওয়া করলেন।তবে চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল।আপনি বেইলি রোড থেকে ফুসকা খেয়ে থাকেন।ফুসকা যেখান সেখান থেকে খাওয়া যায়না আসলেই।পছন্দের ফুসকা যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে খেলেই ভালো।ভালো লাগলো পোস্টটি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
বেইলিরোড তো খাওয়ার জন্য বিখ্যাত এই এলাকার সব খাবারই অনেক মজাদার । এজন্য রাস্তায় বের হলে এখান থেকেই খাওয়ার চেষ্টা করি।
আপনারা দেখছি অনেক কিছু খাওয়া দাওয়া করেছেন সেদিন বের হয়ে। বিশেষ করে গরম গরম লুচি এবং সাথে চিকেন চাপ, এটা অসাধারণ কম্বিনেশন। তারপরে আবার ফুচকা এবং টক জলটা, জাস্ট অনেক টেস্টি হয় । যেহেতু নিজের ইচ্ছামত টক জল নেওয়ার অপশন ছিল, তার মানে মন ভরে খেতে পেরেছেন বোঝা ই যাচ্ছে। আসলে আপু আমি নিজেও ভিড়ের ভিতর কেনাকাটা করতে পছন্দ করি না। এজন্য শপিংমলে চলে যাই, যাতে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিয়ে বাড়ি আসতে পারি। নিজের পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, সেটা আপনার পোস্ট পড়েই বুঝতে পারলাম আপু।
এখানে ওরা একসাথে অনেকগুলো টক দেয় আপনি আপনার ইচ্ছামত নিতে পারবেন এই কারণে আরো বেশি ভালো লাগে এই জায়গাটার ফুচকা ।
যে জায়গাগুলোতে ইচ্ছামত এমন নিয়ে খাওয়া যায়, সেই জায়গাগুলোতে খেয়ে মজা আছে। টাকা একই থাকে কিন্তু মন প্রাণ ভরে খাওয়া যায় এই আর কি।
মৌচাক মার্কেটের ভিড়ের গল্প আমিও অনেকের মুখে শুনেছি। খুবই করুণ অবস্থা নাকি ওখানে। তবে বাইরে এসে যা খাওয়া দাওয়া করলেন আপু 👌👌, এই মুখরোচক খাবার গুলো সামনে আসলে নিজেকে একদমই কন্ট্রোল করা যায় না। চিকেন আর লুচি হলে কথায় নেই। তবে আমার এগুলো খেলে ইদানিং খুব এসিডিটি হয়, তাই বাইরের প্রায় সব ধরনের খাওয়া দাওয়াই কমিয়ে দিয়েছি।
এসিডিটি আবার বলতে একদিক দিয়ে মজার খাবার খাবো আর এক দিক দিয়ে গ্যাসের ওষুধ খাবো কাটাকাটি হয়ে গেলো । তাই বলে কি মজার খাবার মিস দিব নাকি ।
এজন্য আমি মৌচাক মার্কেটে খুব একটা যাই না । গরমের সময় তো যাওয়া যাই না শীতের সময় গিয়েছি তাই অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল ।
আপু মৌচাক মার্কেটে লোকজনের ভিড় একটু বেশি থাকলেও কেনাকাটা করতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে ।আমরা সবাই মিলে যেবার গিয়েছিলাম বেশ ভালই লেগেছিল ।আপনি এবার একা একা গিয়েছেন এবং আসার পথে চিকেন চাপ ও লুচি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ।এটি কি ওই দোকানের চিকেন চাপ নাকি আমরা যেখান থেকে খেয়েছিলাম। যাইহোক আপনার লেখাটা পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
না এটা অন্য দোকানের ছিল ইনফিনিটির আশেপাশে । এই দোকানের চাপটাও খেতেও ভালোই লাগে । দেখে লোভ সামলাতে পারিনি তাই খেতে বসে গিয়েছিলাম।