রঙীন কাগজ দিয়ে দোতলা বাড়ি তৈরি,10%shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20221024_021635480.jpg


আজ আমি রঙিন কাগজ দিয়ে আবার একটি ডাই প্রজেক্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি রঙিন কাগজ দিয়ে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেছি। রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো বানাতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু এগুলো বানাতে অনেক বেশি সময় লাগে। আর আমি সবসময় কঠিন কঠিন জিনিস একটু বানানোর চেষ্টা করি। আমার সবসময় কঠিন কোন জিনিস দেখলে সেটি বানাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বানাতে গিয়ে যখন আর মেলাতে পারি না তখন মাথাটা গরম হয়ে যায় আর টেনেটুনে ছিড়ে ফেলি বেশিরভাগ সময়। এরকম যে কত ছিড়ে ফেলে দিয়েছি তোর কোন হিসাব নেই। অনেকদিন আগে এই ঘরটি তৈরি করেছিলাম। ঘরটি আমার কাছে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছিল তাই এতদিন ঘরটি আপনাদের সাথে শেয়ার করিনি। মনে হয়েছিল এত সুন্দর একটি ঘর শেয়ার করলেই তো সবাই দেখে ফেলবে তাই নিজের কাছে আড়াল করে রেখেছিলাম। এখন আর দেওয়ার কিছুই নাই তাই এটি আপনাদের সামনে শেয়ার করলাম। আমার পছন্দের জিনিসটি আপনারাও একটু দেখুন।

0101010.png

প্রয়োজনীয় উপকরণ

  • রঙীন কাগজ
    • সাদা কাগজ
  • কালো কলম
    • কাঁচি
  • স্কেল
    • গ্লু
  • পেন্সিল

0101010.png

কার্যপ্রণালী

0101010.png

20220804_234243.jpg20220804_234400.jpg
20220804_234439.jpg20220804_234603.jpg
প্রথমে এ ফোর সাইজের একটি রঙিন কাগজ নিয়ে এক সাইড থেকে চিকন করে একটা ভাঁজ দিয়েছি। তারপর অন্য সাইড থেকে আরও একটি ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি এবং তারপর দুই পাশে ভাঁজে ভাঁজে মিলিয়ে দিয়েছি। তারপর লম্বা সাইডে স্কেল দিয়ে আর একটি দাগ দিয়ে নিয়েছি।
20220804_234631.jpg20220804_235400.jpg
20220804_235453.jpg20220804_235910.jpg
তারপর ওইটা আবার কাঁচি দিয়ে কেটে দিয়েছি। তারপর অন্য সাইডে সমান মাপে মাপ দিয়ে ত্রিভুজের মতো দাগ দিয়ে নিয়েছি উপরের দিকে। তারপর ত্রিভুজগুলো কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি।
20220805_000552.jpg20220805_000711.jpg
20220805_001017.jpg20220805_001525.jpg
তারপর অন্য কালারের আরো একটি কাগজ নিয়ে আগের কাগজের মাপ দিয়ে কাগজটি কেটে নিয়েছি। তারপর পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে কাগজটি ভাঁজ করে নিয়েছি।
20220805_002157.jpg20220805_002527.jpg
20220805_002641.jpg20220805_002732.jpg
এরপর উপরের দিকে ত্রিভুজ আকৃতির এঁকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি। এরপর ছোট্ট একটি সাদা কাগজ নিয়ে গোল করে কেটে কালো কলম দিয়ে চারপাশের দাগ দিয়ে দিয়েছি এবং ছোট্ট একটি গোল ফোটা দিয়ে দিয়েছি। তারপর কাগজটা নিয়ে আগে থেকে বানিয়ে রাখা ছোট্ট কাগজটার মাঝখানে বানিয়ে দরজা তৈরি করে নিয়েছি। এরপর এক সাইডে এগুলো লাগিয়ে নিয়েছি।
20220805_002800.jpg20220805_003617.jpg
20220805_003213.jpg20220805_004101.jpg
তারপর গ্লু দিয়ে অন্য পাশ লাগিয়ে দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর বানিয়ে দিয়েছি। এরপর আগে থেকে বানিয়ে রাখা কাগজটি দুই পাশে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে জানালা তৈরি করে নিয়েছি। এরপর আরো ছোট ছোট সাদা কয়েকটি কাগজ নিয়ে জানালার মত বানিয়ে নিয়েছি কালো কলম দিয়ে এঁকে এঁকে।
20220805_004200.jpg20220805_004257.jpg
20220805_004327.jpg20220805_004440.jpg
এরপর ছোট ঘরটা নিয়ে বড় কাগজটার মাঝখানে লাগিয়ে দিয়েছি এবং ছোট ঘরের চারপাশে সাদা কাগজগুলো লাগিয়ে ঘরের জানালা তৈরি করে নিয়েছি। তারপর একপাশে গ্লু লাগিয়ে নিয়ে অন্য পাশ থেকে কাগজ এনে লাগিয়ে দিয়েছি।
20220805_004601.jpg20220805_004911.jpg
তারপর ওপরের কোনাগুলোর সাথে গ্লু লাগিয়ে নিয়ে আগে থেকে বানিয়ে রাখা ভাঁজ দেওয়া কাগজটা এনে বসিয়ে দিয়ে ঘরের চাল বানিয়ে নিয়েছি।

20220805_004957.jpg

20220805_004949.jpg

ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার রঙিন কাগজের তৈরি একটি দোতলা বাড়ি। এই বাড়িটা কিন্তু বানাতে অনেক কঠিন ছিল এবং অনেক সময় লেগেছে। এটি আমি খুব সহজেই বানাতে পারেনি অনেক বেশি সময় নিয়ে তৈরি করেছি। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আপনারা কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 2 years ago 

আপু কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আর যখন মেলাতে পারেন না তখন মাথায় রাগ উঠে যায় আর সেটা ছিঁড়ে ফেলে দিলেই তো সব শেষ। যাইহোক কাজ করতে হবে ঠান্ডা মাথায় বুঝে শুনে। তবে যে ঘরটি কাগজ দিয়ে তৈরি করেছেন সত্যিই অসাধারণ হয়েছে আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছে। তবে এই কাজগুলো অনেক কঠিন এবং সেইসাথে অনেক সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি ঘর কাগজ দিয়ে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

রেগে গেলে হেরে যায় না ভাইয়া ছিড়ে ফেলে আবার নতুন করে বানাতে বসি। শেষ পর্যন্ত না মেলা পর্যন্ত বানাতেই থাকি পরে হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। আপনার দোতলা বাড়ি তৈরি করার ধাপগুলো দেখে শিখে নিলাম। পরবর্তীতে তৈরি করব ইনশাআল্লাহ।

 2 years ago 

আপনি আমার দোতলা বাড়ি দেখে শিখে নিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আপনিও একদিন বানিয়ে ফেলুন ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আরে আপু এতো মাথা গরম করলে চলবে ৷ আপনি তো দেখছি দুই তালা ফ্লাটের মালিক ৷ আপু বাসা ভাড়া হবে তো আমি একটা নিতে চাচ্ছি ৷ সিঙ্গেল কিন্তু হিহিহিহিহি!!!!
যা হোক আপনার তৈরি রঙিন কাগজ দিয়ে দোতলা বাড়ি অনেক সুন্দর লাগছিল ৷

 2 years ago 

না মেলাতে পারলে মাথা এমনিতেই গরম হয়ে যায় অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো।

 2 years ago 

রঙিন কাগজের কঠিন জিনিস গুলো বানাতে আমার কাছেও ভালো লাগে। কিন্তু আপনার মত একই অবস্থা হয় শেষে গিয়ে মিলাতে না পেরে ছিরে ফেলে দিই। এর আগেও আমিও বেশ কয়েকবার এমন করেছি। আপনার আজকের রঙিন কাগজের তৈরি ঘরটি খুবই কঠিন মনে হয়েছে আমার কাছে। তারপরও আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফিনিশিং করতে পেরেছেন। দেখতে খুব ভালো লাগছে দোতলা বাড়িটি।

 2 years ago 

আসলেই আপু কঠিন জিনিস গুলো দেখলে মনে হয় যে এটাই আমি বানাতে পারবো। তবে যখন বানাতে বসি তখন না মিললে তো আর ভালো লাগেনা। আপনারও সেম অবস্থা জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু ।

 2 years ago 

কিন্তু বানাতে গিয়ে যখন আর মেলাতে পারি না তখন মাথাটা গরম হয়ে যায় আর টেনেটুনে ছিড়ে ফেলি বেশিরভাগ সময়।

রঙ্গীন কাগজ দিয়ে তৈরি দোতলা বাড়ি দারুণ হয়েছে আপু। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক পরিশ্রম করে এই কাগজের বাড়িটি তৈরি করেছেন। আসলে সময় ও ধর্য্য থাকলে সব কাজে সফল হওয়া যায়। তবে যখন মেলানো যায়না তখন মাথা গরম হয়ে যায় 😅। আমিও এভাবে তৈরি করার চেষ্টা করবো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো আপু।

 2 years ago 

আসলেই আপু এটি বানাতে অনেক পরিশ্রম হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বানাতে পেরেছি এ জন্য অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে আপু আমরা এরকমই নতুন কিছু সহজে কারো সামনে আনতে চাই না যদি দেখে ফেলে। কিংবা নষ্ট হয়ে যায় এজন্য। আপনি অনেক আগে তৈরি করেছেন কিন্তু শেয়ার করছেন এখন। আর আপনার তো দেখছি অনেক বেশি মাথা গরম। যদিও এসব কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক বেশি ধৈর্যের প্রয়োজন। ধৈর্য ধরে এত সুন্দর একটা দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন ভীষণ ভালো লাগলো। যদি এরকম একটা সত্যিকারের বাড়ি তৈরি করতে পারতাম বেশ ভালই হতো।

 2 years ago 

একদম তাই ছোটবেলা ঈদের জামা কেনার মত সহজে কাউকে দেখাতে যেতাম না যদি পুরানো হয়ে যায়। আমার এই বাড়িটা বানিয়ে তাই মনে হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

আপু এখন তো আমার চোখে পরে গেল এত সুন্দর একটা বাড়ি,, এবার যে আমি নিয়ে নেব, এখন কি হবে ? 😅। বাড়িটা দেখিয়েই তো ভুল করে ফেললেন। আমার জন্য রেখে দেবেন এটা 😊।
অসম্ভব মিষ্টি লাগছে সত্যি। একদম বাইরের শেষ গুলোতে যেমন টা দেখা যায়। ঘরের চাল থেকে শুরু করে দরজা জানালা সব কিছু দারুন ফুটে উঠেছে। আমি বানাতে নিলে নির্ঘাত বাড়ির নিচে উল্টে পরতাম 😉। হিহিহিহি। দারুন লাগলো আপু আপনার হাতের কাজ টা।

 2 years ago 

আমারও বাড়ির নিচে পরার অবস্থা হয়েছিল তবে শেষ পর্যন্ত আর পরিনি। আর বাড়িটি তার দুইদিন পরেই আমার ছেলেটা নিয়ে ছিড়েছুড়ে টুকরো করে ফেলেছে আপনাকে কিভাবে দেব।

 2 years ago 

আপনার হাতের কাজ দেখে তো সত্যি আমি খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকার রঙীন কাগজ দিয়ে দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন। এবং আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। সত্যি আপনার দক্ষতা এবং ধৈর্য অনেক। কাগজের তৈরি দোতলা বাড়ি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

 2 years ago 

এই বাড়িটা বানাতে আসলেই অনেক ধৈর্য ও পরিশ্রম হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বানিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছি এই জন্য অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 2 years ago 

আপনি ত দেখি আমার মতই ঠিকমত বানাতে না পারলে আগ্রহ কমে যায়, আর হয়ে গেলে মহা খুশি লাগে। যাই হোক আপনি এত সুন্দর একটি ঘর বানালেন কিভাবে? অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার কাছে বানানোর পদ্ধতি খুব জটিল মনে হচ্ছে। অনেকগুলো ধাপ অবলম্বন করে আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে ঘর বানিয়েছেন। অনেক ক্রিয়েটিভ আইডিয়া ছিল আপনার। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

কাগজের জিনিস বানাতে গেলে সবারই মাথা খারাপ হয়ে যায় যদি শেষে এসে আর না মিলে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.034
BTC 64116.01
ETH 2758.41
USDT 1.00
SBD 2.65