আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি, আর তা হল আলু ও করলা দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি। ছোট মাছ আমার খুব একটা খাওয়া হয় না খায় না বললে চলে আর খাওয়া হলেও আলু কিংবা বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করা হয়ে থাকে।বেশ কদিন হলো আম্মার বাসায় এসেছি সেখানে দেখলাম যে আম্মা করলা ও আলু দিয়ে ছোট মাছগুলো চচ্চড়ি করছে। করলা কখনো এভাবে চচ্চড়ি করে খাওয়া হয়নি সবসময় আমি করলা আলু দিয়ে ভাজি করেছি কিন্তু মাছ দিয়ে কখনো খাইনি। চচ্চড়িটি যদিও আমি করেছি কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছিল এভাবে রান্না করলে খেতে কেমন লাগে কে জানে, পরে যখন রান্না করা হলো তখন খাবারটি গরম ভাত দিয়ে খেতে ভালোই লেগেছিল। তাই চলে এলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। |
প্রথমে চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতর তেল দিয়ে দিয়েছি ।তারপরে কেটে রাখা করলা ও আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর মাছগুলো দিয়ে দিয়েছে এবং পিয়াজ ও কাঁচা মরিচ কেটে রেডি করে রেখেছি। |
তারপর পেঁয়াজ মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। এরপরে হলুদ লবণ দিয়ে হালকা একটু নেড়েচেড়ে একটু পানি দিয়ে দিয়েছি, যাতে আলু গুলো সিদ্ধ হয়ে মাছের ভেতরে সব রকম মসলা ঢুকতে পারে ।তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। |
এরপর ঢাকনা খোলার পর দেখব যে পানিটা অনেক টেনে এসেছে তখন আবার একটু নেড়েচেড়ে এদিক-সেদিক ঘুরিয়ে দিয়েছি। তারপর ধনিয়া পাতা দিয়ে আবার নেড়েচেড়ে চারপাশ দিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছি। |
এরপর আরো কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে পানিটাকে শুকিয়ে নিয়েছি। যতক্ষণ না নিচ দিয়ে পুরা পুরা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত রান্না করে নিয়েছি। যখন একটু পুরা পুরা হয়ে উঠেছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। রান্নাটা হয়ে গিয়েছে। |
এখন একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি গরম গরম পরিবেশন করার জন্য। গরম ভাত দিয়ে খেতে কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল। আমি তো ভেবেছিলাম তিতা লাগবে পরে দেখলাম যে একটুও তিতা ছিল না খেতে খুবই মজা ছিল। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
যদিও আমি তেতো খাবার একদমই খেতে পারি না, তবুও আপনার এই পদটি আলাদা লাগছে।কারণ মনে হচ্ছে তেতো টা কম ব্যাবহার করেছেন। সুন্দর।
করোলা তেতো হলেও খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে। আর এভাবে করে আমি আগে কখনো খাইনি প্রথম করেছি। খাবারটি ভালই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে করলা ও আলু দিয়ে ছোট মাছের রেসিপি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। এসব রেসিপি গরম ভাত দিয়ে খেতে খুব মজা লাগে। তবে রেসিপি কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিকই বলেছেন এই ধরনের খাবারগুলো গরম ভাত দিয়ে খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু লাগে। আমার খাবারটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট মাছের সমন্বয়ে আপনার এত সুন্দর রান্না আমাকে মুগ্ধ করেছে। খুব ভালো লাগলো এভাবে রান্না করতে দেখে। আলু আর করল্লার সমন্বয়ে ছোট মাছ রান্না করে দেখিয়েছেন আপনি। কার্যপ্রণালীর প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে শেষ পর্যন্ত আমার খুবই ভালো লাগলো।
আলু আর করলা দিয়ে এভাবে কখনো ছোট মাছ আমি রান্না করিনি প্রথম রান্না করেছি। খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু বাড়িতে আপনার বাবা কেমন আছেন?
আলু এবং করোলা দিয়ে এরকম চচ্চরি আমিও খেয়েছি বাড়িতে, তবে ছোট মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। এরকম ছোট মাছ এমনিতেই খেতে অনেক মজার হয়ে থাকে। আমার তো মনে হয় খেতে বেশ দুর্দান্ত লেগেছে। অনেকেই অবশ্য করলা পছন্দ করেন না। আর সে দিক থেকে আপনার রান্নাতে ধনেপাতা দেওয়াতে মনে হয় খাবারের স্বাদটা আরেকটু টেস্টি হয়ে গেছে।
আমার বাবার অবস্থা একই রকমই রয়েছে।
আলু আর করলা দিয়ে ভাজি করে আমি তো সবসময়ই খাই, তবে এভাবে ছোট মাছ দিয়ে এই প্রথম করলাম। আম্মার কাছ থেকে এই রেসিপিটি শিখেছি খেতে খুবই মজা হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছোট মাছের চচ্চড়ি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু সব সময় আলু বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করি। এভাবে করোলা এবং আলু দিয়ে কখনো চচ্চড়ি করি নি। আজকে নতুন শিখলাম করোলা এবং আলু দিয়ে চচ্চড়ি। দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার পদ্ধতি সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
আমি তো সবসময় মনে করতাম যে করলা আর আলু দিয়ে এভাবে মাছের চচ্চড়ি করলে খেতে তিতা লাগে, এখানে এসে দেখলাম যে আম্মা এভাবে করে খেতে ভালোই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
করলা খেতে আমার খুব ভাল লাগে। তবে আমার ভাজিটাই বেশি খাওয়া হয়। আপনি করলা এবং ছোট মাছ দিয়ে খুব সুন্দর চচ্চড়ি রান্না করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। করলার অনেকগুলো গুনাগুন আছে। আপনি ছবি এবং বর্ননার মাধ্যমে অনেক সুন্দর ভাবে রান্নার রেসিপি উপস্থাপন করেছেন। রান্নার পরিবেশনও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
আমিও ভাজি খাই বেশিরভাগ সময় এভাবে করিনি কখনো। করলার গুনাগুনের জন্য করলা খাই না ভালো লাগে তাই খাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।