করোনার বুস্টার ডোজ নিয়ে ফেললাম,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের সবাই ভালো আছে নিশ্চয়ই। আজ আমি চলে এসেছি ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে আজ আমি আমার করোনার বুস্টার ডোজ টিকা নিয়ে আসলাম। সেটাই আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করতে চলে এসেছি।
***অনেকদিন হয়ে গেল করোনার দুটো টিকাই কমপ্লিট করেছি। তাই বুস্টার ডোজ এর অপেক্ষায় ছিলাম কবে আসবে এসএমএস। আর টিকার নাম শুনলেই আমার একটু ভয় ভয় করে এটা আমার সব সময় হয়। ইনজেকশন টিকার কথা মনে পড়লেই শরীরের ভিতরে আগে থেকেই কেমন যেন শুরু হয়ে যায় ***
বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য ফোনে এসএমএস আসে চৌদ্দ তারিখে কিন্তু ফোনে সারাদিন এত এসএমএস আসে যে প্রয়োজনীয় এসএমএস অনেক সময় দেখাই হয় না তাই টিকার যে এসএমএসটি এসেছে সেটি চোখ এড়িয়ে গেল দেখতেই পেলাম না। আমি এবং আমার হাজব্যান্ড দুজনের একজনও মেসেজটি খেয়াল করিনি। অথচ আমার পাশের বাসার ফ্যামিলির সবাই নিয়ে এসেছে তাদের সবারই জ্বর শরীর ব্যথা শুনে আসলাম কিন্তু একবারও খেয়াল হলো না যে আমাদের ডেটওতো আসতে পারে ।
হঠাৎ করে বিকেল পাঁচটার দিকে আমার হাজব্যান্ড আমাকে ডাকছে যে আমাদের ফোনে তো মেসেজ এসেছে আমাদের টিকার ডেট শুনে আমার কাপন শুরু হয়ে গেল। আমার হাসব্যান্ড বলল অনেক দেরি হয়ে গেছে তারপরও চলো যাই গিয়ে দেখে আসি যদি নেওয়া যায়। টিকার সেন্টারটা আমাদের বাসা থেকে বেশি দূরে নয় রিক্সায় গেলে দশ মিনিটের মত লাগে। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে রওনা দিলাম এটা পুলিশ লাইন হসপিটাল। গেটে পুলিশ দাঁড়িয়েছিলো তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলল যে আজকের টিকা দেয়া হবে না একটার ভিতর টিকা নেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে, আপনারা কালকে একটার ভিতরে আসুন ।বাসায় চলে আসলাম আসার পথে কম্পিউটার দোকান থেকে টিকার কার্ড বের করে নিলাম। কার্ড ছাড়া টিকা দেওয়া যাবে না। এখন থেকেই তো আমার ভিতরে টেনশন হয়ে গেল ভয়ে আবার জ্বর ব্যথা হবে এই চিন্তায় ।
পরের দিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম টিকা নিতে যাব একটা প্রস্তুতি নিতে থাকলাম। আমরা সকালের নাস্তা করে নিলাম এবং বাচ্চাকে নাস্তা খাইয়ে পাশের বাসায় রেখে গেলাম তারপর চলে গেলাম টিকা কেন্দ্র।
প্রথমে গেট দিয়ে ঢুকলাম ।আগেরবার যেখানে টিকা নেওয়া হয়েছিল সেখানে ঢুকলাম সেখান থেকে জানতে পারলাম যে আজকে এই বিল্ডিংয়ে দিবে না, দিবে পাশের বিল্ডিংয়ে চলে গেলাম পাশের বিল্ডিংয়ে। সেখানে যেয়ে আমরা দুজন একই জায়গায় কাগজ জমা দিতে গেলাম কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা গেলো ছেলে মেয়ে আলাদা জায়গায় কাগজ জমা দিতে হবে ।আমার হাজব্যান্ড তারটা জমা দিয়ে আমারটা নিয়ে একটা রুমে ঢুকলাম রুমে ঢুকেই দেখি সবাইকে টিকা দিচ্ছে, সেখান থেকে বলল যে কাগজটা জমা দিয়ে আসুন পরে অন্য আরেকটা রুমে কাগজ জমা দিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। খুব তাড়াতাড়ি আমার নাম চলে আসলো গেলাম টিকা নিতে সেখানে একসাথে চার পাঁচজন যার যার জায়গায় বসল সবাই যার যার মতো রেডি হয়ে বসতেই একেক জনকে টিকা দিতে পাঁচ সেকেন্ড লাগে না। দিয়ে দিল টিকা একটু ব্যথা পেলাম পরে বের হয়ে আমি আমার হাজবেন্ডের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। ছেলেদের থেকে মেয়েদের টিকা সবসময় একটু আগে আগে হয় কেন জানিনা। আমি ওর জন্য দশ মিনিট অপেক্ষা করতেই ও চলে আসলো।
হাসপাতালের সামনের দিক
আমি বসে বসে কয়েকটা ছবি তুললাম তারপর নিচে নামলাম ।এই হসপিটালটা পুলিশদের দেখতে খুব সুন্দর বাইরে থেকে অনেক ভালো লাগে দেখতে। ভিতরটা অনেক ঝকঝকে পরিষ্কার ।বাইরে একেবারে গেট দিয়ে ঢুকে প্রথমে বড় একটা ফুলের বাগান আছে দেখতে অপূর্ব লাগছিল ।বিভিন্ন রংবেরঙের ফুল ফুটে ছিল আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। প্রচন্ড রোদ এক মিনিটও দাঁড়ানোর উপায় নেই সেখানে রোদের ভিতর। হাটা অবস্থায় কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম।
দোতলায় উঠার রাস্তা
পুরুষদের টিকা দেওয়ার লাইন
মহিলাদের টিকা দেওয়ার লাইন
তারপর বাসায় চলে আসলাম কিছু কেনাকাটা করে। এখন পর্যন্ত তো ভালো আছি জানিনা কাল পর্যন্ত কি হবে ব্যথা হবে কিনা। সবাই আমার জন্য একটু দোয়া করবেন।
এটাই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করছি আপনারা কষ্ট করে সবাই একটু পড়বেন। আজ এই পর্যন্তই আবার অন্য কোনদিন হাজির হয়ে যাব অন্য কোন ব্লগ নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন নিরাপদে থাকবেন। আমার সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung galaxy s8 plus |
ছবির লিংক | Link |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
এটা সত্যি আমাদের ফোনে অপ্রয়োজনীয় এতো মেসেজ আসে যে দরকারজ মেসেজ গুলা দেখতে পাইনা।যাক বুস্টার ডোজ নিছেন সবুনে ভালো লাগল।আমি শুধু সাধারন দুটো টিকা নিয়েছি বুস্টার ডোজ নেইনাই।ধন্যবাদ আপনার মুহুর্ত টি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনি করোনার টিকা দিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। আসলে আমাদের সকলেরই উচিত করোনার ভ্যাকসিন ছিনিয়ে নেওয়ার কারণ এটি আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন। আপনি খুব চমৎকারভাবে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আমাদের কাছে। আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আপনি করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। আমিও দুটি ভ্যাকসিন নিয়েসি এবং যথাসময়ে নিয়েছি। ধন্যবাদ আপু ভ্যাকসিন নেওয়ার বর্ণনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ সম্পন্ন করেছেন। আজকে আপনি বুস্টার ডোজ মেইন্টেইন করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। টিকা নিতে গিয়ে মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে এবং আপনি সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতাল অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার করোনার বুস্টার ডোজটি নিতে এসে আপনার মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।