লইট্টা শুটকির সাথে চিংড়ি মাছের হাতে মাখা ভর্তা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটা রেসিপি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সামনে খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হয়েছি ।রেসিপিটি হলো শুটকির মজাদার ভর্তা রেসিপি । শুটকি সবসময় মসলা দিয়ে ভুনা করে খেয়ে থাকি । আজকে ভিন্নভাবে লোইট্টা শুটকির ভর্তা তৈরি করেছি এটা গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই মজা লেগেছিল । আমরা যখন রাঙ্গামাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এই ধরনের ভর্তা দেখলাম ওরা খেতে দিত । এ ভর্তাগুলো তখন খেয়ে খুব ভালো লেগেছিল যার জন্য বাসায় নিজেই ঝটপট তৈরি করে খেয়ে দেখলাম । আসলে এই ভর্তাটা করতেও সোজা এবং খেতেও খুবই মজা । আপনারা চাইলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
চিংড়ি মাছ―৩টি
পেঁয়াজ―৩টি
মরিচ―৬টি
সরিষার তেল―পরিমাণমতো
লবন―পরিমাণমতো
ধনিয়া পাতা―আন্দাজমতো
পেঁয়াজ কলি―৫টি
চিলি ফ্লেক্স― যে যেমন ঝাল পছন্দ করে
রসুন―২টি
কার্যপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে শুটকি গুলোকে ঠান্ডা পানি দিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রেখেছি । এরপর পেঁয়াজকলি মরিচ ও ধনিয়া পাতা কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি । তারপর শুটকি গুলোকে পানি থেকে উঠিয়ে কড়াইতে একটু ভেজে নিয়ে আবার গরম পানি দিয়ে বেশ খানিকটা সময়ের জন্য ভিজিয়ে রেখেছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরের সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতর রসুনের কোয়াগুলো দিয়ে বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি । এরপর কুচি করে কেটে রাখা চিংড়ি মাছগুলো তেলের ভেতর দিয়ে দিয়েছি । তারপর চিংড়ি মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে সেই তেলের ভিতরে শুটকি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তারপর শুটকি মাছগুলো বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভেজে নিয়েছি । তারপর শুটকি মাছগুলো পাটায় সুন্দরভাবে বেঁটে নিয়েছি এবং একটা বাটিতে পেঁয়াজ কুচি ও মরিচ কুচি নিয়ে নিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর তার ভিতরে একে একে ধনিয়া পাতা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি ,লবণ দিয়ে দিয়েছি এবং ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর আরো একটু সরিষার তেল দিয়ে হাত দিয়ে চটকে ভালো মত মাখিয়ে নিয়েছি । তারপর বেটে রাখা শুটকি মাছগুলো দিয়ে আবার হালকা হাতে ভালো মতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি । এবার মাখানো হয়ে গেলে একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি । তারপর গরম গরম ভাতের সাথে সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
হ্যাঁ আপু আমিও রাঙ্গামাটিতে গিয়ে হোটেলে এই ধরনের শুটকি মাছের ভর্তা রেসিপি খেয়েছি । রাঙামাটিতে সকল খাবারের মধ্যে এই ধরনের ভর্তা রেসিপিটি বেশি ভালো লেগেছিল। যাইহোক, আপনিও সেই ধরনের রেসিপি বাসায় তৈরি করেছেন। বিশেষ করে চিংড়ি মাছ যেটা দিয়ে ভর্তা করায় খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার আজকের ভর্তা রেসিপি আমার খুবই পছন্দ হয়েছে।
রাঙ্গামাটি রেস্টুরেন্ট গুলোতে ওরা খুব মজার মজার শুটকি মাছের খাবার গুলো দেয় যেটা আসলে অনেক মজাদার ।আমরা যতই ট্রাই করি ওদের মতো ওতো মজা করতে পারব না । তবে আমারটাও কিন্তু মোটামুটি ভালোই লেগেছিল খেতে ।
আরে বাহ্ আপু, আপনি তো দেখছি খুবই ইউনিক এবং মজাদার রেসিপি নিয়ে সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন। লইট্টা শুটকির সাথে চিংড়ি মাছের হাতে মাখা ভর্তা রেসিপি আমার কখনোই খাওয়া হয়নি। যদিও আমার চিংড়ি মাছ খাওয়া হয়না কিন্তু অন্যান্য খাবার গুলো খুব ভালো লাগে। আমি আবার লইট্টা শুটকি অনেক পছন্দ করি খেতে। আপনার তৈরি করা এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু ছিল। নিশ্চয়ই খুব মজা করে খেয়েছিলেন।
রেসিপিটি ইউনিক লাগছে যেমন খেতেও কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল । আমার কাছে তো গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে ভালো লেগেছিল অনেক।
বেশ মজাদার ভর্তা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন আপু সত্যি বলতে অনেক লোভনীয় লাগছে আমার তো মন চাইছে গরম ভাতের সাথে দুপুরের খাবারটা খেয়ে নিই হি হি হি।
দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও কিন্তু অনেক মজার ছিল । নিজে নিজে তৈরি করে খান আমারটা খাবেন কেন ।
হাতে মাখা ভর্তা দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আমার পছন্দের একটি রেসিপি আজকে শেয়ার করেছেন। বাঙালিদের জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে ভর্তা। ভিন্ন রকম একটি ভর্তার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে গরম ভাতের সাথে যে কোন ভর্তাই জমে ওঠে খেতে খুবই ভালো লাগে ।
লইট্টা শুটকির সাথে চিংড়ি মাছের ভর্তা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দেখতে সুস্বাদু লাগছে না শুধু খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।
চিংড়ি মাছ এবং শুটকি দুটোই আমার বেশ পছন্দের। পছন্দের দুটো জিনিস একসাথে হাতে মাখা ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে । গরম গরম ভাতের সাথে এ ধরনের ভর্তা খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে মাছ এবং শুটকির এভাবে ভর্তা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে ।মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দুটি মজার জিনিস একসাথে করে ভর্তা তৈরি করেছি খেতে সত্যি অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল । একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আপু ।
কোথাও ঘুরতে গেলে নতুন নতুন খাবারের অভিজ্ঞতা অর্জন হয়। আপু আপনি রাঙ্গামাটি ঘুরতে গিয়ে এই দারুন রেসিপি শিখেছিলেন জেনে ভালো লাগলো। লইট্টা শুটকি ভুনা খেয়েছি। তবে এভাবে চিংড়ি মাছের সাথে ভর্তা করে খাওয়া হয়নি কখনো।
আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে নতুন নতুন খাবারের অভিজ্ঞতা হয় তারপর নতুন নতুন খাবার সম্পর্কে জানা যায় ও শেখা যায় ।
লইট্টা শুটকির সাথে চিংড়ি মাছের হাতে মাখা ভর্তা রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। এভাবে ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। তবে লইট্টা শুটকি ভর্তা খেয়েছি আর খেতে খুবই সুস্বাদু। আমি ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করি আর সেজন্য যেকোনো ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আগে কখনো খাননি তাহলে আমার রেসিপি দেখে অবশ্যই একদিন বানিয়ে খেয়ে দেখবেন । সত্যিই মজা লাগে খেতে ।
ইস আপনার ভর্তাটা দেখেই তো আমার গরম ভাত দিয়ে খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। লইট্যা শুটকির সঙ্গে আবার চিংড়ি মাছ দিয়েছেন ।সবগুলো উপকরণ যখন মাখিয়ে নিয়েছেন খেতে না জানি কত সুস্বাদু হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো দেখে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ভর্তাটা বানানো অনেক ঝামেলা তবে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে কিন্তু ভালোই লেগেছিল আপু ।