আসসালামু আলাইকুম আজ আমি এসেছি খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে চিংড়ি মাছ ভুনা রেসিপি। চিংড়ি মাছ ছোট-বড় সবারই খুব পছন্দ। চিংড়িমাছ পছন্দ করে না এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন ।চিংড়ি মাছ ভুনা করে পোলাও কিংবা গরম ভাতের সাথে খেতে অসাধারণ লাগে। আমি চিংড়ি মাছ ভুনা করেই বেশি খেয়ে থাকি ।ছোট হোক বড় হোক সব রকম রকম চিংড়ি খেয়ে অনেক মজা। তাছাড়া চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। চিংড়িতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। চিংড়িতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকার কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। চিংড়ি স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে সাহায্য করে ।অন্যান্য অনেক মাছ ও মাংসের তুলনায় চিংড়িতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম।চিংড়ির গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ চিংড়ি মাছ ভুনা রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে । চলুন তাহলে রান্নাটা শুরু করি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

নং	উপকরণ	পরিমাণ

১	চিংড়ি মাছ	১৬টি

২	টমেটো	৪পিছ

৩	কাটা পেঁয়াজ	১কাপ

৪	কাঁচা মরিচ	৬টি

৫	হলুদের গুঁড়া	হাফ চামচ

৬	মরিচের গুঁড়া	হাফ চামচ

৭	জিরার গুঁড়া	হাফ চামচ

৪	লবন	পরিমাণ মতো

৫	তেল	পরিমাণমতো

প্রস্তুত প্রনালী:

প্রথমে চিংড়িগুলো কেটে ধুয়ে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপর চিংড়ির ভিতরে হলুদ ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।

হলুদ ও লবণ দিয়ে চিংড়ির সাথে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি ।তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে প্রয়োজনমত তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে আসলে তার ভিতরে হলুদ লবণ মাখিয়ে রাখা চিংড়িগুলো দিয়ে দিয়েছি।

চিংড়িগুলো দিয়ে অল্প কিছু সময় নেড়েচেড়ে তার ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজগুলো দিয়ে দিয়েছি এগুলো দিয়ে আরও কিছু সময় ভেঁজে নেব।একসাথে পেঁয়াজগুলো দিয়ে একসাথে ভাজলে চিংড়ি কালো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

পেঁয়াজ গুলো দিয়ে আরও বেশকিছু সময় নেড়েচেড়ে ভেঁজে নেওয়ার পরে আমি কেটে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে দিয়েছি।

টমেটোগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।তারপরে কিছু সময় পর ঢাকনা খুলে দেখবেন যে ভিতরে অনেক পানি উঠে এসেছে।

তারপর আমি পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা, হলুদের গুঁড়া, লবণ ও মরিচ গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি ।যে পানিটা উঠেছিল সেই পানিটা দিয়ে আমি চিংড়ি মাছটা ভালোমতো ভুনা করে নেব এখানে আমি এক্সট্রা কোন পানি ব্যবহার করব না।

তারপর সবকিছু ভালোমত নেড়েচেড়ে মিশিয়ে আমি একটু বেশি সময় নিয়ে চিংড়ি ভুনা করে নেব যখন একেবারে পানিটা শুকিয়ে উপরে তেল ভেসে উঠবে তখন বুঝতে হবে যে আমার মাছগুলো ভুনা হয়ে গিয়েছে।

মাছ ভালোমতো ভুনা হয়ে গেলে মাছ পুরোপুরি রান্নার জন্য সামান্য একটু পানি দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।তারপর ঢাকনা খুলে পানিটা শুকিয়ে আসলে উপর দিয়ে ভেজে রাখা জিরার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছি।

জিরার গুঁড়ো দিয়ে আরও একটু নেড়েচেড়ে আরো কিছু সময় জাল করে নিয়েছি তারপর আমার রান্নাটা হয়ে গিয়েছে। এখানে একটু পানি থাকতেই আমি চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি তা না হলে শুকিয়ে গেলে একেবারে শুকনো হয়ে যাবে।

|

ব্যাস আমার মাছগুলো এখন আমি পরিবেশনের জন্য একটা প্লেটে তুলে নিয়েছি দেখুন দেখতে কি সুন্দর কালার হয়েছে খেতেও দারুন মজা হয়েছে।

আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার	@tauhida
ডিভাইস	samsung galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।

@tauhida

)