আসসালামু আলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা এই শীতের ভিতর সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয়ই সবাই অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের জন্য খুবই মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি খুবই মজার আলুর দম রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। আলু আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার আমি প্রাই সব তরকারিতেই আলু পছন্দ করে থাকি ,আর এভাবে যদি আলুর দম রান্না করি তাহলে তো কোন কথাই নেই আমার কাছে অমৃত লাগে। আলুর দম একেক জন একেক রকম ভাবে তৈরি করে আর একেক জনের রান্না একেক রকম মজা হয় ।আমার আজকের আলুর দম রান্নার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে ।চলুন তাহলে রান্নাটা শুরু করি।
| ৪ | পেঁয়াজ বাটা | দের টেবিল চামচ |
|---|
| ১০ | গরম মশলার গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
|---|
রন্ধন প্রক্রিয়া:
প্রথমে আলুগুলোকে গরম পানি দিয়ে সিদ্ধ হতে দিয়েছি তারপর আলুগুলো সিদ্ধ হয়ে গেলে ছিলে পরিষ্কার করে নিয়েছি। |
|---|
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিয়েছি তেল গরম হলে তার ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। |
|---|
পেঁয়াজ-মরিচ গুলো বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতর পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি। |
|---|
তারপর হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে সবকিছু ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর হাল্কা একটু পানি দিয়ে মসলাটাকে ভালোমত কষিয়ে নিয়েছি। |
|---|
মসলাটা ঠিকমতো কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে কেটে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে দিয়েছি। টমেটোগুলো মশলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। |
|---|
টমেটোগুলো মসলার সাথে মিশিয়ে কিছু সময় কষিয়ে নিয়েছি। তার ভিতরে হালকা একটু পানি দিয়ে আরও কিছু সময় কষিয়ে নিয়েছি। |
|---|
টমেটোগুলো খুব ভালোমতো কষে মসলাগুলো সুন্দরভাবে ভুনা হয়ে গেলে তার ভিতরে সিদ্ধ করে রাখা আলু গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। |
|---|
তারপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে তিন-চারবার করে আলুটাকে ভালোমতো কষিয়ে নিয়েছি। এভাবে একটু একটু করে পানি দিয়ে বারবার কষিয়ে নিলে খাবারটা খেতে মজা লাগে। |
|---|
তারপর ঠিকমতো কষানো হয়ে গেলে আলুটা আরও একটু রান্না হওয়ার জন্য হালকা একটু গরম পানি দিয়ে দিয়েছি ।গরম পানি দিয়ে ভালোমতো বলক এসে পানিটা কমে আসলে তার ভিতরে জিরার গুঁড়া ও গরম মসলার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি। |
|---|
জিরা ও গরম মসলা দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে তার ভিতরে উপর দিয়ে ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি। ধনেপাতা দিয়ে আরো দুইটা বলক আসলে তার ভিতরে ১ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে দিয়েছি। |
|---|
ঘি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া দিয়ে উপর দিয়ে চারটা শুকনা মরিচ দিয়ে দিয়েছি। শুকনা মরিচ দিয়ে একটা বলক আসার পরে আমি চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি এ পর্যায়ে রান্না হয়ে গিয়েছে। |
|---|
এখানে আমি আমার আলুর দমটা একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি ।দেখুন কত সুন্দর কালার হয়েছে। এই খাবারটা গরম গরম ভাতের সাথে খেতে যেমন মজা তেমনি গরম গরম পরোটা দিয়ে খেতে তো অসাধারণ লাগে। সকালের নাস্তার সাথে রুটি দিয়ে খেতে চমৎকার লাগবে। আপনারা একবার হলেও বাসায় ট্রাই করে দেখবেন আর আমার রান্নাটা কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। |
|---|
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|
| ডিভাইস | samsung galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
@tauhida
ওয়াও অসাধারণ রেসিপি তৈরি করলেন আপনি। আলুর দম খেতে তো আমার ভীষণ ভালো লাগে। তেমনি আপনার যে ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এরকম সুস্বাদু রেসিপি গুলো দেখলে লোভ সামলানো যায় না। রেসিপি পোস্ট দেখলেই তো আমার খুব লোভ হয়। আসলেই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করলেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঠিকই বলেছেন আপু আলুর দম খুবই মজার একটি খাবার ।রেসিপি পোস্ট দেখলে আসলেই লোভ সামলানো অনেক কঠিন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে তো একেবারে লোভ লেগে গেল তারপরে আবার আলুর দমের রেসিপি। রেসিপিটি দেখতে অসাধারণ হয়েছে, কালারটাও ভাল দেখাচ্ছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে আপনার অসাধারণ রেসিপি আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
আপনাদের লোভ লাগার জন্যই তো এত মজার একটি খাবার শেয়ার করেছি। আমার বানানো তাহলে সার্থক হয়েছে আপনাদের লোভ লাগাতে পেরেছি।
শীত কালে আলুর দম এর কথা মনে এলেই জিভে জলে ভরে যায়।সুস্বাদু আর লোভনীয় অসাধারন একটি রেসিপি করেছেন আপু দারুন হয়েছে।
আলুর দম আমার কাছে কাছে যেকোনো সময় খুবই মজা লাগে। তবে হ্যাঁ শীতের আলুর একটু ভিন্ন রকম মজা আছে।
ওয়াও আপু খুব সুন্দর একটি লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন। আলুর দাম আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি ও দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। রেসিপি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখি খুব সহজে রেসিপিটি সবাই তৈরি করতে পারবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু রেসিপি টা খুব ভালো লেগেছে
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপি পোষ্ট গুলো দেখতে আমারও অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আলুর দম বরাবরই আমার খুব প্রিয় ।আপনি আলুরদমের খুব লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন। কালারটা দারুণ ভাবে ফুটেছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। রান্নার প্রস্তুত প্রণালি দারুণভাবে তুলে ধরেছেন ।।
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য🌹🌹
আসলে ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল কালার দেখেই তো বুঝতে পারছেন কেমন সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন । টমেটো কুচি গুলো মসলার সাথে মিশানো সময় খুব লোভনীয় দেখাচ্ছিল আপু । ফাইনালি রেসিপিটি দেখতে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে । আলুর দম আমার ভীষণ প্রিয় । আমার খুবই খেতে ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপু ।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন ভাইয়া টমেটো মেশানোর পরে রঙ টাই থেকে চেঞ্জ হয়ে গিয়েছিল মসলার ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
রঙে বলে, সে স্বাদে ভরপুর। শৈলী বিবরন ও উপাস্থাপন, যে কাউকে আকৃষ্ট করবে।স্বাদেও ছিল মাশাল্লাহ।
ঠিকই বলেছেন খাবারের রঙ দেখেই বোঝা যায় খাবারটি কতটি মজাদার ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ম্যাম, আবার আসবেন।