আজ আমি আপনাদের সাথে আমার হঠাৎ পাওয়া জন্মদিনের একটি দাওয়াতের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। এই জন্মদিনের দাওয়াতটি আমি কখনো পাবো সেটা চিন্তাতেও আসেনি। হঠাৎ করে আমার হাজবেন্ডের ফোনে একটা ফোন আসলো কিন্তু ইদানিং কারেন্টের যে অবস্থা ফোনের চার্জ ছিল না ফোনটা আসার সাথে সাথে ফোন বন্ধ হয়ে যায় ,পরে কারেন্ট আসলে ফোন ব্যাক করা হলে দাওয়াতটা পাই। আমাদের পাশের বাসার ভাইয়ের ভাগ্নি জামাই ফোন দিয়েছে তার মেয়ের বার্থডে পার্টিতে আমাদের নিমন্ত্রণ করার জন্য। |
যাই হোক ৩-৪ দিন আগে আমরা দাওয়াত পাই। যখন শুনতে পারলাম কে ফোন দিয়েছিল জানলাম প্রতিবেশীর ভাগ্নির মেয়ের জন্মদিনের দাওয়াত। যাক ভালই হলো অনেকদিন পরে একটু বাইরে যাওয়া হবে। তারা জন্মদিনের আয়োজনটা একটা রেস্টুরেন্টে করেছিল। আমার বাচ্চা তো শুনে খুবই খুশি কারণ আমাদের এখানে যারই জন্মদিন হোক না কেন কেকটা তারই কাটতে হবে। আমাদের বাসারই হোক আর আমাদের পাশের বাসায় ভাবিদের বাসায় যাদেরই জন্মদিন হোক সবার কেক মোটামুটি আমার বাচ্চাই কাটে। তখন ওকে জিজ্ঞেস করা হলো এ জন্মদিনের কেকটি কে কাটবে ও বলল যে এ কেক আমি কাটবো না ওদের কেক করাই কাটবে, কিন্তু ভাবীদের বাসায় যেযে ঠিকই বায়না ধরেছে কেকটা ওই কাটবে , পরে বোঝানোর পরে সে বুঝতে পেরেছে । |
যাই হোক যথারীতি তিন চারদিন পরে সেই সময়টা আসলো আমরা সবাই রেডি হলাম যাওয়ার জন্য, বাচ্চা রেডি হয়েছে ঠিকই কিন্তু সে আমাদের সাথে যাবে না সে যাবে পাশের বাসার ওই ভাইদের সাথে কারণ তারাই ওদের আরেকটা বাবা-মা ও তাদের সাথে গাড়িতে যাবে। জায়গাটা আমাদের বাসা থেকে রিক্সার ডিসটেন্স একেবারে কাছেই তাই আমরা রিক্সাই করে গেলাম আর ও তাদের সাথে গাড়িতেই গেল। তারা আমাদের আগে রওনা দিয়েছে কিন্তু আমরা রিক্সা করে যাওয়াতে আমরা আগে পৌঁছে গিয়েছি। আমরাই ছিলাম প্রথম গেস্ট গিয়ে দেখি তাদের দুই একজন আত্মীয়-স্বজন ছাড়া এদিকের কোন আত্মীয়-স্বজনই আসেনি যাদের সাথে আমাদের একটু পরিচয় আছে ।তারা সবাই আস্তে আস্তে পড়ে আসলো। এখন আমি জন্মদিনের কিছু ছবি ও খাওয়া-দাওয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
আমরা এখানে সেজেগুজে পার্টিতে কিন্তু পৌঁছে গিয়েছি। |
উপরের ছবিগুলোতে দেখতে পাচ্ছেন খুব সুন্দর করে বেলুন দিয়ে পার্টিতে সাজানো হয়েছে দেখতে ভালই লাগছিল বাচ্চারা খুব ইনজয় করছিল । |
এখানে বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারের আয়োজন করা হয়েছিল যেটা খেতে খুবই মজার ছিল সবই আমার পছন্দের খাবার ছিল এবং কেকের ছবিটা এখানে দিয়ে দিয়েছি কেকটাও অনেক মজার ছিল খেতে। |
খাওয়া-দাওয়া শেষে সবশেষে এখানে বেলুন ফুটানো হচ্ছিল যা আমরা বসে বসে দেখছিলাম। বেলুন ফোটানোটা ভালোই হয়েছিল যেটা আমরা অনেক এনজয় করেছি কিন্তু আমার বাচ্চাটা বেলুন ফোটানো পছন্দ করে না। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
একদম ঠিক বলেছেন হঠাৎ করে এ ধরনের কোন দাওয়াত পাওয়া আসলেই অনেক ভালো লাগে।হ্যাঁ অনেক উপভোগ করেছি ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
হঠাৎ পাওয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আপনি খুব ইনজয় করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে বড়সড় আয়োজন হয়েছিল। সকল চাইনিজ খাবার দেখে আমার কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনাকে ধন্যবাদ আপু পার্টির ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অনেক বড় আয়োজন ছিল আর খাবারগুলো অনেক মজা ছিল ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
হঠাৎ পাওয়া হলেও কিন্তু জন্ম দিলেন অনুষ্ঠানটা আমার কাছে বেশ দারুন লাগলো। দেখছি বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু খাবারের ছবি দেখতে পেলাম। তাছাড়া অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছে। এরকমভাবে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বেশ ভালোই লাগে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন হঠাৎ পাওয়া হলেও অনুষ্ঠানটা কিন্তু ভালই ছিল আর খাবারগুলো খুব মজার ছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি উৎসাহমূলক মন্তব্য করার জন্য।
হঠাৎ করে এমন দাওয়াত পেলে বেশ ভালোই লাগে। আপনার জন্মদিনের দাওয়াতের খাবার গুলো অনেক লোভনীয় এবং মজাদার ছিল আপু। এবং বোঝা যাচ্ছে বেশ আনন্দ করেছেন জন্মদিনের দাওয়াতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য। ভালো থাকবেন আপু এবং অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই আপু অনেকদিন পরে ভালই অনেক মজা হয়েছিল সময়টা ভালো কেটেছে আর খাবারগুলো খুব মজার ছিল।