দুই বোনের গল্প পর্ব:২
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত আমরা চোখের সামনে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা দেখতে পারি । তার ভিতর থেকে অনেক অনেক ঘটনা আছে যেগুলো সব সময় আমাদের চোখে পড়ে এবং মনে থাকার মত ঘটনা হয়ে থাকে । আর সেখান থেকে আমাদের গল্পটা শুরু হয় । এসব যদি আমরা প্রতিনিয়ত গল্প আকারে লিখতে থাকি তাহলে তো একটার পর একটা গল্প লিখেই চলতে হয় লেখার কোন শেষ নেই । তারপরও এর ভিতর থেকে কিছু কিছু গল্প আমরা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করি । আজো আমি সেরকম একটি গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি ।আজকে আমি লীনা ও লিমা নামের দুই বোনের কাহিনী দ্বিতীয় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।
লিমার সাথে ছেলেটার ওরা বিয়ে দিয়ে দেয় । ছেলেটা বিয়ে করে লিমাকে ঢাকায় নিয়ে আসে । লিনাও লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে এর ভিতর লিনার একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক হয় । এই ছেলেটা ফোনে ফোনে লিনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কিন্তু সামনাসামনি দেখে লিনাকে আর বিয়ে করতে রাজি হয় না । এভাবে চলছিল ওদের জীবন । লিমাও সুন্দর সংসার করছিল । একটা কলেজে ভর্তি করানো হয় লিমাকে সে নিয়মিত কলেজে যাচ্ছিল ভালোই চলছিল ওদের দিনকাল । এর মধ্যে দেখতে দেখতে লিনাও মাস্টার্স কমপ্লিট করে ফেলে এবং ওরও একটি বিয়ের সম্বন্ধে আসে । ছেলেটা ভালো একটা জব করে ঢাকাতে এবং দেখে শুনে তারা লিনাকে পছন্দ করেছে । ওই ছেলের সাথে লিনার বিয়ে হয়ে যায় লিনাও ঢাকাতে চলে আসে এবং সুখেই চলতে থাকে । তাদের সংসারে ছোট্ট একটি শিশুর আগমন ঘটে শিশুটাকে নিয়ে তাদের আনন্দের সীমা থাকে না ।
এর ভিতর লিমার জীবনে অশান্তি নেমে আসে । তার স্বামী তাকে কলেজে দিয়ে স্থির থাকতে পারত না । সব সময় তাকে সন্দেহ করত মনে করত যে সে বুঝি অন্য ছেলেদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলছে । অল্প বয়সে যেটা হয় সেটা আর কি ।এভাবে করে দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হতে থাকে এবং দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে । কিছুতেই তাদের সম্পর্ক ঠিক ছিল না আস্তে আস্তে তাদের দুজনের মধ্যে ছড়াছড়ি হয়ে যায় । লিমা তখন আবার বাবার বাড়িতে চলে যায় । ওখানে গিয়ে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি একটা স্কুলে চাকরিতে ঢুকে ভালোই চলছিল ওর দিনকাল । এদিকে ওদের বাবারও বয়স হয়ে যায় সেও চাকরি থেকে অবসর নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে । তাদের ভাইটাও লেখাপড়া শেষ করে একটা চাকরিতে ঢুকে ঢাকাতে । তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা যেখানে থাকে সেখানে আর থাকবে না তারা সবাই মিলে ঢাকাতেই চলে আসবে । কারণ তারা যেখানে থাকে তাদের সেখানে কোন আত্মীয়-স্বজন নেই যার কারণে তারা ঢাকাতে চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং তারা সেখানেই চলে আসে ।
এভাবে করে বেশ কিছুদিন চলতে থাকে দেখতে দেখতে লিমাও তার লেখাপড়া কমপ্লিট করে । আর ওদিকে ওদের মামার সাথে ওদের সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় । একটিমাত্র মামা তার একমাত্র ছেলের সাথে লিমার বিয়ে হয়েছিল । আর ছেলের সাথে যেহেতু সম্পর্ক নেই সেহেতু তাদের সাথে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায় । এভাবে করে আস্তে আস্তে লিমাও আবার নতুন করে জীবন শুরু করে । দেখতে দেখতে লিমার আবার একটা ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে যায় । ছেলেটা জেনে শুনে লিমাকে বিয়ে করে এবং খুব সুন্দর ভাবে তাদের সংসারটা গড়ে ওঠে ।
চলবে.......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে এজন্যই বিয়ে দেয়া ঠিক না। কোন কারনে বিয়ে না টিকলে সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যায়। লিমার সংসার ভাঙার কারণে লিমার মায়ের এবং ভাইয়ের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গেলো। তাছাড়া ছোট বেলায় বিয়ে হওয়ার কারণে লিমার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেলো। তাও ভালো লীনা বিয়ে করে সুখের সংসার করছে। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়েছিল।
একদম ঠিক বলেছেন আত্মীয়-স্বজনের সাথে বিয়ে হলে একই সাথে দুটি সম্পর্কই নষ্ট হয়ে যায় ।
যদিও এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমার পড়া হয়নি, তবে শেষের পর্বটা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে দুই বোনের গল্পটির দ্বিতীয় পর্ব আজকে শেয়ার করেছেন। আসলে যেই সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ থাকে সেই সম্পর্কটা বেশিদিন টিকে থাকে না। আর তার মামার সাথেও সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। লিমা নতুন জীবন শুরু করার পরে পরবর্তীতে কি হবে এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
আসলে সন্দেহ নিয়ে কোন সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না ।
দুই বোনের গল্পটি অনেক সুন্দর করে লিখেছেন দেখছি। এরকম গল্প গুলো আমরা অনেক ভালো লাগে, বিশেষ করে যেগুলো পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। এই গল্পটার প্রথম পর্ব না পড়া হলেও শেষের পর্ব পড়ে দারুণ লেগেছে। শেষের দিকে কিন্তু লিনার বিয়ে হওয়ার পর সে অনেক সুখি হয়েছে। আর প্রথম প্রথম লিমা ও সুখী হয়েছিল, কিন্তু পরবর্তীতে তাদের ভুল বোঝাবুঝির জন্য সংসারটা নষ্ট হয়ে যায়। এখন আবার তার বিয়ে হয়েছে দেখছি। দেখা যাক কি হয় পরবর্তীতে।
প্রথম পর্বটা পড়লেও আপনার কাছে ভালো লাগতো ।
দুই বোনের গল্পের প্রথম পর্ব পড়ে খুব ভালো লেগেছিল। আজকের দ্বিতীয় পর্ব টাও খুবই সুন্দর লিখেছেন আপু। অল্প বয়সে বিয়ে করলে দুজনের মধ্যে এমনই হয়।একে অপরের প্রতি কোন বিশ্বাস থাকে না। আর আত্মীয়-স্বজনের ভেতর বিয়ে করলে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক না টিকলে তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এটা খুবই খারাপ দিক । পরবর্তী পার্টের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু ।
আসলে আপু আপনার লেখা এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম বেশ ভালো লেগেছিল আজকে আবার দ্বিতীয় পর্ব পড়ার সুযোগ পেলাম। আসলে লিমার জীবনে বেশ অশান্তি নেমে এসেছিল তার স্বামী তাকে কলেজে দিয়ে স্থির থাকতে পেরেছিল না। আসলে ছোট বোনকেও বিয়ে দিয়ে দিছিল এই বিষয়টি সত্যি একটু খারাপ লেগেছিল আমার কাছে। লিমা অবশেষে তার লেখাপড়া কমপ্লিট করেছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
এরকম ঘটনা অনেক হয়ে থাকে বড় জনকে রেখে ছোট বোনের বিয়ে দেওয়া হয় এটা কোন ব্যাপার না আজকালকার যুগে ।