আজ আমি আবার আপনাদের সামনে একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। রেসিপিটি হল আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের ঝোল। বড় বড় বাইম মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আলু দিয়ে কষা কষা করে ভোনা করে রান্না করলে খেতে খুবই টেস্টি লাগে। কিন্তু আমাদের বাসায় আমরা মাত্র তিনজন মানুষ আমার ছেলে ছেলের বাবা আর আমি। ছেলে তো মাছই খেতে চায়না আর ছেলের বাবা বাইম মাছ খায় না, এজন্য খুব একটা খাওয়াই হয় না। তারপরও ছেলের বাবা আনতে চায় কিন্তু আমি একা খাব দেখে আর আনিনা। আমি আমার আম্মার বাসায় এসে দেখি ছোট ছোট বাইম মাছ আছে সেগুলো আমি নিজেই আলু বেগুন দিয়ে রান্না করেছি। খেতে খুবই মজা হয়েছিল। রেসিপিটি এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। |
- বাইম মাছ
- বেগুন
- মরিচ
- পেঁয়াজ বাটা
- হলুদের গুঁড়া
- জিরার গুঁড়া
- তেল
প্রথমে আলু বেগুন ও মাছগুলো ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে তেল গরম হয়ে গেলে কেটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ মরিচ হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। |
পেঁয়াজ মরিচ বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভেতরে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে নিয়ে হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া ও লবণ দিয়ে দিয়েছি। তারপর ভালোমতো নেড়েচেড়ে মসলাটাকে কষিয়ে নিয়েছি। |
মসলাটা কষানো হয়ে গেলে তার ভিতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাছগুলো দিয়ে মসলার সাথে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে হালকা একটু পানি দিয়ে দিয়েছি মাছগুলোকে কষানোর জন্য । |
মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে রেখে ওই মসলার ভিতরে কেটে রাখা আলু বেগুনগুলো দিয়ে দিয়েছি। আলু বেগুন দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে পানি দিয়ে সিদ্ধ হতে দিয়ে দিয়েছি। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ পরে খোলার পরে দেখব যে আমার আলু বেগুনগুলো সিদ্ধ হয়ে গেছে। |
সাথে মাছগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে মাছ রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি, তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।ঢাকনা খোলার পরে পানিটা যখন অনেকটাই শুকিয়ে আসবে তখন তার ভিতর জিরার গুড়া দিয়ে আরো কয়েকটা বলক দিয়ে তারপর পানিটা একটু কমে আসলে চুল বন্ধ করে দিয়েছি। রান্নাটা হয়ে গিয়েছে। |
এখন আমি আমার তরকারিটা একটা বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি খেতে ভালোই মজা হয়েছিল। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
আপু গত কালকে বাইম মাছ খেলাম আর আজকে বাইম মাছের রেসিপি দেখে ফেললাম। আমি যেটা খেলাম সেটা হলো ভুনা। আর আপনাকে দেখলাম প্রথমে ভুনা করে সেটা নামিয়ে আবার আলু বেগুনের সাথে দিয়ে রেসিপি তৈরী করলেন। অনেক মশলা দিয়েছেন। আশা করি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
বাইম মাছ ভুনা করলে বেশি ভালো লাগে খেতে, আবার এরকম আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে অন্যরকম মজা লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
তাহলে তো খুবই ভালো কথা আম্মুর বাসায় এসেই ছোট ছোট বাইম মাছ পেয়ে গেলেন আর তার নিজেই রান্না করতে শুরু করে দিলেন।
আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্নার খুবই চমৎকার একটা পদ্ধতি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে আপনার পরিবারের সদস্যদের মতো আমিও কোন সময় বাইম মাছ খাইনি তাই জানিনা এটা কেমন সুস্বাদু হয়।
সবারই উচিত মায়ের বাসায় আসলে মাকে একটু হেল্প করা। আমিও চেষ্টা করি হেল্প করতে। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আমার কাছে বাইম মাছ খেতে একদমই ভালো লাগেনা। এই মাছ কেন জানি ছোট থেকে আমি একদম পছন্দ করি না। তবে আপনার এই রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি আলু বেগুন দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি কালার দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
অনেকেই বাইম মাছ খেতে পছন্দ করে না, কিন্তু এই মাছগুলো বড় বড় গুলা আলু বেগুন দিয়ে সুন্দর করে রান্না করলে কিংবা শুধু আলু দিয়ে কষিয়ে রান্না করে খেতে খুবই টেস্টি লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাইম মাছের রেসিপি আমার কাছে বেশ মজা লাগে যদিও অনেকদিন খাওয়া হয় না। আর আপনার বাইম মাছের রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। যেহেতু ভাইয়া বাইম মাছ খায় না আর রান্না করলে আপনাকে একা একাই খেতে হয় সেক্ষেত্রে আমাকে দাওয়াত দিতে পারেন দুই ভাই বোন একসাথে বাইম মাছের রেসিপি খাওয়া যাবে।
তাহলে আপনি বড় বড় কিছু বাইম মাছ নিয়ে আমার বাসায় চলে আসেন রান্না করে একসাথে খাব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাইম মাছের শেপের কারনে আমি ছোটবেলা থেকেই খুব একটা খাই না। কখনো যদি বাসায় রান্না হয় আর আমাকে জিজ্ঞেস করে তাহলে আমি বলি ভেজে ভুনা করলে আমি খেতে পারি তাও অল্প খাব, হা হা হা। বাইম মাছ আমার ভাল না লাগলেও আপনি কিন্তু আলু বেগুন দিয়ে খুব সুন্দরভাবে বাইম মাছ রান্না করেছেন। বেগুন দিয়ে মাছ রান্না করলে কিন্তু খেতে খুব মজার হয়। আপনার আম্মার বাসায় গিয়ে রান্না করতে নিশ্চয়ই আপনার খুব ভাল লেগেছিল। রান্নার রঙ দেখে খুব লোভনীয় মনে হচ্ছে। আপনার রান্নার পরিবেশন খুব ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ আপু।
এটা ঠিক বলেছেন বাইম মাছ নাকি অনেকেই কাছে সাপের মতো মনে হয় দেখতেই জন্য অনেকেই খায় না। কিন্তু আমার কাছে ভালোই লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু বেশ ভালোই হলো বাসায় এসে আপনি নিজ হাতে বাইম মাছ রান্না করে অনেকদিন পর খেলেন। যদিও আপনাদের বাসায় কেউ খেতে চায় না কিন্তু আমার কাছে বাইম মাছটি বেশ ভালই লাগে ।ভুনা করে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনি খুবই চমৎকার করে রান্না করেছেন ।রান্না টি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। কেননা আলু বেগুন দিয়ে যেকোনো তরকারি রান্না করলে খেতে বেশ সুস্বাদু হয় ।আপনার রান্না টি বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ।
বড় বড় বাইম মাছ ভুনা করলে আসলেই খেতে অনেক ভালো লাগে। ছোট ছোট গুলা আলু বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করলে অনেক ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আমার খুব পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছ রান্না।খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থপনা করেছেন ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি আমার কাছে ভিশন ভালো লাগে। একটু কষিয়ে রান্না করলে মজাটা বেশি ভালো লাগে। আপনার রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে বাসায় কেউ যদি কোন কিছু না খায়। সেটা একা একা খেতে মজা পাওয়া যায় না। আপনার রান্না করার প্রসেস সমূহ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই সহজভাবে দেখিয়েছেন যে কেউ চাইলে সহজেই তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন বাসায় একজন খেলে আরেকজন না খেলে আর খাওয়াই হয়না। একার জন্য কষ্ট করে রান্না করা হয় না। খাবারটি আসলে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
বাইম মাছের একটা জিনিস আমার ভালো লাগে এটা অন্য মাছের তুলনায় একটু শক্ত। এবং স্বাদ টাও বেশ আলাদা। বিশেষ করে বাইম মাছ যত বড় হবে স্বাদ তত বেশি। যদিও অনেকেই এটা খেতে চাই না। আলু দিয়ে বাইম মাছের রেসিপি টা ভালো তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন এই মাছ অন্য মাছের তুলনায় ভালই শক্ত খাওয়ার সময় ভালো লাগে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।