সন্তান আল্লাহর বড় নিয়ামত শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



image.png

Link


আজকে আমি আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আমার লেখা গল্পটি আবার শেয়ার করতে চলে এসেছি । কয়েকদিন আগে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম সেই গল্পের দ্বিতীয় পর্ব লিখে ফেলেছি । আসলে আশেপাশে মানুষের জীবন কাহিনী নিয়েই গল্প হয়ে যায় ।মানুষের জীবন সুখে দুঃখে ভরপুর তার ভিতর কিছু আছে সুখের এবং কিছু গল্প আছে দুঃখের । সেরকমই একটি মেয়ের জীবনের কিছু অংশ আমি গল্প আকারে আপনাদের সামনে তুলে ধীরেছিলাম । এখন সেই গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে আমি চলে এসেছি । গত পর্বে শেষ করেছিলাম পিঙ্কির বাচ্চাটা আই সি ইউ থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে আসে ।


সেই ঘটনার পর থেকে পিংকি চিন্তা করে যে দুটো বাচ্চা হতে গিয়ে আমার এত বড় প্রবলেম হয়েছে আল্লাহর রহমতে দুটো বাচ্চা নিয়ে আমি থাকতে চাই আমি আর বাচ্চা নিব না । এভাবে দেখতে দেখতে চলে যায় আরো দশটি বছর । হঠাৎ করে একদিন পিংকি অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে দ্রুত ডাক্তারের কাছে চলে যায় । ডক্টর বলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে পরে আবার পরীক্ষা করে এবং রক্ত পরীক্ষা করে দেখার পরে দেখে যে পিংকি আবার প্রেগনেন্ট হয়েছে। সেটা দেখে পিংকি আবারো ভয় পেয়ে যায় এবং সে সাথে সাথে বলে যে আমি কিছুতেই আর মা হতে চাচ্ছি না । দুটো বাচ্চা হওয়ার পর পিংকি এতটাই ভয় পেয়ে গিয়েছে যে সে তৃতীয়বার আর মা হওয়ার কথা চিন্তাই করছে না । এজন্য সে ডাক্তারের কাছ থেকে আলাপ আলোচনা করে বাচ্চা এবরশন করার ওষুধ নিয়ে আসে । ডাক্তার তাকে বলে দেয় এভাবে ওষুধের মাধ্যমে করলে তোমার ক্ষতি হতে পারে কিন্তু পিংকি তাতেও রাজি হয় ।কারণ দুটি বাচ্চা হতে অনেক বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছিল তার কারণে সে আর তৃতীয় বাচ্চা নিতে চাচ্ছিল না ।


আর দুটো বাচ্চাই সিজারিয়ান পদ্ধতিতে হয়েছিল । এরপর বাসায় এসে সবার সাথে আলাপ করে সবাই বলে যে দরকার নাই বাচ্চাটাকে আল্লাহ যখন দিয়েছে তাহলে রেখে দাও । কিন্তু সে কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না । পরে দোকানে গিয়ে ওষুধ আনতে গিয়ে দেখে যে ডক্টর যে ওষুধটা লিখেছে সেটা ওই দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না । পরে সে আরো কয়েকটা দোকান ঘুরে ট্রাই করে কিন্তু কোথাও সে ওষুধটা পায় না । তারপরও সে হাল ছাড়েনি । সে খুঁজেই যাচ্ছিল তারপর সে অন্য জায়গা থেকেও আনার চেষ্টা করে কিন্তু কোথাও সে ওষুধটা খুজে পাচ্ছিল না । এদিকে বাসার সবাই তাকে একটাই পরামর্শ দিচ্ছে যে ওষুধটা যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে না তাহলে আল্লাহও চাচ্ছে যে বাচ্চাটা থাকুক । পরে সে আরো বিভিন্নভাবে ট্রাই করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওষুধ না পেয়ে সে বাচ্চাটাকে রেখে দিতে রাজি হয় । সময় গুলো চলে যায় এবং সে সুস্থভাবে একটি ছেলে বাচ্চার জন্ম দেয় । এখন তার বাচ্চাগুলো বড় হয়েছে সবগুলো বাচ্চা সুস্থ আছে এবং সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে ।


আসলে আল্লাহ যাকে দুনিয়াতে রাখতে চায় তাকে দুনিয়ার কোন শক্তিই কিছুই করতে পারে না । সন্তান আল্লাহর দান আল্লাহ চাইলে সবকিছু সম্ভব । পিঙ্কি দুই দুইবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে কোনভাবে সফল হতে পারেনি । যে করেই হোক বাচ্চা দুনিয়াতে এসেছে এবং খুব সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠছে । এখন পিঙ্কির আফসোস হয় যে কেন যে আমি এই কাজগুলো করতে গিয়েছিলাম । আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার দ্বারা ওরকম কোন পাপ কাজ হয়নি । আসলেই আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে ।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 10 months ago 

আসলে আল্লাহ চাইলে সব কিছুই সম্ভব। এখন তার বাচ্চাগুলো বেড়ে উঠেছে সুস্থভাবে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। এখন সে নিজেও আফসোস করে এটা ভেবে যে সে এরকম কাজ করতে গিয়েছিল। তবে যাই হোক আল্লাহর রহমতে কিছু হয়নি এবং তাকে দিয়েও কোনো পাপ কাজ হয়নি। আসলেই সন্তান হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া অনেক বড় নিয়ামত যা অনেকের ভাগ্যে থাকে আবার অনেকের ভাগ্যে থাকে না।

 10 months ago 

আল্লাহ প্রথম থেকে চেয়েছিল বাচ্চাগুলো সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকবে আর সেটাই হয়েছে । আল্লাহর উপর সবসময় আমাদের ধৈর্য রাখা উচিত ।

 10 months ago 

আপু আপনার টাইটেল টা পড়েই কেন জানি নিজের মনের মধ্যে একটু হোচট খেলাম। কারন আমি নিজেই আল্লাহর সেই নিয়ামত থেকে বঞ্চিত। পৃথিবীতে কত মানুষ আছে যারা শুধু একটি সন্তানের জন্য নিজেদের সব কিছু বিলিয়ে দিচেছ। তবে এটা দেখে ভালো লাগছে যে এখন ভদ্র মহিলার সন্তানেরা বেশ বড় হয়েছে এবং সুস্থ আছে।

 10 months ago 

আপু আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন ইনশাআল্লাহ আপনিও একদিন এই সুন্দর সময়টা উপভোগ করতে পারবেন ।

 10 months ago 

সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখতে হবে। সৃষ্টিকর্তা যেহেতু বাচ্চা দিবে সেই সৃষ্টিকর্তায় তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবে।একটা কথা ভালো লাগলো আসলে আল্লাহ যাকে দুনিয়াতে রাখতে চায়। দুনিয়ার কোন শক্তি কিছু করতে পারে না এবং আমাদের উচিত হবে সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা রাখা উচিত। অনেক সময় দেখা যায় একসাথে দুইটা বাচ্চা নেয়ার পর মেয়েরা মানসিকভাবে অনেক হতাশাগ্রস্ত হয়ে যায় তাই এরকম ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে দেননি। অনেক অনেক ভালো লাগলো।

 10 months ago 

একদম তাই আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছে এবং আল্লাহ সব ধরনের রিজিকের ব্যবস্থা করে দিবেন । এর জন্য আমরা সবসময় আল্লাহর উপর ভরসা করেই তো বেঁচে থাকি ।

 10 months ago 

পিংকির দুটি বাচ্চা বড় হওয়ার পর, তার আরো একটা বাচ্চা হবে এটা শোনার পরে সেই বাচ্চাটাকে নষ্ট করতে অনেকবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু এই কাজে সে সফল হয়নি। আল্লাহ যা করে তা ভালোর জন্যই করে। তার তিনটা বাচ্চা সুস্থ এবং ভালো আছে এটা জেনে ভালো লেগেছে। এখন সে নিজেই আগের কাজগুলো নিয়ে আফসোস করে।

 10 months ago 

চেষ্টা করেছিল কিন্তু কোনোভাবে সফল হতে পারেনি । আল্লাহ ঠিকই বাঁচিয়ে দিয়েছেন ।

 10 months ago 

মহান আল্লাহ যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করে আপু। পিংকি বর্তমানে তিন সন্তানের মা জেনে খুব ভালো লাগলো। এখন তার ৩ বাচ্চারা সুস্থভাবে বড় হয়ে উঠেছে এটা দেখে নিশ্চয়ই পিংকির কাছে খুব ভালো লাগে এবং সেজন্য অতীতের ভুলের জন্য অনুশোচনা করে। অনেক ভালো লাগলো আপু "সন্তান আল্লাহর বড় নিয়ামত" এর সবগুলো পর্ব পড়ে।

 10 months ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু আল্লাহ যা করে আমাদের ভালোর জন্যই করে । আল্লাহ চেয়েছিল বিধায় পিংকি তার তিনটি বাচ্চাকে সুস্থভাবে দুনিয়ায় বড় করতে পেরেছে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59508.12
ETH 2603.38
USDT 1.00
SBD 2.39