সবুজ প্রকৃতির কিছু ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব প্রকৃতির অপরূপ কিছু ফটোগ্রাফি । আসলে বাংলাদেশের প্রকৃতি এতটা সুন্দর দেখলেই শুধু দেখতে ইচ্ছা করে । চারদিকে সবুজ আর সবুজ । এরকম সবুজ গাছপালা যেন আর অন্য কোথাও দেখা যায় না । বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যেখানে যাবেন না কেন এরকম সবুজ গাছপালা দেখা যায় । সবুজ প্রকৃতি দেখতে হলে আমাদেরকে ঢাকার বাইরে গ্রামাঞ্চলে চলে যেতে হবে তা না হলে এরকম সবুজ দৃশ্য আমরা দেখতে পারবো না । তাছাড়া আমাদের যদি কখনো এরকম সবুজ কিছু দেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে আমরা রমনা পার্কে চলে যাই । রমনা পার্কে সময় কাটানোর জন্য পারফেক্ট একটি জায়গা । বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য এবং সবুজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য এই জায়গাটা একেবারে উত্তম । আর এরকম গাছপালা আমরা তখনই দেখতে পাই যখন আমরা ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাওয়ার আশা করি ঠিক তখনই । আর ফরিদপুর শহরে এখনো পর্যন্ত অনেক ধরনের গাছপালা রয়েছে । আশেপাশে গ্রাম রয়েছে সেখানেও অনেক ক্ষেত খামার রয়েছে এবং গাছ পালার ভিতরে মানুষের বাড়ি ঘর রয়েছে সেটা দেখতে সত্যি খুব ভালোলাগে । এরকম সবুজ গাছপালা দেখলে সেই ছোট্টবেলার গ্রামের কথা মনে পড়ে যায় ।আজকে আমি সেই রকম সবুজ গাছ পালার কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
প্রথমে দেখতে পাচ্ছেন সুন্দর একটি খোলা মাঠ এবং সেই মাঠের পরে কিছু বড় বড় গাছ-গাছালি রয়েছে । মনে হচ্ছে একটি মেহগনির বাগান । এরকম মেহগনির বাগানের ভেতর দিয়ে হেঁটে বেড়াতে কিন্তু খুব ভালো লাগে । আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম আমাদের এরকম বাগান রয়েছে এবং সেই বাগানের ভিতর দিয়ে আমরা অনেক ঘোরাফেরা করেছি । যদিও অনেকদিন হয়ে গিয়েছে যাওয়া হয় না । গাছপালা গুলো ওভাবেই পড়ে রয়েছে । আগে যখন আব্বু ছিল তখন সে মাঝে মাঝে গিয়ে দেখাশোনা করত এখন তো আমরা আর সেরকম ভাবে যেতে পারি না । এই সবুজ মেহগনির বাগান দেখে গাছপালা দেখে আমার গ্রামের সেই ছোট্টবেলার কথা মনে পড়ে গেল ।
এখানে খোলা আকাশ নীচে পানি ও মাঝে কিছু গাছ গাছালির ছবি রয়েছে । এমন খোলা আকাশের নিচে এরকম নদীর ভেতরে নৌকা নিয়ে ঘুরতে সত্যিই খুব ভালো লাগে । যদিও এই সুযোগটা আমাদের খুব একটা হয়ে ওঠেনা। ফরিদপুরে গেলেও আমরা এই সুযোগটা পাই না । কারণ ফরিদপুর আমরা শহরে বসবাস করি গ্রামীন এরকম পরিবেশ আসে পাশে নেই বললেই চলে । সেই ছোটবেলায় গ্রামে গিয়ে এরকম করে নৌকায় ঘোরাফেরা করতাম এবং উপরের আকাশকে উপভোগ করতাম । এগুলো দেখে শৈশব কালের কথাই শুধু মনে পড়ে ।
এখানে কিছু টিনের চালা দেখতে পাচ্ছেন । এগুলো হয়তোবা একটি বাজারের ছবি । যখন ফরিদপুর থেকে ঢাকাতে আসছিলাম তখন এই বাজারটা সবসময় আমাদের চোখে পড়ে । দূর-দূরান্ত পর্যন্ত বাজারটা দেখতে পাওয়া যায় বিশাল বড় একটি বাজার । গ্রামের ভেতরে এরকম একটি বাজার থাকলে মানুষকে বাজারের জন্য জন্য দূরে যেতে হয় না ।
এখানে খোলা মাঠ তার পরে একটি স্কুল দেখতে পাচ্ছেন । খোলা মাঠের সামনে একটা গাছ রয়েছে । এ ধরনের স্কুলগুলো গ্রামগঞ্জে খুব দেখা যায় । এটাও চলতি পথে তোলা হয়েছিল ।এখনকার স্কুল গুলো দেখতে কিন্তু ভালো লাগে । এই স্কুলটা মনে হচ্ছে নতুন রংচং করে তৈরি করেছে দেখতে কিন্তু ভালই লাগছে । এই স্কুলটা দেখে শৈশবকালের স্কুলে পড়ার কথা মনে পড়ে গেল । খুব ছোটবেলা যখন গ্রামে ছিলাম তখন এই ধরনের স্কুলগুলোতে আমরা পড়াশোনা করেছি কিছুদিন । এখন গ্রামের সব সরকারি স্কুল গুলো এরকমই দেখা যায় ।
এখানে ঝোপপঝাড়ে পরিপূর্ণ একটি বাড়ি দেখতে পাচ্ছেন ।এরকম বাড়িতে গরমের দিনে থেকেও শান্তি । আশেপাশে মনে হচ্ছে একটা পুকুর ও থাকতে পারে । কারণ এ ধরনের বাড়িতে নরমালি আশেপাশে পুকুর থাকে । সত্যি এরকম পরিবেশে থাকতে মনে হয় মানুষের ভালই লাগে । যদিও আমরা দূর থেকে সেটা মনে করি । কিন্তু পরিবেশটা আমার কাছে দারুন লাগে ।নিচে গাছ গাছালির কিছু দেখা যাচ্ছে । এরকম মুক্ত খোলা আকাশের নিচে ক্ষেতের পাশ দিয়ে হেঁটে বেড়াতে কিন্তু ভালোই লাগে ।
সবশেষে কিছু কলা গাছ ও পাট ক্ষেতের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । পাট ক্ষেত দেখলে আমার মনে হয় যে এই পাট খেতে বিচ্ছু রয়েছে । কোন একটা সময় পাট খেতে আশেপাশ দিয়ে ছোট ছোট বিচ্ছু দেখা যেত । এটা দেখলেই আমার ভয় লাগে । আর কলা গাছ এত গ্রামগঞ্জে সব এলাকাতেই মনে হয় থাকে । কিন্তু ঢাকা শহরে আশেপাশে তাকালে কোথাও কলা গাছে দেখা যায় না । এজন্য আমি কলা গাছ দেখলে ছবি তোলার চেষ্টা করি । কলা গাছ গুলো দেখতে কিন্তু ভালই লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
সবুজ প্রকৃতির চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। সবুজ প্রকৃতি দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে। বেশ মনোমুগ্ধকর কিছু দৃশ্য ক্যাপচার করেছেন আপনি। শেষের দিকের বিভিন্ন সবুজ গাছপালার ফটোগ্রাফি অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু এত চমৎকার কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার ছবিগুলো আপনার কাছে চমৎকার ও মনোমুগ্ধকর লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
আজকে আপনি সবুজ প্রকৃতির অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি বা সৌন্দর্য মানুষকে বেশি মুগ্ধ করে। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। বিশেষ করে স্কুলের ফটোগ্রাফিটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। সামনে খেলার মাঠ এবং বড় একটি গাছও আছে। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
স্কুলের সামনে এরকম খোলা মাঠ তো থাকবেই আর গাছ থাকলে কিন্তু ভালই লাগে ।
প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ধারণ করা আপনার অসাধারণ চিত্র গুলো আমাকে মুগ্ধ করেছে। বেশি দারুন হয়েছে আপনার ধারণ করা এই চিত্রগুলো। খুবই খুশি হলাম সুন্দর এই ফটোগুলো দেখে।
আমার ছবিগুলো আপনার কাছে দারুন লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি বেশ দারুণ । গ্রাম বাংলার সবুজ শ্যামলের মাঝে গেলে শান্তি অনুভব করা যায়। সবুজ প্রকৃতির কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। এমন জায়গায় সময় কাটানো মুহূর্ত সত্যি বেশ অসাধারণ হয়ে থাকে। এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতি দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে ।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে ।
সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখতে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগে। আজ আপনি চমৎকার কিছু সবুজের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ।আপনার শেয়ার করা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে। মেহগনির বাগান দেখে আমারও গ্রামের আমাদের মেহেগুনি বাগানের কথা মনে পড়ে গেল।কতনা স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেখানে। তাল গাছের ফটোগ্রাফিটি ও ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।