★ফরিদপুর শিশু পার্কে একদিন★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি শেয়ার করব বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের সবাই মিলে একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি। পরিবারের সবাই যখন একসাথে থাকে তখন যেকোনো জায়গায় যেতেই খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে নিজের বাবা-মা ভাই বোন সবাই মিলে যখন একসাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় সে সময়টুকু খুব ভালো মতো কাটে। আমাদের ফরিদপুরে একটা শিশু পার্ক আছে এখানে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে তারা খুব ভালো একটি সময় কাটাতে পারে। আমরা ফরিদপুর আসলেই এই পার্কে যাওয়ার চেষ্টা করি। এই পাক ছাড়াও এখন আমাদের ফরিদপুরে আরো ঘোরার জন্য বিভিন্ন জায়গা হয়েছে, যদিও সেখানের সব যাওয়ার সুযোগ এখন পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। তারপরও চেষ্টা করছি একটা একটা করে সব জায়গায় ঘুরার জন্য। যেখানে যাওয়া হোক না কেন ছবিতো তুলতেই হবে। আগে কোন জায়গায় গেলে সবাই মিলে নিজেদের ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়তাম এখন আর নিজেদের ছবি তোলাই হয় না বললেই চলে। এখন আশেপাশের যা দেখি তারই ছবি তুলতে ইচ্ছা করে। কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এটা হলো পার্কে ঢোকার গেট। পার্কে ঢুকতে হলে সবার 70 টাকা করে টিকিট লাগে। আর পাঁচ বছরের নিচে বাচ্চাদেরকে কোন টিকিট কাটতে হয় না। তারপর ভিতরে ঢোকার পরে আবার বিভিন্ন রাইডস এ চড়তে হলে ৫০ টাকা করে এক একটা টিকিট কাটতে হয়।
পার্কে ঢোকার পরেই ভিতরে বিভিন্ন ধরনের গাছ-গাছালি দিয়ে ভরা। চারিদিকে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল আবার সুন্দর করে ফুলের বাগানও করা হয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। সব গেছে এখনো ফুল ফুটেনি তবে ফুল ধরবে ধরবে এমন একটা অবস্থা ছিল। তারপরে তার দুইপাশ দিয়ে কিছু ঝাউ গাছ লাগানো ছিল। ঝাউ গাছের ভিতরে আবার ওরা ছোট ছোট করে তুলা দিয়ে রেখেছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।
পার্কের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর ডেকোরেশন করে করে রাখা হয়েছে, যা বাচ্চাদেরকে আনন্দ দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়। যেটা দেখে বাচ্চারা অনেক খুশিও হয়। আবার এমনিতেও সুন্দর করে কিছু কিছু ডেকোরেশন করে রাখা হয়েছে যা দেখতেই ভালো লাগে।
পার্কের ভেতরটা বেশ খোলামেলা যেখানে সবাই মিলে হাঁটাও যায়। আবার ছেলেমেয়েরা দৌড়াদৌড়ি করে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছে। এরকম খোলা জায়গা পেলে আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে ভালোই লাগে।
এখন যে রাইডস দেখতে পাচ্ছেন এখানে চড়তে খুবই ভালো লাগে। আমি আগে যখন গিয়েছি তখন চড়েছি। কিন্তু এইবার গিয়ে সবাই উঠেছিল আমি উঠতে পারেনি কারণ আমার ছেলেটা ওখানে উঠতে ভয় পেয়েছিল। এজন্য আমি ওকে নিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে ছিলাম দূর থেকে ওদেরকে দেখছিলাম।
পার্কের ভেতরে বিভিন্ন গাছপালাও ছিল। আবার দেখুন একটি আইফেল টাওয়ারের মতো তৈরি করা হয়েছে। যেটা দেখতে একেবারে আইফেল টাওয়ারের মতো লাগে। ওইটার সামনে দাঁড়িয়ে সবাই সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দেখতে ভালো লাগে।
এখানে আবার বড় একটি ডাইনোসর তৈরি করা হয়েছে বালু ছিমেন্ট দিয়ে। বাচ্চার দেখলে এই ডাইনোসরটি অনেক আনন্দ পায়। আমার ছেলে সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি ছবি তুলেছিল। আমার কাছে খুব ভালো লাগে এই ডাইনোসরটি দেখতে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
লোকেশন | faridpur |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
ফরিদপুর শিশু পার্কে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন। আসলে পরিবার সবাইকে নিয়ে এমন সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানোর মুহূর্ত খুবই অন্যরকম হয়ে থাকে। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার ছিল। পার্কে সবাই অনেক আনন্দ উপভোগ করেছেন নিশ্চয়। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া পরিবারের সবাই মিলে সময় অতিবাহিত করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আর আমার সময়গুলো খুবই ভালো কেটেছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সাথে ভালো সময় কাটাতে আসলে কয়জনই পারে বলেন। আমার তো পুরো পরিবারের সাথে দেখা হয় না প্রায় তিন চার বছর হয়ে গেছে। তবে সময় পেলে আমিও মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সাথে পার্কে ঘুরতে যাই মন ভালো করার জন্য। আপনাদের ওখানে পার্কে টিকিটের দাম দেখলাম বেশ বেশি। আমাদের কলকাতায় ইকো পার্কে বেশ বড়সড়ো একটা আইফেল টাওয়ার রয়েছে, সেটার তুলনায় আপনি যেটা শেয়ার করেছেন ওটা অনেকটাই ছোট। খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিবারের সাথে সময় কাটাতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। টিকিটের দাম মনে হয় একটু বেশি নেয় এখানে। আর এখানকার আইফেল টাওয়ার তো একেবারে ছোট। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সবাই মিলে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন আপু। আসলে পরিবারের সবাইকে নিয়ে এভাবে কোথাও ঘুরতে যেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে। আর সেটা যদি হয় পার্ক বাচ্চাদের খেলার জায়গা তাহলে তো কথাই নেই। আপু দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর পরিবেশ। বাচ্চারা আনন্দ তো পাবে। ডাইনোসর টা দেখে আমার কাছে ও বেশ সুন্দর লাগছে আপু।
আসলেই আপু এসব পার্কে যাওয়াই তো হয় বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চারা না থাকলে কি আর আমরা বড়রা এসব পার্কে যায়। ঠিকই বলেছেন পরিবারের সাথে সময়টা অনেক ভালো কাটে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু পার্কটা দেখে ভালই লাগলো চারপাশে অনেক ফুর গাছ দিয়ে সাজিয়েছে পার্কটি। তবে পার্কের ডেকোরেশন আর ভিতরের অংশটা দেখে প্রবেশ ফি ৭০ টাকা বেশি মনে হলো। রাইডস এ চড়তে ৫০ টাকা করে নিচ্ছে সেটা ঠিক আছে। আইফেল টাওয়ারটা ভালই লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া পার্কের ভিতরে ঢোকার ফি টা আসলেই একটু বেশি লাগে আমার কাছেও। পার্কটা সুন্দর আছে ভেতর দিয়ে অনেক গাছ-গাছালি দিয়ে সাজানো ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
পরিবারের সাথে কাটানো সময় গুলো অনেক মধুর হয়।পার্কটি অনেক সুন্দর।বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের জন্য কত সুন্দর সুন্দর ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।স্টিমে যোগ দেওয়ার পর থেকে আমারো শুধু ছবি তুলতে ইচ্ছা হয়।তবে টিকেটের দাম বেশ চড়া মনে হচ্ছে।এরকম সেম পার্ক আমাদের এখানেও আছে।টিকেট ৪০টাকা,রাইড ৩০টাকা।ধন্যবাদ আপু নতুন একটি জায়গা সম্পর্কে আমাদের জানানোর জন্য।
আগে তো কোথাও গেলে শুধু নিজেদের ছবি তোলা হতো। এখন তো শুধু আশেপাশের ছবি তুল তুলতে তুলতে সময় পাইনা নিজেদের ছবি কখন তুলবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সকলে মিলে যেকোনো জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালো লাগে। খুবই ভালো সময় কাটে তখন। আমরাও আগে যেকোনো জায়গায় ঘুরতে গেলে নিজেদের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়তাম কিন্তু এখন জায়গা গুলোর ফটোগ্রাফি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে। বেশ দারুন দারুন ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি।
এটা মনে হয় সবাই করে এখন নিজেদের থেকে আশেপাশের ছবিই বেশি তোলে। পরিবারের সাথে যে কোন জায়গায় যেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
দিনশেষে পরিবার টাই সবার আগে। আমাদের সুখের স্বর্গ যেন তাদের কে ঘিরেই পাওয়া যায়। খুব ভালো সময় কেটেছে সবাইকে নিয়ে বোঝাই যাচ্ছে। সবথেকে বেশি আনন্দ পেয়েছে ছোট বাচ্চারা। বেশ নিরিবিলি লাগলো জায়গা টা। আর রাইডস গুলো দেখে ছোট বেলার কথা মনে পরে যাচ্ছিল। কত জেদ ধরে সেগুলোতে উঠতাম। আমার আবার একবার চড়ে মন ভরতো না😀।
একদম তাই নিজের ফ্যামিলির লোকের সাথে থাকতে যে শান্তি তা অন্য কোথাও পাওয়া যায় না রে ভাই। তাইতো শান্তির খোঁজে মাঝে মাঝে এখানে আসতেই হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
এই পার্কে আমিও বেশ কয়েকবার গিয়েছি। কোন নতুনত্ব নেই এমনকি সে চেষ্টাও নেই। শুধু টাকা নেয়ার যত ধান্দা। একমাত্র শীতের সময় পার্কটা কিছুটা সাজানো গোছানো হয়। সত্যি বলতে কি ফরিদপুর শহরের মানুষের বিনোদনের জন্য আর কোন ভালো জায়গা নেই তাই এই পার্কে মানুষ এখনো যায়।
নতুনত্ব নেই তবে নিজেদের শহরের মধ্যে একটি পার্ক আমার আমার কাছে ভালই লাগে। যাওয়ারতো একটা জায়গা আছে বাচ্চাদের নিয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভ্রমন করতে আমার অনেক ভালো লাগে।। একদম ঠিক বলেছেন আপনি শিশু পার্কে গেলে বাচ্চারা অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত পার করে এটা ওটা দেখে অনেক আনন্দ উপভোগ করে।।
ভ্রমণ কাহিনীর সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারলাম জায়গাটা আসলে অনেক সুন্দর।।
বাচ্চাদের জন্যই তো এসব জায়গায় যাওয়া। আর বাচ্চারা খুশি হলে যে কোন কোথাও গিয়ে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।