সুজির মিল্কি বিস্কিটি রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । নতুন নতুন রেসিপি করতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মজার মজার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে । আজকে আমি সুজির মিল্কি বিস্কিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আগে যখন শবে বরাত আসতো শবে বরাত উপলক্ষে কত কি তৈরি করতাম ।বিশেষ করে বুটের হালুয়া ও বুটের ডালের বরফি তারপর পেঁপে দিয়ে বরফি তৈরি করা সুজির হালুয়া এই খাবারগুলো একেবারে কমন আইটেম ছিল । কিন্তু ইদানিং শবে বরাত উপলক্ষে কেউ তেমন কিছু তৈরি করে না এজন্য আমরাও আস্তে আস্তে সব কিছু বাদ দিয়ে দিয়েছি । তারপরও এবার শবে বরাতে সুজির এই মিলকি বিস্কিট টি তৈরি করেছিলাম ।এটি খেতে খুবই মজা তবে এটি তৈরি করার সময় খুব সাবধানে তৈরি করতে হয় অতিরিক্ত জ্বাল হয়ে গেলে এই বিস্কিটটা অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যায় তখন খেতে একটু ঝামেলাই হয় ।এজন্য চিনি দেয়ার পর খুব একটা জ্বালাতে হয় না খুব তাড়াতাড়ি নামিয়ে ফেললে জিনিসটি সুন্দরভাবে সেট হয়ে যায় এবং খেতেও খুব ভালো লাগে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
সুজি―১কাপ
চিনি―১কাপ
ঘি―১/২কাপ
লবণ― আন্দাজমতো
গুঁড়া দুধ―১ কাপ
কার্যপ্রণালী
প্রথমে চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে ১ কাপ পরিমাণ ঘি দিয়ে দিয়েছি । এরপর ঘি এর ভিতরে সুজি গুলো দিয়ে দিয়েছি । সুজি গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ঘির সাথে মিশিয়ে আমি ১৫ মিনিট সময় নিয়ে সুজি গুলোকে ভেজে নিয়েছি । তারপর সুজি ভাজা হয়ে গেলে করাই ধরে নামিয়ে রেখেছি ।
এরপর অন্য একটি চুলায় একটি পাতিল বসিয়েছি এবং তার ভেতরে এক কাপ পরিমান চিনি ও হাফ হাফ কাপ পরিমাণ পানি নিয়েছি । এরপর চুলাটাকে ধরিয়ে দিয়ে চিনিটা গলা পর্যন্ত জ্বাল করে নিয়েছি । তারপর চিনিটা যখন একেবারে গলে যাবে তখন চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি । তারপর ওই সুজির ভিতরে হাফ কাপ পরিমাণ গুড়া দুধ দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর গুড়া দুধ সুজির সাথে নেড়েচেড়ে অনেকটা সময় মিশিয়ে নিয়েছি । তারপর জ্বাল ধরিয়ে দিয়েছি এবং সেই সুজির ভেতরে সিরাটা দিয়ে দিয়েছি । তারপর সুজির সাথে নেড়েচেড়ে নিয়েছি । এরপর কিছু সময় পরে আবার হাফ কাপ পরিমাণ গুড়া দুধ দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর গুঁড়া দুধটা দিয়ে আবার নেড়েচেড়ে সুজির সাথে আরো কিছু সময় জ্বাল করে নিয়েছি । তারপর জ্বাল হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে একটা প্লেটে ঢেলে সেট করে নিয়েছি । এরপর হালকা ঠান্ডা থাকতে থাকতে বরফি গুলোকে আমি পছন্দ মত কেটে নিয়েছি । খেতে সত্যি অনেক মজা একেবারে বিস্কিটের মত ঝরঝরে হয়েছিল খেতে অনেক মজা ছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ঠিক বলেছেন আপু আগের মতো এখন আর শবেবরাতে কারো ঘরে তেমন কোন হালুয়া তৈরি করতে দেখা যায় না। যাই হোক আপনার কাছ থেকে একদম ইউনিক একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। সুজি দিয়ে এভাবে মিল্কি বিস্কিট কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। একদিন বাসায় তৈরি করে দেখব। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু একদিন তৈরি করে দেখবেন একেবারে বিস্কিটের মতো শক্ত ঝরঝরে হয় খেতে খুব ভালো লাগে ।
সুজি দিয়ে মিল্ক বিস্কিট তৈরি এ ধরনের রেসিপি আগে কখনো দেখিনি। তবে আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজাদার হয়েছে। সুজি গুড়া দুধ দিয়ে ব্যবহার করে অনেক মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমার খাবারটা সত্যি অনেক মজাদার হয়েছিল খেতে খুবই ভালো লেগেছিল।
ভালো মতো সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বেশি ইউনিক একটা রেসিপি দেখতে পারলাম আজকে। এ সমস্ত মিষ্টি জাতীয় রেসিপিগুলো সত্যি বেশ ভালো হয়।
আমার রেসিপিটা আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে শুনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।
ছোট বেলায় দেখতাম শবেবরাতে সবার বাসায় কত নাস্তা বানানো হতো। সাথে চালের রুটি ও গরুর মাংস। আবার অন্যদের বাসায় দিত। এখন আর সেই রীতি নেই । আমিও এখন শবেবরাতে বাসায় তেমন কিছুই বানাই না। যাই হোক সুজির এই বরফিটি খেতে বেশ মজা লাগে। সেই সাথে অনেকদিন রেখে খাওয়া যায়। তাই একবারে অনেকগুলো বানিয়ে সংরক্ষন করা যায়। বেশ সুন্দর হয়েছে আপনার সুজির মিল্কি বিস্কিটটি। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এখন আর সেরকম ভাবে বানানা হয় না আর মানুষের বাসায় দেওয়া নেওয়াটাও একেবারে কমে এসেছে।
অনেক সুন্দর এবং খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইউনিক একটি রেসিপি , দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।সুজির মিল্কি বিস্কিটি রেসিপি অনেক অসাধারণ রেসিপি। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রেসিপিটা আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে শুনে ভালো লাগলো । আর খেতে কিন্তু আপু সত্যি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল ।
সুজির মিলকি বিস্কিট রেসিপি টা এর আগে কখনো খাইনি তবে দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি রেসিপিটা বেশ সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কখনো করেননি তাহলে একদিন করে দেখবেন অনেক ভালো লাগে রেসিপিটি ।
বেশ দুর্দান্ত রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। সুজির মিল্কি বিস্কিটি রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এই ধরনের খাবার খাওয়া অনুভূতি সত্যি বেশ দারুণ। সুজির মিল্কি বিস্কিটি রেসিপি তৈরি প্রক্রিয়া খুব দুর্দান্ত হয়েছ। ঘি দেওয়াতে খেতে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হবে । এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঘি এবং দুধ দেওয়ার কারণে খাবারটি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু আপনি। আপনি সুজি দিয়ে মিল্ক বিস্কিট রেসিপি তৈরি করলেন। দেখে তো মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল। যেহেতু আপনি প্রচুর পরিমাণ দুধ ইউজ করেছেন। এই রেসিপিটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য। সুস্বাদু একটি রেসিপি নিয়ে আপনি আজকে শেয়ার করলেন অনেক ধন্যবাদ।
অনেক বেশি দুধ দেয়ার কারণে খাবারটি বেশি ভালো লাগে ,এজন্য এটির নাম মিল্কি বিস্কিটি ।
সুজি দিয়ে এরকম মিল্কি বিস্কিট তৈরি করা যায় এটি আমার কখনো জানা ছিল না। তবে এরকম ভিন্ন ধরনের রেসিপি মাঝেমধ্যে দেখা হয়ে থাকে। তবে আজকে যেভাবে আপনি একদম ইউনিক রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করেছেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ যেভাবে আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন এবং এটি ধাপে ধাপে খুব সুন্দর ভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন, অবশ্যই চেষ্টা করব এই রেসিপি তৈরি করে দেখার৷
অবশ্যই একদিন চেষ্টা করে দেখবেন খেতে ভালো লাগে ।