রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে কেনাকাটা ও চা খাওয়া দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করে রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে কেনাকাটা ও টুকটাক খাওয়া-দাওয়া করার সুন্দর অভিজ্ঞতা । বেশ কিছুদিন হলো আমি একটু হাঁটাহাঁটি শুরু করেছি । হাঁটাহাঁটি করা শরীরের জন্য ভালো এই কারণে আমাদের প্রত্যেকেরই হাঁটা উচিত । কিন্তু আলসামি করে বেশ কিছুদিন একেবারে হাঁটাই হচ্ছে না । এজন্য আবার নতুন করে হাঁটা শুরু করেছি । কদিন আমি নিজে একা একাই করিডোরে হেঁটেছি । প্রতিদিন ছেলের বাবা নিচে হাঁটতে যাই তাই ভাবলাম কি তার সাথে একটু নিচে থেকে হেঁটে আসি । এজন্য দুতিনদিন ধরে হাঁটার জন্য যাই এবং বের হয়ে দুজনে অনেক দূর পর্যন্ত হেঁটে আসি । ছেলেকে পাশের বাসায় রেখে যাই । কারণ ও হাঁটতে গেলে অতদূর হাঁটতেও পারে না আবার যা কিছু দেখে তাই শুধু কেনাকাটা করতে চাই । এজন্য পারলে ওকে রেখেই যাই । আবার মাঝে মাঝে নিয়ে যাই ।
আজকে যখন বাইরে হাঁটতে গেলাম তখন দেখি একটা লোক মুরগি বিক্রি করছে তখন মুরগিওয়ালাকে দাঁড় করালাম এবং মুরগির দাম করলাম । সে মুরগির হালি ১৪০০ টাকা করে চাইলো । মুরগিগুলো মোটামুটি সাইজের হবে আজকালকার দিনে বড় মুরগি একেবারে পাওয়াই যায় না বললেই চলে । বাজারে গেলে হয়তোবা পাওয়া যাবে তবে আমরা রাস্তা থেকে বেশি কিনি ।তখন আমরা আটটার দাম ১৬০০ টাকা বললাম । লোকটা দিল না আবার একেবারে নাও করলো না । আমরা যতদূর পর্যন্ত হাঁটছি সেও পেছন পেছন আসছে আর দামাদামি করছে । আমরা একদামই বলে দিয়েছি ১৬০০ টাকা হলে আমরা আটটা মুরগী নিব । কিন্তু সে কিছুতেই ছাড়ছে না ।সে একটু একটু করে বাড়াতেই থাকছে । পরে আমরা বলে দিয়েছি একদম যেটা বলেছি সেটাই পারলে দেন না পারলে বাদ দেন । পরে লোকটা রাজি হলো এবং বলল যে স্যার ষোলটা মুরগী নিয়ে যান তাহলে আমার রাতে বাইরে দিয়ে ঘুরতে হবে না । আমরা ১৬টা নিতে রাজি হলাম না কিন্তু লোকটা এমনভাবে ধরলো পরে 16 টাই নিয়ে নিলাম ।
আমরা যে দাম বলেছি সে দামই লোকটা মুরগিগুলো দিয়ে দিল । পরে নিচে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আর একজনকে ডেকে সে মুরগিগুলো সুন্দরভাবে কেটে পরিষ্কার করে দিল । মুরগির চামড়া ও পা গুলো একটা মহিলাকে দিয়ে দিলাম সে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল এবং সে ওগুলো নিয়ে খুব খুশি হল । এরপর আমি আর আমার ছেলে আরো বেশ কিছুদূর হাঁটতে চলে গেলাম ওর বাবা মুরগিগুলো নিয়ে বাসায় রেখে আসতে গেল । তারপর আমরা হেঁটে লিফটের সামনে বসে ওর বাবার জন্য অপেক্ষা করছিলাম । পরে সে আসার পরে আবার আমরা রাস্তায় বের হলাম সবজি কেনার জন্য ।বসেখান থেকে সবজি কিনে বাসায় রেখে পাঁচ মিনিট বসে আবার ছেলেকে রেখে বের হলাম । রাস্তায় দাঁড়িয়ে টুকটাক জিনিস খাওয়াতো হলো না ঝটপট করে চলে আসলাম । এটা ওটা না খেলে কি হয় নাকি বাইরে বের হয়েছি ।
এরপর আবার দুজনে মিলে বের হয়ে ঝাল মুড়ি খেলাম ভেলপুরি খেলাম সাথে দুজন দুকাপ চা খেলাম । এই লোকটা দুধ চা খুব মজা করে বানায় । সকালে যখন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায় তখন দেখি ডেকচি ভোরে সে দুধ জাল করে এবং সেই দুধটা জ্বাল করতে করতে একেবারে ঘন হয়ে যায় এবং সেই দুধের চা টা খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । দুপুর পর্যন্ত এক ডেকচি শেষ হয়ে যায় আবার দুপুরে নতুন করে আরো এক ডেকচি সে বানাতে থাকে । এভাবে চলতেই থাকে তার চায়ের পর্ব ।সত্যিই চা খেতে খুব মজা লেগেছিল ।বএরপর আমরা চা খেতে খেতে বাসায় চলে আসলাম । আজকের দিনটা ভালই বেশ কয়েকবার ঘোরাঘুরি করে সুন্দর কাটালাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু হাঁটাহা্টি করে কেনাকাটা ও হলো আবার খাওয়া ও হলো।আপনার এই চা দেখে আমার ই তো খেতে ইচ্ছে করছে।দারুন চায়ের কালার।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
নিচে যাব হাঁটাহাঁটি করব খাওয়া-দাওয়া করব না এটা কি হয় নাকি । তাই সবকিছু খেয়ে নিয়েছি একসাথে ।
হাটাহাটি আমাদের সবার শরীরের জন্যই খুব ভালো। হাঁটতে বের হয়ে কিনাকাটা খাওয়া দাওয়া সব হলো। অনেকগুলো মুরগি একসাথে কিনেছেন। খাওয়া দাওয়াও ভালোই করেছে। বাইরে বের হলে একটু কিছু না খেলেও ভালো লাগেনা। ভেলপুরি এবং দুধ চায়ের ফটোগ্রাফি টা বেশ লোভনীয় লাগছে। চা দেখেই বুঝা যাচ্ছে কত টা সুস্বাদু হবে এটি খেতে।
হাটাহাটি শরীরের জন্য ভালো দেখে মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করতে চলে যাই সাথে খেয়েও আসি ।
তাহলে ভাইকে নিয়ে হাটতে গিয়ে অনেকগুলো মুরগি কিনে ফেলেছেন। আসলে এই মুরগিগুলো এমনিতে খেতে অনেক মজা। তবে এরকম মুরগি ব্যবসায়ীগুলো আস্তে আস্তে চাই মুরগির দাম বাড়ানোর জন্য। যাইহোক পরে হাতের নাস্তা ও দুই কাপ চা ও খেলেন। আপনার বাচ্চাটি কে পাশের বাসায় রেখে গেছেন এই কারণে আপনাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যেদিন বেশি কাজ থাকে তখন ওকে নিয়ে যাই না ওকে রেখে যাই । মাছ গুলো ভালো পেয়েছি তাই একসাথে অনেকগুলো কিনে নিয়েছি ।