আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে ভালো লাগে । আজকে আমি শিং মাছের মজাদার রেসিপি শেয়ার করব । শিং মাছ আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে । আমি তো বেশিরভাগ সময় বাসায় শিং মাছ রেখে থাকি । শিং মাছ খেতে মজা লাগে অল্প কাটা থাকার কারণে খেয়েও আরাম । শিং মাছ বিশেষ করে আলু দিয়ে ভুনা করে রান্না করলে এবং আলু ও বেগুন দিয়ে রান্না করলে বেশি ভালো লাগে । আমি বেশিরভাগ সময় আলু দিয়ে রান্না করি আবার আলু বেগুন দিয়েও আমি এভাবে করেও রান্না করি । একটু ঝোল ঝোল রাখি কারণ ঝোল খেতে আমার ছেলে এবং ছেলের বাবা দুজনই খুব পছন্দ করে যার কারণে আমি সবসময় একটু ঝোল রাখি । আজকে আমি মজাদার রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আলু
বেগুন
পেঁয়াজ
মরিচ
আদা বাটা
পেঁয়াজ বাটা
রসুন বাটা
হলুদের গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
লবণ
তেল
কার্যপ্রণালী
প্রথমে মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর আলু বেগুন গুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছি । এরপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি । হালকা বাদামি হয়ে গেলে তার ভিতরে সব বাটা মসলা ও গুঁড়া মশলা গুলো দিয়ে দিয়েছি ।
মসলাগুলো দিয়ে সুন্দরভাবে বেশ খানিকটা সময় লাল লাল করে কষিয়ে নিয়েছি । তারপর তার ভেতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি । মাছগুলো মসলার সাথে নেড়েচেড়ে আরো একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি মাছগুলো ভালোমতো কষানোর জন্য ।
এরপর মাছ কষানো হয়ে গেলে মাছগুলো একটা বাটিতে তুলে নিয়ে ওই মসলার ভিতরে বেগুন ও আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি ।তারপর নেড়েচেড়ে আরো একটু পানি দিয়ে আলু ও বেগুন সিদ্ধ হওয়ার জন্য ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য রেখে দিয়েছি । এরপর ঢাকনা খুলে দেখব যে সবজি অনেকটাই সিদ্ধ হয়ে এসেছে এবং পানিটা অনেকটা টেনে এসেছে ।
এরপর আলু বেগুনের ভিতরে কষানো মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি । তারপর হালকা হাতে একটু নেড়ে চেড়ে মাছ রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি । আমি যেহেতু মাছের ঝোল রাখবো এজন্য পানিটা একটু বেশি দিয়েছি । তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে বেশ খানিকটা সময় রান্না করে নিয়েছি । এরপর পানিটা অনেকটা কমে আসলে তার ভিতরে জিরার গুড়া দিয়ে আরও একটু সময় রান্না করে নিয়েছি । তারপর রান্না হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি ।
এরপর একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি গরম গরম পরিবেশন করার জন্য । শিং মাছ কিন্তু এভাবে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে একটু ঝোল ঝোল করে খেতে কিন্তু সত্যিই খুব ভালো লাগে । আপনারা চাইলে রান্না করে দেখতে পারেন ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আমরা সকলেই এমন মাছ পছন্দ করি যেই মাসে কাটার সংখ্যা অনেক বেশি কম। যেহেতু পাঙ্গাস মাছের কাটার সংখ্যা নেই বললেই চলে তাই পাঙ্গাস মাছ আমার কাছে সব থেকে বেশি পছন্দের। আপনার এই শিং মাছ রান্নার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল বিশেষ করে এই রেসিপিটি যদি আলু দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
পাঙ্গাস মাছ তো আমি খাই না সেই কবে খেয়েছি তাও মনে নাই । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
বেশ চমৎকার লোভনীয় একটি রেসিপি নিয়ে আজকে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন আপু। আপনার এই লোভনীয় রেসিপিটা আমার কাছে এতটাই ভালো লেগেছে যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবুও এ কথা সত্য শিং মাছ যেন বাঙালির প্রিয় একটি মাছ। যা গ্রাম বাংলার যেখানে সেখানে সবসময় পাওয়া যায়। যাইহোক প্রিয় মাছের সুন্দর রেসিপিটা তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার রেসিপিটা আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ।
আলু আর বেগুন দিয়ে অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। অনেকদিন শিং মাছ খাওয়া হয় না আজকে আপনার শেয়ার করার শিং মাছের রেসিপি দেখে আবার খেতে ইচ্ছে করছে। লোভনীয় এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেকদিন খান্না তাহলে বাজারে যান ঝটপট কিনে নিয়ে আসেন আর ঝটপট রান্না করে খেয়ে ফেলেন ভালো লাগবে ।
আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শিং মাছের দারুণ একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের তরকারিটি খেতে ভালো লাগে আপু এজন্য সুন্দরভাবে রান্না করার চেষ্টা করেছি ।
শিং মাছ আমার অনেক পছন্দের মাছ৷ আর আজকে আপনার কাছ থেকে শিং মাছের এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ খুবই ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি । এই রেসিপি তৈরির জন্য আপনি যে উপকরণগুলো ব্যবহার করেছেন আমিও এই উপকরণগুলো ব্যবহার করে এরকম একটি রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করব৷
এভাবে রান্না করে খেয়ে খেলে অনেক ভালো লাগে খেতে ।
শিং মাছ বেশ উপকারি একটা মাছ। এটা শরীরে রক্ত উৎপাদন করে। সঙ্গে সঙ্গে অনেক সুস্বাদুও হয়ে থাকে। আলু এবং বেগুন দিয়ে শিং মাছের রেসিপি টা বেশ চমৎকার তৈরি করেছেন। রেসিপি টা বেশ লোভনীয় ছিল। পাশাপাশি রেসিপি টা অনেক সুন্দর উপস্থাপন এবং পরিবেশন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
এটা অনেক উপকারী মাছ । এটাকে আমি রোগীর মাছ বলে থাকি । কারণ কেও অসুস্থ হলে এই মাছটা বেশি পরিমাণে খেতে দেওয়া হয়ে থাকে ।
আপনার রেসিপি দেখে তো আমার জিহ্বায় পানি চলে এসেছে। আপনি খুব সুন্দর আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে, আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
শিং মাছ এভাবে আলু বেগুন দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে । এজন্য মাঝে মাঝে আমি এভাবে করে রান্না করি ।
শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আলু বেগুন দিয়ে শিং মাছের মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। রেসিপি টি দেখে লোভনীয় লাগছে। রান্না করার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আসলে রেসিপিটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । এজন্য সুন্দরভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করে ধরার চেষ্টা করেছি ।
শিং মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আলু এবং বেগুন দিয়ে খুব সুন্দর করে শিং মাছের রেসিপি করেছেন। তবে আলু এবং শিং মাছ দিয়ে অনেকবার রান্না করে খেয়েছি। তবে আপনার রেসিপি কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে অসাধারণ হয়েছে খেতে। এই কারণে ছেলে এবং ছেলের বাবা খুব মজা করে খেয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি সম্পূর্ণ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কালার যেমন সুন্দর খেতেও অনেক মজা হয়েছিল । আর এভাবে আলু বেগুন দিয়ে আমি বেশিভাগ সময় রান্না করে খাই ।
শিং মাছ যেমন উপকারী মাছ, তেমনি খেতেও ভীষণ মজার।ভুনা কিংবা ঝোল সব রকমই খেতে ভালো লাগে।আপনি আলু আর বেগুন দিয়ে রান্না করলেন।রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মজার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আমি ভোনা তরকারির থেকে ঝোল তরকারি খেতে বেশি পছন্দ করি । সবজি দিয়ে সেটাই আমার বেশি খাওয়া হয় ।