আসসালামুআলাইকুম

---

---

আমার প্রিয় কমিউনিটির সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আরো মজার একটি রেসিপি শেয়ার করতে চলে এসেছি। আর সেটি হল ফুলকপি ও আলু দিয়ে পাবদা মাছ রান্নার রেসিপি।পাবদা মাছতো সবসময়ই ভুনা করে খাওয়া হয় বেশি। তাই আমি চেষ্টা করলাম আজকে একটু অন্যরকম ভাবে রান্না করতে। শীতের সময় আসলে আমি অনেক বেশি সবজি খাই। আমি সবসময় সবজিটা একটু বেশি খায় কিন্তু শীতের সময় ফুলকপির সবজি আমি খুব বেশি খেয়ে থাকি।ফুলকপি আলু এবং সিম ভাজি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। তাছাড়া যেকোন মাছের সাথে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। আজ আমি বেশি করে ধনিয়া পাতা দিয়ে ফুলকপি আর আলু দিয়ে পাবদা মাছ রান্না করেছি খুবই মজা হয়েছে মাছটি খেতে তাই ভাবলাম আমার এই মজাদার মাছের রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।চলুন তাহলে শুরু করি।

---

---

রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমান নিচে দেওয়া হলো :

উপকরণ	পরিমান
পাবদা মাছ	৭পিছ
ফুল কপি	ছোট একটা
আলু	৩পিছ
পেঁয়াজ	হাফ কাপ
মরিচ	৩টি
তেল	পরিমাণমত
লবন	পরিমাণমত
হলুদের গুঁড়া	১/২চা চামচ
মরিচের গুঁড়া	১চা চামচ
জিরার গুঁড়া	১/২চা চামচ
আদা বাটা	১চা চামচ
রসুন বাটা	১চা চামচ
পেঁয়াজ বাটা	৪টেবিল চামচ
ধনিয়াপাতা	আন্দাজমতো

প্রস্তুত প্রণালী:

১ম ধাপ:

প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে করাই ভালো করে গরম করে তাতে প্রয়োজনমত তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে তার ভিতরে কেটে রেখে পেঁয়াজ ও মরিচগুলো দিয়ে দিয়েছি।

২য় ধাপ:

পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো হাল্কা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

৩য় ধাপ:

পেঁয়াজ ও মরিচ বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভেতরে আমি পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে তারপরে তার ভেতরে আমি হলুদের গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দিয়েছি।

৪র্থ ধাপ:

সবকিছু দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালমতো মিশিয়ে নিয়েছি।

৫ম ধাপ:

সব কিছু মেশানো হয়ে গেলে তারপরে যতক্ষণ না উপর দিয়ে তেল ভেসে ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মশলাটাকে কষিয়ে নিয়েছি।যত বেশি কষাবো আমার মাছটি খেতে তত মজা লাগবে।মশলা ভাল মতো ভুনা হয়ে গেলে তার ভিতরে আমি কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।

৬ষ্ঠ ধাপ:

মাছগুলো মশলার সাথে নেড়েচেড়ে মেশানো হয়ে গেলে তারপর তার ভিতরে আমি মাছ কষানোর জন্য হালকা একটু পানি দিয়ে দিয়েছি। যতক্ষণ না উপর দিয়ে হবে তেল ভেসে ওঠে এবং পানি কমে আসে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মাছগুলো কষিয়ে নিব।

৭ম ধাপ:

মাছগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গেলে আমি মাছগুলো একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি।

৮ম ধাপ:

মাছগুলো তুলে নেওয়া পর যে মশলাটা অবশিষ্ট থাকবে সেই মসলার মধ্যে আমি কেটে রাখা ফুলকপি ও আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি।

৯ম ধাপ:

ফুলকপি ও আলু গুলো নেড়েচেড়ে মসলার সাথে ভালো মতো মিশিয়ে তারপর ফুলকপি ও আলুগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য আমি তাতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।

১০ম ধাপ:

দেখুন সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে পানি একেবারে টেনে এসেছে।

১১তম ধাপ:

তারপর আমি ওই সিদ্ধ হওয়া সবজির ভিতর আমার কষিয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি এবং মাছ রান্না হওয়ার জন্য আমি পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।

১২তম ধাপ:

তারপর বলক এসে পানিটা একটু কমে আসলে তার ভিতরে আমি ভেজে রাখা জিরার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছি।

১৩তম ধাপ:

জিরার গুঁড়ো দেওয়ার পর আরো কয়েকটা বলক আসলে তার ভিতরে আমি ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি। ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো কয়েকটা বলক আসার পর আমি আমার চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি।আমার রান্না হয়ে গিয়েছে। আমি যেহেতু একটু ঝোল বেশি খাই তাই একটু ঝোল বেশি রেখেছি। আপনারা চাইলে আরো জ্বালিয়ে কমিয়ে নিতে পারেন।

১৪তম ধাপ:

এখন আমি আমার তরকারিটা একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি এখন গরম গরম ভাত দিয়ে শুধু খেয়ে ফেলতে হবে। শীতের সময় এভাবে করে রান্না করলে আমার কাছেতো খুবই ভালো লাগে আপনাদের কাছে কেমন লাগে কমেন্ট করে আমাকে অবশ্যই জানাবেন।

আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার	@tauhida
ডিভাইস	অপ্পো এফ1

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।