কিশোরগঞ্জ নিকলীতে তোলা কিছু ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়ে দিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিশোরগঞ্জ নিকলি তে গিয়ে তোলা কিছু ছবি । কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম বেশ কিছুদিন আগে সেখানে কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম আরো কিছু ছবি রয়ে গিয়েছিল । সেগুলো শেয়ার করব করব করে এখনো করা হয়ে ওঠেনি এজন্য ঝটপট চলে আসলাম ছবিগুলো নিয়ে । কিশোরগঞ্জ এত সুন্দর এলাকা ওখানে না গেলে কেউ বুঝতেই পারবে না এত সুন্দর । বিশেষ করে নিকলী থেকে বোটে করে হাওরের ওই পারে অনেকদূর পর্যন্ত অষ্টগ্রাম নামে একটি জায়গা রয়েছে সেই জায়গাটাতে হাওরের মাঝখান দিয়ে একটি রাস্তা করেছে সেই রাস্তাটা দিয়ে যেতে হয় । আর সেই রাস্তাটা যে এতটা সুন্দর তা ছবিতে দেখলেই বুঝতে পারবেন । আর এই রাস্তাটার কোন শেষ নেই দূরদূরান্ত পর্যন্ত শুধু যেতেই থাকে । আমরা অষ্টগ্রাম পর্যন্ত গিয়েছিলাম । রাস্তাটা দিয়ে চলেছি আর মনে মনে ভেবেছি এই হাওরের ভিতর দিয়ে এত সুন্দর রাস্তা কিভাবে করেছে আসলে মানুষজনের বুদ্ধি আছে বলতে হবে ।
প্রথম ছবিটা অষ্টগ্রামে যাওয়ার সময় তুলেছিলাম এত সুন্দর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তাটা দেখলেই মনটা ভরে যায় । আর এই রাস্তা দিয়ে যেতে হলে অটো কিংবা ছোট ট্রাকের মতো একটা গাড়ি রয়েছে সেটাই করে যেতে হয় । এখানে রিক্সা কিংবা অন্য কোন যানবাহনে যাতায়াত করার ব্যবস্থা নেই । ধীরে ধীরে রাস্তা দিয়ে চললে রাস্তাটা দেখতে খুব ভালো লাগে ।
এখনকার ছবিটা ফিরে আসার সময় তুলেছিলাম । একই রকম দেখা যায় দুইপাশ থেকে তবে যাওয়ার সময় রাস্তাটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ।
আর এটা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে তুলেছিলাম । দেখুন রাস্তাটা আঁকাবাঁকা হয়ে কতদূর পর্যন্ত চলে গিয়েছে । যতদূর চোখ যাবে শুধু রাস্তা রাস্তা দুই পাশ দিয়ে থৈথৈ পানি দেখতে সত্যি অপূর্ব লেগেছিল ।
হাওরের ভিতরে রাস্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে দেখলাম মানুষজন ছোট ছোট ঘর উঠিয়ে ওখানে বসতি স্থাপন করছে । সেখানে অল্প জায়গার ভিতরে ছোট ছোট কয়েকটা ঘর রয়েছে এবং গরু রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে সত্যি আশ্চর্য লেগেছে আমার কাছে বিষয়টা । কিছু কিছু লোকজন হাওরের মাঝখানে থাকে তারা নৌকা নিয়ে হাওড়ে যাতায়াত করে । আবার কিছু কিছু মানুষজনের বাড়িতে আবার বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করা হয়েছে সেটা দিয়ে তারা যাতায়াত করে ।
উপরের ছবি দুটো হাওরের ভেতরে বসে তুলেছিলাম । নিচে পানি এবং উপরে বিশাল আকাশ দেখলে সত্যি মনটা ভরে যায় । বিকেলের দিকে ছিল বিধায় সূর্য ডুবোডুবু অবস্থা দেখতে সত্যি অপূর্ব লাগে ।
আমরা কিশোরগঞ্জ নিকলিতে যাদের বাড়িতে এক রাত থেকে ছিলাম তাদের বাড়ি থেকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই ছবিটা তুলেছি। একেবারে বিশাল বড় একটা পুকুর সেই পুকুরের মাঝখানে এরকম গাছটা হেলে পড়েছে দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল দুইপাশ থেকে দুটো ছবি তুলে নিয়েছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
নিকলী হাওড়া এখন পর্যন্ত ঘুরতে যাওয়া হয়নি খুব ইচ্ছা আছে যাওয়ার। আসলেই আপু রাস্তা গুলো অসম্ভব সুন্দর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া যে কোন সময় সুযোগ করে চলে যাবেন জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর ।
আমার কাছেও হাওড়ের মাঝে ঘর তৈরি আশ্চর্য লেগেছে। তবে হাওড়ের মাঝে ঘর তৈরি করেছে তারা কিন্তু আলাদা সৌন্দর্য উপভোগ করে। আপনার তোলা ছবি গুলো অনেক সুন্দর লেগেছে।
এটা ঠিক বলেছেন হাওরের মাঝখানে যারা বসবাস করে তারা অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করে । চার দিকে পানি আর পানি ভালো লাগারই কথা ।
আপু কিশোরগঞ্জ নিকলীতে এখনো যাওয়া হয়নি। তবে ইউটিউব,ফেসবুক আর আপনার ছবি গুলো দেখে মন চাইছে আজকেই বাসের টিকেট কেটে চলে যায়। আমার একজন কলিগের বাড়ি অবশ্য সেই কিশোরগঞ্জ নিকলীতে। প্রতিবার বর্ষার সময় যাবো যাবো চিন্তা করি। কিন্তুু এখন পর্যন্ত যাওয়া হচ্ছে না। ধন্যবাদ।
ইউটিউব দেখে আমারও যাওয়ার প্রতি আগ্রহ জেগে ছিল এই জন্য আমি সময় সুযোগ করে চলে গিয়েছি আপনিও একদিন চলে যায়েন ভালো লাগবে ।
কিশোরগঞ্জের বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর জায়গা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দী করে আমাদের মাঝে দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। খুবই খুশি হলাম সুন্দর এই অচেনা জায়গা গুলো আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে দেখতে পেরে।
কিশোরগঞ্জের কিছু কিছু জায়গা আছে অনেক বেশি সুন্দর ছবি তুলে সেগুলোর সৌন্দর্য প্রকাশ করা সম্ভব নয় তাই যতটুকু পেরেছি করেছি ।
আপু নিকলী কিন্তু আমাদের এখান থেকে কাছেই! আমি গিয়েছি কয়েকবার! সুন্দর একটি জায়গা। পানির সময় তো আরও দারুণ লাগে দেখতে। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো খুব 🍀
আসলে নেকলি শহরটা অনেক সুন্দর আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ।