একটি নষ্ঠ ছেলের গল্প - দ্বিতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে দুইদিন আগে একটি গল্প শেয়ার করেছিলাম সেই গল্পের পরের অংশটুকু নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে মানুষের জীবনে নানা ধরনের ঘটনা ঘটে থেকে এ ধরনের ঘটনা এক একটি গল্প । এই বাস্তব ঘটনা নিয়ে লিখলে সুন্দরভাবে লিখে ফেলা । এইজন্য আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি মানুষের বাস্তব ঘটনা নিয়ে কিছু লেখার জন্য । গত পর্বে রবিন নামের একটি ছেলের ঘটনা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছিলাম । গত পর্বে শেষ করেছিলাম ঈদের ড্রেস কেনার জন্য কিছু টাকা নেই এবং সে টাকা সে হারিয়ে ফেলে । তারপর থেকে আজকে আবার লিখছি ।
এতগুলো টাকা ছেলেটা হারিয়ে ফেলল অথচ তার ভিতরে কোন অনুসূচনা হচ্ছে না । তখন মা বারবার ছেলেটার কাছে জিজ্ঞাসা করতে থাকে বাবা তুমি কি টাকাটা সত্যি হারিয়ে ফেলেছ নাকি অন্য কোন কাজে ব্যবহার করেছ । রবিন বারবারই বলছে হারিয়ে ফেলেছি ।
মা তখন বলছে যে কোন বান্ধবীর পেছনে খরচ করেছো এরকম হলে আমাকে বলো আমি কিছু মনে করব না । রবিন কিছুতেই প্রথমে স্বীকার করে না কিন্তু পরে বলে যে আমার একটা মেয়ে বান্ধবী আছে ওর জন্য কিছু গিফট কিনেছি । কিন্তু সে কথাটাও তার মায়ের কেন জানি না বিশ্বাস হলো না । এভাবে করে রবিন দিন দিন শুধু টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে চলছিল এবং টাকা নিয়ে যাচ্ছিল । সেটা দেখে বাবা-মার টেনশন দিন দিন বেড়েই যাচ্ছিল ।
এরপরে একদিন বায়না ধরে যে সে একটা মোটরসাইকেল কিনবে তার জন্য তার বেশ কিছু টাকা লাগবে । ও বাবা দিতে রাজি হয় না কিন্তু রবিন মোটরসাইকেল কেনার টাকা না পেয়ে বাসা থেকে রাগ করে চলে যায় । কয়েকদিন পর বাসায় ফিরে আসে এবং বাসায় এসে অশান্তি করতে থাকে । তখন ওর বাবা বাধ্য হয়ে টাকাটা দেয় । সে তখন পড়ালেখা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে । মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে আড্ডা দিয়ে দিন পার করছিল ।
এভাবে করে দিনগুলো চলছিল হঠাৎ একদিন রাত বারোটার পরে থানা থেকে ফোন আসে যে আপনাদের ছেলে এখন থানায় আছে ওকে এসে আপনারা নিয়ে যান । তখন ওর বাবা জিজ্ঞেস করে কেন ওকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তখন পুলিশ বলে যে নেশা করে রাস্তায় মাতলামি করছিল এ কারণেই তাকে পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে । এ কথা শুনে তখন রবিনের বাবা-মার মাথায় হাত । তারা তখন দিশেহারা অবস্থা কি থেকে কি করবে ।তখন রবিনের মা রবিনের মামাকে ফোন দেয় । রবিনের বাবা আর মামার গিয়ে থানা থেকে রবিনকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে ।
চলবে......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আসলে কিছু কিছু ছেলের হয়েছে এরকম ভাবে নেশা করে এবং খারাপ ছেলেদের সাথে আড্ডা দেয় এবং খারাপ সময় পার করে। বুঝতেই পারছি রবিন এরকম কাজগুলোর পেছনে টাকা খরচ করেছে। ছেলেটা আস্তে আস্তে অনেক নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ছেলের এরকম কথা শুনলে বাবা-মায়ের মাথায় হাত পড়ারই কথা। এরকম বাজে অভ্যাস এগুলো মানুষের জীবন থেকে বাদ দেওয়া অনেক কঠিন। তবে রবিন কি ভালো ছেলে হবে, নাকি এরকমই থাকবে এটাই ভাবছি আমি।
আজকালকার দিনে ছেলে মেয়েদের একা ছেড়ে দেওয়ার ঠিক না কে জানে কখন কি করে বসে ।
বাবা মায়ের উচিত প্রত্যেকটা সন্তানকে এত মোটা পরিমাণের টাকা দেওয়ার আগে, সেই এগুলো দিয়ে কি করবে তা ভালোভাবে চর্চা করা। এবং কি টাকা দেওয়ার পরে সে এগুলো দিয়ে কি করেছে এটা জানাও জরুরী। ছেলেটা খারাপ কাজে এই টাকাগুলো ব্যয় করেছিল, যা আর বুঝতে বাকি রইল না। পুলিশ তাকে থানায় পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিল। তাকে তার মামা ছাড়িয়ে নিয়ে আসার পর কি হল এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
বাবা মা যদি বুঝতো ছেলেটা খারাপ কাজে ব্যয় করবে তাহলে কি আর পয়সা দিত । এভাবেই তো ছেলেমানুষ বিপথে চলে যায় ।
আপু আপনি খুব সুন্দর গল্প শেয়ার করেছেন। প্রথম পর্ব পড়া হয়নি তবে দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভালো লাগলো। আমিও বাস্তব ঘটনা নিয়ে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আমাদের পাশের বাসার ছেলেটাও এমনি ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বর্তমানের ছেলেমেয়েদের মানুষ করা খুবই কষ্টকর। তাদের বাহিরের আড্ডা থেকে দূরে সরানো খুবই কঠিন। একবার সন্তান খারাপ হয়ে গেলে তাকে সহজে ভালো করা যায় না। রবিন অবশেষে নেশা করে মাতলামি শুরু করে আর এজন্য পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। রবিনের বাবা ও মামা ছাড়িয়ে আনার পর কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ঠিকই বলেছেন ছেলে হোক আর মেয়ে হোক আসলে সবারই নজরে নজরে রাখতে হয় । একটু ছেড়ে দিলে বিপত্তি ঘটায় সম্ভাবনা থাকে ।
ছেলেটা তাহলে নেশার জন্য এত টাকা নিয়েছে বাবা-মার কাছ থেকে। আসলে বাবা মায়ের মাথায় হাত দেওয়ারই কথা এরকম ঘটনা হঠাৎ করে শুনলে ।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।