আজ আমি এসেছি আপনাদের সাথে একটি জন্মদিনের পার্টিতে কাটানো কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে। এই জন্মদিন অনুষ্ঠানটা ছিল আমাদের পাশের বাসার ভাইয়ের ছেলের । এদের সাথে আমাদের খুব ভালো একটা রিলেশন সেটা আপনাদের সাথে এর আগে আমি বহুবার শেয়ার করেছি। আর এদের বাচ্চার জন্মদিন মানেই আমার বাচ্চার আনন্দ উল্লাস বেড়ে যায় কারণ ওটা তারই একটি বাসা। ওদের বাসার কারো জন্মদিন কিংবা কোন অনুষ্ঠান হলে সেই হলো থাকে সবার মধ্য মনি ।ওই বাসাতে যতই লোম আসুক না কেন আমার বাচ্চাই থাকে স্পেশাল গেস্ট। আর কেক তো তাকেই কাটতে হবে। এজন্য বেশ কিছুদিন ধরেই তার ভিতর একটি উত্তেজনা কাজ করছে যে ভাইয়ার জন্মদিন কবে আসবে কবে আসবে ।আর তার ভাইয়ার জন্মদিন দেখে সে তার মাথার চুল গুলো কাটছে না কারণ ভাইয়ার জন্মদিনের দিন চুল না থাকলে কেমন দেখা যায় তাই জন্মদিনের পরে সে চুলগুলো কাটবে। দেখতে দেখতে দিনটি চলে আসলো সারাদিন আমার বাচ্চা ওই বাসাতেই ছিল। আমি মনে করি সবারই তার প্রতিবেশীদের সাথে খুব ভালো একটা রিলেশন থাকা খুবই প্রয়োজন, কারণ সুখে-দুঃখে বিপদে-আপদে তারাই তো সবচেয়ে প্রথমে এগিয়ে আসে ।আমরা যে ফ্লোর টাই থাকি সেখানে মোট সাতটা ফ্যামিলি থাকে তার ভিতর অন্যান্যদের তুলনায় এই ফ্যামিলিদের সাথে আমাদের সবচেয়ে বেশি যাওয়া আসা। এখন আমি জন্মদিনের পার্টিতে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
এখানে দেখতে পাচ্ছেন জন্মদিনের কেকটা কাটার একটি মুহূর্তের ছবি। এখানে আমাদের কেকটা তৈরি করা হয়েছিল লাল ও কালো দিয়ে আর আমাদের সবার ড্রেস কোডটাও ছিল লাল কালো এবং পুরো বাড়িটাও সাজানো হয়েছিল লাল কালো দিয়ে দেখতে অপূর্ব লাগছিল ।এখানে বাচ্চারা যখন কেক কাটছিল সেখানে একটি ছবি আমি শেয়ার করেছি ছবিটিতে দেখতেই পাচ্ছেন। যার জন্মদিন ছিল সে তার বন্ধুদের সাথে যখন কেক কাটার জন্য রেডি হয়েছে তখন আমার বাচ্চা বারবার শুধু আমার দিকে তাকাচ্ছে কারণ ওরা বন্ধুরা মিলে কেক কাটার রেডি হচ্ছে আর আমার বাচ্চা মনে করেছে ওকে না নিয়ে বুঝি কেক কেটে ফেলবে তখন ওকে সবাই ডেকে নেয় এবং ও খুব আনন্দ নিয়ে কেকটি কাটে। |
যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি দিয়ে খুব সুন্দর করে ঘর ডেকোরেশন করা হয়েছিল। পানির ভিতর থেকে বুদবুদ করে আলো সহ পানি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। |
এখন উপরে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি রান্নার সময়ের ছবি। আমি রান্না ঘরে গিয়ে দেখি যে এই একটা আইটেমই রান্না হচ্ছে আর কোন খাবার নেই তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম অন্য খাবার গুলো কোথায় তখন উনারা বলল যে একটা জিনিসই খাওয়ানো হবে। চিকেন সিজলিং শুধু বাসায় নিজেরাই তৈরি করা হয়েছে আর অন্য যে খাবার গুলো ছিল সেগুলো সব বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আজকে জন্মদিনের খাবারের আইটেমগুলো ছিল সব চাইনিজ আইটেম খাবারগুলা খুবই মজাদার ছিল দেখেই বুঝতে পারছেন। |
এখন উপরে যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হল নাস্তার ছবি। সন্ধ্যার নাস্তা হিসেবে ছিল চিকেন মোমো, চিকেন স্যান্ডউইচ ও পায়েস আর সাথে ছিল মজাদার কেক। |
এখন যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো হল আমাদের রাতের খাবার। এখানে সব চাইনিজ আইটেমগুলো করা হয়েছিল দেখতেই পাচ্ছেন ছবিতে। চাইনিজ খাবার গুলো আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে থাকি খুবই মজাদার এ রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো। এজন্য এই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলোই আনা হয়েছিল আর এটা সব বার্গার এক্সপ্রেস এর মজাদার খাবার আর সাথে ছিল কোলড্রিংস। |
উপরে যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো সবশেষে গিফট দেখার ছবি গিফট খোলা হচ্ছে এবং এখানে দেখুন কত কিছু চকলেট ও আরো অন্যান্য জিনিসের সাথে আমার বাচ্চার জন্য একটি গিফট ছিল একটি প্লেন সেটা পেয়ে সে অনেক খুশি। অনেক রাত অব্দি আমরা গিফট খুলে অনেক মজা করে তারপর বাসায় এসেছি। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
ভালো কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন খুব সুন্দর লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো পড়ে ।কেকটা সত্যি দারুন ।খেতে খুব সুন্দর। ছোট ছোট শিশুরা আনন্দে মেতে উঠেছে খুব ভালো লাগলো।
আপু জন্মদিনে খুব সুন্দর সময় পার করেছেন। সেই সাথে লাল রঙের কেকটা দারুন ছিল। বাচ্চারা তো কেক খেতে বেশি পছন্দ করে সুন্দর খাবারের ছবি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে জন্মদিনের পার্টি খুব জাকজমক হয়েছে। আপনার বাচ্চা ও বাকিরা খুব আনন্দ নিয়ে কেক কাটছিল। খাবারের মেন্যু ভাল ছিল। সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে আপনাদের সময় খুব ভাল কেটেছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু জন্মদিন দারুন ভাবে মজা করছেন ৷হুম আপু আমাদের পাশের বাসার মানুষ গুলো তাদের অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেয় ৷তখন আমরা সবাই মিলে দাওয়াত খেতে যাই ৷আসলে বাসায় সবাই তো ব্যস্ত ৷আর যে কোনো অনুষ্ঠান যেতে ভালো লাগে
ওয়াও পার্টির থিম ছিল স্কুইড গেম।অনেক উপভোগ করলাম আপনার লেখা পড়ে।মনে হচ্ছিল আমিও জন্মদিনে উপস্থিত হয়েছিলাম।ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য।
আপনার পাশের বাসার ভাইয়ের ছেলে জন্মদিনে আপনার বাবুর জন্মদিন একই কথা। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন পারস্পরিক সম্পর্ক যদি মধুর হয় জীবনটাও রঙিন হয় এবং কি বাচ্চাদের মেধা বিকাশের জন্য বড় ভূমিকা রাখে। অসাধারণ ছিল জন্মদিনের পার্টি এবং চিকেন সিজলিং এবং বাইরে থেকে আনা খাবার গুলো। দেখে রীতিমত লোভ লেগে গেছেছিল। আপনার উপস্থাপনা ছিল দারুন। করা আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জন্মদিনের পার্টিতে কাটানো কিছু সময় অসাধারণ সময় কাটিয়েছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সচরাচর জন্মদিনের পার্টি এমনটাই হয়ে থাকে। কিন্তু তার মধ্যে আপনাদের পার্টির অসাধারণ হয়েছে । অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন এবং অনেক সুন্দর সুন্দর খাবার আইটেম করেছেন বিশেষ করে কেক টি অসাধারণ ছিল। ধন্যবাদ বাদ এমন দিন যেন বার বার আসে এই কামনাই করি।
জন্মদিনের পার্টিতে আনন্দ করা হয় এটাই স্বাভাবিক। আবার জন্মদিনের পার্টিতে অনেক ধরনের সুস্বাদু এবং মজাদার খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়। জন্মদিনের পার্টিতে অংশগ্রহণ করে আপনার মজার অনুভূতির কথাগুলো অতি চমৎকার ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসাধারণ একটি অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো
শুভ জন্মদিন।
অনেক সুন্দর মুহূর্ত পার করেছেন আমাদের মাঝে উপস্থাপ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।