মজাদার চা লাচ্ছি খাওয়ার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব মজাদার চা ও লাচ্ছি খাওয়ার অভিজ্ঞতা । ফরিদপুরে গিয়ে এবার কম সময় থাকা হয়েছে যার কারণে ঘোরাফেরা করার তেমন একটা সুযোগ পাইনি । তারপরে যে পরিমাণে গরম পড়েছে এর ভিতরে বাসা থেকে বের হওয়াটাই কষ্টসাধ্য হয়ে গিয়েছিল । এরপরও একদিন আমরা ঠিক করলাম সবাই মিলে বাইরে একটু ঘুরতে যাব । বাইরে ঘোরাফেরা করা মানেই তো খাওয়া দাওয়া করা । বাইরে রিক্সা কিংবা অটো নিয়ে ঘন্টা হিসাব করে ঘুরতেই থাকবো এবং আশেপাশের প্রকৃতি উপভোগ করব । তারপর সবশেষে ঘোরা শেষ করে রিক্সা বিদায় দিয়ে নাস্তা পানি খেয়ে বাসায় আসব তবেই না কমপ্লিট হবে ।
আমরা বাসা থেকে বের হয়েছিলাম এবং একঘন্টা অটো নিয়ে ফরিদপুরের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছি । এক ঘন্টা অটোতে করে ঘোরা মানে কিন্তু অনেক ব্যাপার । অটো অনেক জোরে চলে সেই কারণে অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করা যায় । আমরা ভাই বোন ও আমাদের মাকে সাথে নিয়ে । ঘুরেছি বিশেষ করে এবারের ঘোরাফেরা টা আম্মার জন্যই হয়েছে ।কারণ আম্মা বাসা থেকে কখনো বের হয় না সেই যে আব্বু চলে যাওয়ার পর থেকে বাসায় একেবারে আটকা অবস্থায় থাকে ।একা একাই থাকতে হয় ভাই তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং আম্মাকে একাই সময় পার করতে । তাই আমরা যখন যাই তখন ভাবি ঘোরাফেরা করবো কিন্তু সবসময় তেমন সুযোগ হয়ে ওঠে না । এবার ঈদের পর পর গিয়েছি যার কারণে আমরা ঈদের আমেজ থাকতে থাকতে বাইরে দিয়ে ঘুরে ফিরে নিয়েছি ।
ঘোরা শেষ করে এরপর আমরা অম্বিকা ময়দানে এসে থেমেছি । সেখানে প্রথমে আমরা ফুচকা চটপটি বার্গার খেয়েছি এবং সেটা খেতে খেতে মনে মনে ভাবছিলাম যে ঠান্ডা জাতীয় কিছু হলে মন্দ হতো না । তখন ফুচকার দোকানে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল যে এখানে লাচ্ছি পাওয়া যায় তবে আরও একটু দূরে আপনাদেরকে যেতে হবে । যেহেতু প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে তাই ফুচকাটা খাওয়ার পরে ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খেতে খুব ইচ্ছা করছিল । এরপর আমরা সেখান থেকে আরো সামনে যাওয়ার পরে দেখলাম আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান রয়েছে কিন্তু আমরা লাচ্ছি খুজছিলাম এবং একটু সামনে এগোতে আমরা পেয়েও গেলাম । সুন্দর একটা দোকান এবং সেখানে গিয়ে প্রথমে আমার ভাই দেখলো টেবিল ফাঁকা আছে কিনা । তারপর টেবিল ফাকা থাকলে আমরা সেই দোকানের ভিতরে গিয়ে বসলাম । তার আগে বাচ্চাদের জন্য কোল্ড্রিংস কিনে নিয়েছি ।
এরপর দোকানের ভিতরে বসে আমরা দেখতে থাকলাম সেখানে কি কি পাওয়া যায় । প্রথমে আমরা লাচ্ছি অর্ডার দিয়েছি । অনেক হাঁটাহাঁটির পরে দোকানটার ভিতরে ফ্যানের নিচে গিয়ে বসতে ভালো লাগছিল । তারপর সেখানে দেখলাম যে কিছু চায় এর কাপ রয়েছে এরপর আমরা জিজ্ঞাসা করলাম সেখানে চা পাওয়া যায় কিনা । এরপর ওরা বলল যে খুব মজার চা রয়েছে সাথে সাথে আমরা অর্ডার দিলাম । কারণ সবকিছুই পরে চা না খেলে কি আর ভালো লাগে । অন্যরা খাবে না আমি আর আমার বোন চায়ের অর্ডার করলাম । এর ভিতরে লাচ্ছি চলে আসলো এবং আমরা লাচ্ছিটা খেতে থাকলাম ।লাচ্চিটা অসম্ভব মজা করে ওরা বানিয়েছে । দোকানটা নাকি সাতদিন আগে চালু হয়েছে কিন্তু লোকজনের ভিড় সরানো যাচ্ছে না । খাবার মজা হলে যে কোন দোকানে লোকজন ভিড় করে । এরপর লাচ্ছি খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমাদের চা চলে আসলো । চা টা মুখে দিতেই অন্যরকম একটা ভালোলাগা কাজ করলো কারণ চাটা অনেক বেশি পরিমাণে মজা করে ওরা বানিয়েছে । এটাকে নরমালি ওরা মটকা চা বলে তবে নরমাল কাপেই দিয়েছিল । এই চায়ের দাম রাখল ৩০ টাকা । ৩০ টাকা হিসেবে চাটা অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার কাছে খেতে । এই চায়ের জন্য লোকজন আরো বেশি করে দোকানে ভিড় করছে দেখে ভালো লাগলো । এরপর আমাদের চা খাওয়া শেষ হয়ে গেলে আমরা বিল পরিশোধ করে একটা অটো নিয়ে বসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু এক কথায় পরিবার নিয়ে ঘোরার মধ্যে একটা আনন্দ পাওয়া যায়। আরে যেখানে ভাই বোনসহ মা নিজেও থাকে সেটা তো আরো খুবই ভালো লাগার একটা বিষয়। আপনারা অটো গাড়িতে একঘন্টা অনেক ঘুরাঘুরি করেছেন আর অটো গাড়িতে ঘুরাঘুরি করার মজাই আলাদা কারণ এটাতে ঘুরলে আমার খুব ভালো লাগে। ঘুরতে ঘুরতে এক সময় আপনারা মজাদার চা লাচ্ছি খায়েছেন। আর সেই অভিজ্ঞতাটি আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেলে কিন্তু ভালই লাগে । বিশেষ করে নিজের আপনজন সাথে থাকলে তখন সবকিছুই ভালো লাগে ।
এরকম ঘন্টা হিসাব করে রিক্সায় করে কখনো ঘুরাঘুরি করা হয়নি। তবে এই জিনিসগুলো বেশ ভালো লাগে। এটা ঠিক বলেছেন আপু,একটু ঘুরাঘুরি করে খাওয়া দাওয়া করলে তবেই বাহিরে যাওয়া কমপ্লিট হয়। দারুন মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া করেছেন। ফুচকা, চটপটি, বার্গার, লাচ্ছি এবং সবশেষে চা খেলেন। মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এই এক ঘন্টা হিসাব করে ঘোরাটা আমরা ছোটবেলা থেকেই করে আসছি । ঘুরতে ঘুরতে ভালো লেগে গেলে ঘন্টা আরো বাড়াতাম তখন অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করত । অনেকদিন পরে সেই সময়টা ফিরে পেয়ে ভালো লেগেছে ।
বাইরে ঘোরাফেরা মানেই খাওয়া দাওয়া করা ঠিক বলেছেন। আমি যখন বাইরে যাই খাওয়া-দাওয়া চেস্টা করি। লাচ্ছি খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি দেখতেছি দারুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন আজকে। প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়তেছে আসলেই এখন। যে অবস্থায় আস্তে আস্তে মনে হচ্ছে দুবাই শহরে পরিণত হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই দেশ। দারুন ছিল আপনার মুহূর্তটি।
ঠিক তাই বাইরে ঘোরাফেরা করবো আর শেষ ফিনিশিং এ খাওয়া-দাওয়া করব না সেটা কি হয় নাকি। তাই আমরাও সেরে নিলাম ।
খুবি সুন্দর একটি দিন পার করলেন। রিক্সায় ঘুরতে আমারও অনেক ভালো লাগে । শুধু মনে হয় এই রিক্সা দিয়ে যদি সারা বাংলাদেশ ঘুরতে পারতাম। আর মা-বাবা ভাই বোন এরাইতো হচ্ছে একটি পৃথিবী । আর এদের মাঝে কিছুটা সময় অটো রিক্সা দিয়ে ঘোরাঘুরি আর খাওয়াদাওয়া করলেন মনে হচ্ছে। খুব ইনজয় করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর কিছু সময়ের আনন্দ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই দিনটা অনেক ভাল ছিল কোথা দিয়ে পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । আপনি একদম আমার মনের কথা বলেছেন রিক্সা নিয়ে ঘুরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে পুরো বাংলাদেশটা ঘুরতে পারলে আসলেই ভালো লাগতো ।
সেদিনের ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়াটা বেশ ভালই লেগেছিল। এভাবে মাঝেমধ্যে সবাই মিলে ঘুরতে পারলে বেশ আনন্দ হয় ।যদিও সব সময় সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না ।তারপরেও আবার আসলে আমরা আবারো এরকম ঘুরে বেড়াবো। বেশ ভালো সময় কাটবে ।ধন্যবাদ আপনাকে সেদিনের স্মৃতিটুকু আবার মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
আসলেই আপু সেদিনের ঘোরাঘুরিটা অনেক ভাল ছিল । সময় সুযোগ হলে আবারও কখনো এরকম করে ঘুরবো ইনশাআল্লাহ ।
বাইরে ঘোরাঘুরি করলে মজাদার খাবার খাওয়া হবে, এটাই তো স্বাভাবিক আপু। আপনি পরিবার নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন, এটা জেনে খুব খুশি হলাম। তবে আপনি ফুচকা খাওয়ার পর কিছু ঠান্ডা খাওয়ার জন্য লস্যি খেলেন, এটা তো ঠিক আছে। তারপর আবার ঠান্ডা খাওয়ার পর চাও খেলেন, যদিও এমন ভাবে ঠান্ডা গরম পরপর খাওয়া ঠিক না। যাইহোক, ভালো লাগলো আপু, আপনার এই পোস্ট টি পড়ে।
সবকিছু খাওয়ার পরে মনে হলো যে চা না হলে যেন চলবে না এজন্য ঠান্ডা খাওয়ার পরে চাও খেয়ে নিলাম । ঠিক তো না কত কিছুই না তারপরও তো আমরা করেই যাচ্ছি সে অনিয়ম গুলো ।
এটা আপনি একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। ব্যাপারটা হচ্ছে, আমরা অনেক কিছুই জানি কিন্তু মানি না।