★অনেক দিন পর রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে বাইরে খেতে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত ।বেশ কয়েকদিন হয়ে গিয়েছে বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া হয় না । ওদিকে ছেলে তো প্রায়ই পাশের বাসা ফ্যামিলির সাথে যায় এজন্য আমি খুব একটা গরজ করি না । ওর জন্যই বেশিরভাগ সময় রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় । ওদের বাসায় কোন অনুষ্ঠান হলেই কিংবা বাইরে কোথায় যাওয়া হলে ও তো প্রধান গেস্ট হয়ে যাবে ।
কালকে এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে পাশের বাসায় ফানা মানে আমার ছেলের একটি ভাই আছে সে এসএসসিতে ভালো রেজাল্ট করায় সবাই মিলে বাইরে খেতে যাবে । এদিকে ছেলে আমাকে এসে বলেছে আজকে ওরা বাইরে খেতে যাবে আমিও যাবো । এর ভেতরে আমাদের বাসার ইন্টারকমটা বেজে ওঠে পাশের বাসায় ভাই ফোন করে বলে যে ছেলের রেজাল্ট উপলক্ষে চলেন সবাই মিলে বাইরে গিয়ে খেয়ে আসি তাই আমাদেরও যেতে হবে সাথে । আমরা দুই ফ্যামিলি প্রায় সময়ই একসাথে মিলে রেস্টুরেন্টে যাই অনেকদিন হলো যাওয়া হয় না । আজকে আবার সেই সুযোগটা হয়ে গেল । আমারও কদিন ধরে খুব ইচ্ছা করছিল বাইরে কোথাও যাই । আটটার ভিতরে আমাদেরকে রেডি হয়ে থাকতে বলে ।
সন্ধ্যার সময় চা নাস্তা খেয়ে একটু পরে রেডি হব তখন ছেলে এসে বারবার বলছে আমাকে রেডি করিয়ে দাও । তখন ওর বাবা বলল যে তোমার মা আগে রেডি হবে তারপর তুমি । আমার রেডি হওয়ার কথা শুনে তো ও একেবারে অবাক তখন আমি বললাম তোমার বাবাও যাবে তখন ও আরো বেশি অবাক হয়েছে । কারণ ও সব সময় চায় যে আমরা দুই ফ্যামিলি সবসময় একসাথেই থাকি এজন্য আমরা সবাই মিলে যখন কোথাও যায় ও অনেক বেশি খুশি হয় । তারপর যথারীতি আমরা রেডি হয়ে সাড়ে আটটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম ।
আমাদের বেইলিরোডে ক্যাপিটাল সিরাজ মার্কেটে নতুন একটি ফুড কর্নার চালু হয়েছে সেখানে আজকে আমরা যাব ।এখানে আমি আজি প্রথম যাচ্ছি । আমাদের বাসা থেকে অল্প রাস্তা আমরা অল্প কিছু সময়ের ভিতরেই সেখানে গিয়ে পৌঁছলাম । আটটার সময় মার্কেট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুধুমাত্র ফুড কোর্টের কারণে ওখানে আন্ডার গ্রাউন্ড দিয়ে লিফটে উঠে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । এই সময়টা প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকে । এখানে রাত বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া চলতেই থাকে । আমরা তো প্রথমে গিয়ে ভেবেছি যে সিট পাওয়া যাবেনা পরে আমরা মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করার পরে সুন্দর টেবিল পেলাম এবং আমরা দুটি টেবিল এড করে সবাই মিলে একসাথে বসেছি । এরপর মজার মজার কিছু খাবার অর্ডার দিলাম ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
খাবার আসতে আসতে প্রায় আধা ঘন্টার বেশি সময় লেগেছিল । এরপর খাবার দিয়ে গেল আমরা সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলাম । এখানকার খাবারটা খুবই মজা লেগেছে এবং সময়টা অনেক ভালো কেটেছে । এরপর রেস্টুরেন্ট থেকে বাইরে বের হওয়ার সময় বাচ্চারা দোলনায় বসে কিছু ছবিও তুলল । এখানে লিফটের সামনে এই দোলনার ব্যবস্থা টা করা হয়েছে এবং এখানে সবাই বসে ছবি তুলে এবং দোল খায় যেটা আমার কাছে ভালোই লেগেছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আসলে অনেকদিন পরে রেস্টুরেন্টে গেলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আপনার প্রতিবেশীর সাথে অনেকদিন পরে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন এবং খুব ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন তাহলে। আসলে এখন এসএসসির রেজাল্ট দিয়েছে বেশিরভাগ জন পাশ করার কারণে সবাই তো আনন্দে আত্মহারা। যাই হোক তাহলে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন প্রত্যেকটা খাবার। আপনাদের খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
একদম তাই আপু রেস্টুরেন্টের নাম শুনলেই আমার খুশি খুশি লাগে । আর সেটা যে কোন উপলক্ষে হোক না কেন ।
আসলে অনেকদিন পরে শুধু রেস্টুরেন্টে না যে কোন জায়গায় গেলে খুব ভালো লাগে। আমি তো বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি সোনিয়াকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন পর পর রেস্টুরেন্টে অথবা যে কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য। পাশের ফ্ল্যাটের আপনাদের সেই প্রতিবেশীগুলোর সাথে তাহলে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন। খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি খাবারের মানটা অনেক বেশি ভালো ছিল। আপনার ছেলের দোলনায় বসে থাকা ছবিটাও খুব সুন্দর হয়েছে।
আসলে ভাইয়া আমাদের সবারই উচিত মাঝে মাঝে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার । কারণ রেস্টুরেন্টের খাবার খেলে ভালোই লাগে ।কারণ বাসার খাবার খেতে খেতে একঘেয়ে চলে আসে তখন একটু ভিন্নতার দরকার হয় ।
এসএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট হওয়ার কারণে পাশের বাসার সবাই সহ রেস্টুরেন্টে গিয়ে মুখরোচোক খাবার খেয়ে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন তা আপনার পোস্ট দেখেই বুঝতে পারছি আপু। যেহেতু আপনারা দুই ফ্যামিলি সব সময় একসাথেই থাকেন সেহেতু আপনারা এই আনন্দঘন মুহূর্তটি খুবই উপভোগ করেছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এভাবে মাঝে মাঝে বাইরে ঘুরে বেড়ালে সম্পর্ক আরো জোরালো হয় আপু। যাইহোক আপু, অনেকদিন পর রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার সুন্দর অনুভূতিটুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদম তাই ভাইয়া আমরা যখন এই দুই ফ্যামিলি একসাথে হই তখন সবচাইতে বেশি খুশি হয় আমার ছেলেটা । আসলেই অনেক ভালো একটা সময় কেটেছিল ।
মাঝেমধ্যে বাইরে ঘুরতে গেলে বা খেতে গেলে সবাইরে ভালো লাগে। পাশের বাসায় একজন এসএসসি পরীক্ষা পাস করায় সবাই রেস্টুরেন্ট গেলেন খাওয়ার জন্য। তবে আপনার ছেলের ছবি দেখে মনে হচ্ছে সে খুশি না। মনে হয় তার পছন্দের খাবারগুলো তাকে খাবার নাই। যাইহোক সবাই মিলে রেস্টুরেন্টে গেলেন শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সে প্রত্যেকটা খাবারই খুব মজা করে খেয়েছে যা যা তার পছন্দ ।ছবি তোলার সময় তার চেহারা এরকমই হয় বেশিরভাগ সময় ।