★মজাদার আলুপুরি রেসিপি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আলুপুরি বানাতে হয়। বেশ কিছুদিন আগে এই আলুপুরি তৈরি করেছিলাম খেতে খুবই মজা হয়েছিল। আর আপনাদের সাথে শেয়ার করাই হয়নি ।তবে রেখে দিয়েছিলাম কোন একদিন শেয়ার করব। আজকে কি পোস্ট দিব তাই ভাবতে ভাবতে ফোন ঘাটছিলাম তখন হঠাৎ করে এই রেসিপি চোখে পড়লো আর তখনই এই রেসিপিটি নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি। আমরা ডালপুরি আলুপুরি এগুলো সবাই খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে আমরা বাইরে থেকে এগুলো কিনে খেয়ে থাকি আর নিজেরা যদি এভাবে ঘরে তৈরি করে থাকি তাহলে সেই খাবারটা একটু স্বাস্থ্যসম্মত হয় এবং নিজের ইচ্ছামত মজা করে তৈরি করা যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
ময়দা
পেঁয়াজ
মরিচ
আদা বাটা
রসুন বাটা
ধনিয়া পাতা
চাট মসলা
মরিচের গুঁড়া
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
লবণ
তেল
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আমি আলুগুলো টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি। তারপর একটা বাটিতে কিছু ময়দা নিয়েছি। এরপর ময়দার ভেতরে লবন তেল দিয়ে দিয়েছি। তারপর একটু একটু করে পানি দিয়ে একটা ডো তৈরি করে নিয়েছি। এরপর আধা ঘন্টার জন্য রেখে দেবো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে। ততক্ষণ আমি আলুগুলো তৈরি করে নেব ।তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে আদা রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি।
আদা রসুন একটু সময় ভেজে নিয়ে তারপর তার ভিতরে পেঁয়াজ কাটা দিয়ে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ একটু নেড়েচেড়ে তারপর পাঁচফোড়ন দিয়ে দিয়েছি। এরপর একটু সময় নেড়েচেড়ে সব গুঁড়া মসলা ও লবণ দিয়ে দিয়েছি। একটু জিরার গুড়ো দিয়ে দিয়েছি। এরপর মসলাটাকে সুন্দরভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
এরপর আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর নেড়েচেড়ে মসলার সাথে মিশিয়ে নিয়েছি এবং আলুগুলো সিদ্ধ হওয়ার জন্য একটু পানি দিয়ে দিয়েছি তারপর ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রেখেছি। ঢাকনা খোলার পরে পানিটা যখন একটু শুকিয়ে আসবে তখন তার ভিতরে ধনিয়া পাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে দিয়েছি। এরপর আরো কিছু সময় আলুগুলোকে ভালো মতো রান্না করে নিয়েছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আলুগুলো একেবারে সুন্দর ভাবে রান্না হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত রান্না করে নিয়েছি।
এরপর আলুগুলো একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি। তারপর আমার ময়দাটা আধা ঘন্টা পরে একেবারে নরম সফট হয়ে গিয়েছে । তখন সেখান থেকে একটু ময়দা নিয়ে আমি বেলে নিয়েছি তারপর তার মাঝখানে কিছু আলু দিয়ে গোল গোল করে পেচিয়ে নিয়েছি। একইভাবে আমি সবগুলো বানিয়ে নিয়েছি ।এরপর একটা একটা করে নিয়ে হালকা হাতে বেলে নিয়েছি।
তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেল গরম হয়ে গেলে তার ভেতরে একটা একটা করে ছেড়ে দিয়ে আমি ভেজে নিয়েছি। এরপর একটা প্লেটে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করেছি। খেতে কিন্তু খুবই মজাদার হয়েছিল।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপনি খুবই মজাদার আলুপুরি রেসিপি তৈরি করেছেন। আলু পুরি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনি খুবই মজাদার ভাবে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। পরিবেশনটাও খুবই সুন্দরভাবে করলেন। যা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। খেতে ভীষণ ভালোই লেগেছিল মনে হচ্ছে যেহেতু গরম গরম পরিবেশন করেছিলেন।
এ ধরনের খাবার গুলো দেখলে আসলেই লোভ লাগে খেতে ইচ্ছা করে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন, এই আলু পুরি রেসিপি আমার খুবি প্রিয়,তাই আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে খুবি ভালো লেগেছে, এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনার প্রিয় একটি রেসিপি তৈরি করে ফেলেছি, এবার আপনি দেখে একদিন তৈরি করে ফেলুন।
মজাদার আলুপুরি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
খেতে ভালোই সুস্বাদু হয়েছিল এ ধরনের খাবার গুলো খেতে ভালোই লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটা দেখে আমার তো খুবই লোভ লেগে গিয়েছে। আলুপুরি আমার খুবই পছন্দের। আলু পুরি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি ছোটবেলা থেকেই। আপনার আলুপুরি রেসিপি টা দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে নিয়ে খেয়ে নিতে। উপস্থাপনা ও খুব সুন্দর ভাবে করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আমার কাছে।
আমার আলুপুরি দেখে আপনার লোভ লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। এ ধরনের খাবারগুলো আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘরে বানানো যে কোনো খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত হয়। তাছাড়া এরকম আলুপুরিগুলো ঘরে বানালে খেতে আরো বেশি সুস্বাদু হয়। আমার অবশ্য ঘরে কখনো বানানো হয়নি আলসেমি করে। আপনার আজকের ঘরে বানানো আলুপুরি দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। বানানোর পর প্লেটে রাখার পর মনে হচ্ছে যে এক পিস নিয়ে খেয়ে ফেলি। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
আমারও কোন কিছু বানাতে ইচ্ছা করে না আলসেমি লাগে তারপরও মাঝে মাঝে দু একটা জিনিস তৈরি করি ভালো লাগে।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার আলুপুরি রেসিপি। আমি প্রায় প্রত্যেকদিন সকালবেলায় এই রেসিপি হোটেল থেকে খেয়ে থাকি। আসলে হোটেলের থেকে যদি নিজে তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে খেতে অনেক বেশি মজাদার হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সব সময় তো হোটেল থেকে কিনে খান এরকম করে একবার বাসায় ট্রাই করে দেখবেন ভালোই লাগে খেতে।
অনেক সুস্বাদু আলুপুরি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আলুপুরি গুলো দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। অনেকদিন আগেই তৈরি করেছেন শুনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমি ডালপুরি খেয়েছি কখনো খাইনি আলুপুরি। বাজারের বা দোকানের আলুপুরি থেকে ঘরে তৈরি করা গুলো মজার হয় এবং অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। এজন্যই দোকানের বা বাজারের এই নাস্তা গুলো থেকে ঘরে তৈরি করা নাস্তা গুলোই অনেক বেশি গুরুত্ব দেই। আপনিও দেখছি আলুপুরি ঘরে তৈরি করে খেয়েছেন নিশ্চয়ই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
আমাদের ঢাকাতে তো প্রায়ই জায়গায় এরকম আলু পুরি পাওয়া যায়। ওদেরটা থেকে আমাদের নিজ হাতে বানানো টাই বেশি মজা লাগে আমার কাছে।
দেখে অনেক মজার মনে হচ্ছে আলুপুরি। আপু এভাবে কখনো তৈরি করে আলুপুরি খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে বেশ ভালো লেগেছে। ভিতরে আলু গুলো ঝাল ঝাল অনেক মজার হবে। রেসিপি গুলো তৈরি করে রাখলে ভালো হয় যখন অবসর সময় পাওয়া যায় তখন শেয়ার করা সম্ভব হয়। দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি ভালো লাগলো।
আমরা সবাই ঝাল খেতে পছন্দ করি এজন্য একটু ঝাল ঝাল করে তৈরি করেছি। খেতে আসলেই টেস্টি হয়েছিল আপু।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, বাসায় তৈরি যে কোন জিনিসই খুবই স্বাস্থ্যসম্মত হয়। আর তাই আপনার তৈরি মজাদার আলুপুরি রেসিপি দেখে বোঝাই যাচ্ছে, বাসায় তৈরি এই পুরি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আলুপুরি গুলো দেখতেই যেন ভীষণ লোভ লেগে যাচ্ছে। খেতে পারলে মন্দ হতো না। যাইহোক আপু, আপনার তৈরি আলু পুরি রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব চমৎকারভাবে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই ভাইয়া বাসায় নিজের হাতে তৈরি করা জিনিস খেতে খুবই মজা। আমারটিও অনেক মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।