ফুলের মায়ের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে আবার নতুন একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । নতুন নতুন গল্প শেয়ার করতে সবসময় ভালো লাগে । আর মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । কারন মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে গল্প লিখতে গেলে সেই গল্পটা সুন্দরভাবে ফিনিশিং দিয়ে শেষ করা যায় , আর বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে হলে নিজের মতো করে বানিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়ে যায় । আর দেখা যায় কি যে এগুলো কোন নাটক সিনেমার গল্প বা অন্য কোন মানুষের গল্পের সাথে হুবুহু মিলে যায় তখন সে গল্পটা লিখে আর নিজের কাছেই ভালো লাগে না । তাই মানুষের জীবনের কিছু মুহূর্তগুলোকে যদি সুন্দরভাবে গল্প আকারে তুলে ধরা যায় তাহলে সেটা মন্দ হয় না । আজকে আমি সেরকমই একটি গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম ।
গত পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম ফুলের মা এলোমেলো ভাবে চলাফেরা শুরু করছিল এবং কয়েকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হতে থাকে এবং একপর্যায়ে ছেলেগুলা ছুরি বের করে এরপর থেকে শুরু করছি । আজকে আমি আমার গল্পের শেষ পর্ব নিয়ে এসেছি । ছেলেগুলো আসে পাশে দেখে তারপর মহিলাটাকে এলোপাথাড়িভাবে কোপাতে থাকে । সেটা দেখে আশেপাশের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে এবং ভয় পেয়ে যায় দৌড়ে অন্য লোকদেরকে ডাকতে থাকে । ততক্ষণে ফুলের মা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে থাকে সে হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করে এর কারণে হাতে অনেক বেশি আঘাত পায় । স্কুলের শিক্ষকসহ সবাই জানাজানি হয়ে যায় তারা দৌড়ে আসে এবং সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স খবর দেয় সাথে ফুলদের বাসায় খবর পাঠায় । শিক্ষকরা বাসার লোকজনের অপেক্ষা না করে ফুলের মাকে হসপিটালে নিয়ে যায় ।
সবাই যখন আসতে শুরু করে তখন ছেলেগুলো সেখান সেখান থেকে পালিয়ে যায় । ফুলের মায়ের একেবারে রক্তাক্ত অবস্থা তাকে নিয়ে হসপিটালে ভর্তি করা হয় । পরে তার বাড়ির লোকজন আসে এবং শিক্ষকরা সেখান থেকে চলে আসে ।এভাবে করে ফুলের মা প্রায় অনেকদিন পর্যন্ত হসপিটালে ভর্তি থাকে এবং সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য । ঢাকায় যাওয়ার পর সে আস্তে আস্তে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে । সুস্থ হয়ে ওঠার পরে সবাই জানতে পারে যে ফুলের মায়ের অনেক জনের সাথে সম্পর্ক ছিল তার ভেতরে একজন তার দলবল নিয়ে এসে তাকে এভাবে কুপিয়ে গিয়েছে ।
ফুলের মা সবার সাথে প্রতারণা করতো এবং সবাইকে ভাঙিয়ে চলতো । এসব কথা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরে ফুলের মাকে আর শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেনে নেয়না । এমনকি ছোট্ট ফুলকেউ তারা তার মায়ের কাছে দেয় না তারা নিজেরাই তাকে কাছে রাখে । মাঝে মাঝে ফুলের মায়ের সাথে দেখা করতে দেয় । এভাবে করে ফুলের মায়ের সংসারটা ভেঙে যায় । ফুলের বাবাও আর ফুলের মাকে গ্রহণ করে না । মাঝখান থেকে ফুল তার মাকে হারালো যে যার মত ভালই থাকবে শুধুমাত্র ছোট্ট শিশুটার কষ্ট হয়ে গেল ।
আসলে কোনো মানুষের অতিরিক্ত বার বারা ভালো নয় । মহিলাটা দেখতে সুন্দরী ছিল এবং সেই সুন্দরীর আকর্ষণ করিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্কে জোড়াতো । মানুষকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে যার ফল সে হারে হারে পেল ।নিজের মেয়েটাকেও হারালো সাথে সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল । মানুষের কখনোই অতিরিক্ত করা ভালো না । আল্লাহর মানুষকে যতটুকু দিয়েছে যেভাবে রেখেছে সেভাবেই মানুষের সন্তুষ্ট থাকা উচিত এবং নিজের চরিত্রকে ভালো রাখা উচিত।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এই গল্পের পূর্ববর্তী পর্ব আমি পড়েছিলাম৷ আজকে এই গল্পের শেষ পর্ব পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো৷ এই গল্পের এখানে ইতি টেনেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ ফুলের মা যদি নিজেকে অল্প কিছু পাওয়াতেই সন্তুষ্ট থাকতো, তাহলে সে কখনোই তার সংসার হারাত না এবং সে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারতো৷ তবে সে অহংকার করার কারণে তার পতন ঘটেছে৷
অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এই গল্পটি পড়ে৷
ফুলের মা নিজের দোষে নিজের সংসারটাকে হারিয়েছে ,অতিরিক্ত বার বাড়লে যেটা হয় আর কি ।
সবশেষে যে কথাটা বলেছেন আল্লাহ তায়ালা যাকে যতটুকু দিয়েছে ততটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা উচিত। কথাটা কেউ যদি বাস্তব জীবনের সাথে মিল রেখে এগিয়ে যায় তাহলে তার জীবনে আর কোন সমস্যায় আসবে না। যেমন গল্পের ফুলের মা যদি নিজেকে অল্পতে সন্তুষ্টি রাখতে পারতো নিজের রূপের অহংকার না করতো তাহলে হয়তো সে তার সংসার হারাতো না তার মেয়েকেও হারতো না।
মানুষকি আর এসব জিনিস মেনে চলে ।মানুষের যতটুকু রয়েছে মানুষ তার থেকে আরো অনেক বেশি প্রত্যাশা করে তখনই তো বিপত্তিটা ঘটে ।
সাময়িক কিছুটা আনন্দের জন্য ফুলের মা তার সারা জীবনের দুঃখকে বহন করে নিলো। সে যদি এরকম খারাপ কাজগুলো না করতো তাহলে হয়তো সে স্বামী সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করতে পারতো। যে লোক গুলো ফুলের মাকে কুপিয়েছে তারা হয়তো ফুলের মায়ের এসব কাহিনী জেনে গিয়েছিল জন্যই এমন করেছে। যাই হোক আপু খুব সুন্দর করে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো পড়ে।
সে যদি আগে থেকে এসব জিনিস চিন্তা করতো তাহলে কি আর এরকম বিপদের মুখে পড়তে হয় ।
এবার আসল ঘটনা বুঝতে পারলাম আপু। এর আগের পর্বে আসল ঘটনা ক্লিয়ার ছিল না। ফুলের মা নিজে সুন্দরী হওয়ার কারণে যাদেরকে নাচাতো তারাই এরকম সিচুয়েশন তৈরি করেছে। একসময় রূপের আগুন দেখিয়ে এসব করে, আজ সে নিজের বিপদ ডেকে এনেছে। ফুলের মা যে প্রতারণা করতো, মানুষকে ভাঙিয়ে চলতো এই ব্যাপারটা এই শেষ পর্বে ক্লিয়ার হলো।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।