মজাদার ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সামনে মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি আর সেই রেসিপিটি হল ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি । ফ্রেন্স ফ্রাই এমন একটি রেসিপি যা ছোট বড় সবারই অনেক পছন্দের । এই মাঝ রাতের বেলা ছেলে হটাৎ বায়না ধরেছে ফ্রেন্স ফ্রাই খাবে তখন কি আর করা বাধ্য হয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানাতে চলে গেলাম । আর এভাবে করে ফ্রেন্স ফ্রাই বানালে একেবারে রেস্টুরেন্টের মতোই হয় খেতে খুবই ভালো লাগে । প্রত্যেকটা আলু যদি সমান এবং চিকন করে কাটা হয় তাহলে সেইটা অনেক মুচমুচে হয় খেতেও খুব ভালো লাগে ।আমি এখন আমার মজাদার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
আলু
তেল
বিট লবন
কর্নফ্লাওয়ার
গোল মরিচের গুঁড়া
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আলুগুলো চিকন চিকন করে কেটে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি । তারপর চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে তার ভিতরে পানি দিয়ে দিয়েছি এবং পানিটা একটা বলক আসলে তার ভিতরে আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর দুই তিনটা বলক আসার পরে আলুগুলো আমি পানি থেকে একটা জালিতে ঢেলে নিয়েছি । তারপর সাথে সাথে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি যাতে আলুটা আর সিদ্ধ না হয় । এখানে কোনরকমে আলুটাকে ভাপ দিয়ে নিতে হবে ।
এরপর একটা পেপার বিছিয়ে তার উপরে আলু গুলো দিয়ে উপর থেকে টিস্যু দিয়ে পানিটাকে পুরোপুরি শুকিয়ে এনেছি ।তারপর একটা বাটিতে আলু গুলো তুলে নিয়েছি ।
এরপর আলুর ভেতরে গোলমরিচের গুড়া ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে দিয়েছি ।
এরপর সব কিছু ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে তার উপরে বিট লবণ দিয়ে দিয়েছি । বিট লবণটা পরে দিতে হবে তা না হলে আলুর ভিতর থেকে পানি ছেড়ে দিতে পারে ।
এরপর আবার কিছু কনফ্লাওয়ার দিয়ে আলু গুলোকে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি সবকিছুর সাথে ।
এরপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তার ভেতরে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেল গরম হয়ে গেলে আলুগুলো তেলের ভিতরে ছেড়ে দিয়েছি । এরপর হালকা হাতে নেড়ে চেড়ে নিচ্ছি ।
এরপর বেশ খানিকটা সময় নেড়েচেড়ে আলুগুলোকে একেবারে বাদামি কালার করে ভেজে নিয়েছি ।
এরপর একটা স্টেইনার দিয়ে তেল ঝরিয়ে আলু গুলোকে প্লেটে তুলে নিয়েছি । তারপর গরম গরম পরিবেশন করেছি খুবই মজাদার হয়েছিল আমার ফ্রেন্স ফ্রাই গুলা । এভাবে করে আপনারা ট্রাই করে দেখবেন খেতে খুবই ভালো লাগে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপনি আজকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই করা দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিবা আমার এটা কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি তাই এটা টেস্টটা জানা নেই তবে আজকে আপনার রেসিপি পোষ্টের মাধ্যমে এটা দেখতে পেরে ভালো লাগলো। মনে হয় বিকালের নাস্তা হিসেবে খেতে বেশ ভালোই লাগবে। ধন্যবাদ
এত মজার একটি খাবার আপনি কখনো খাননি অবশ্যই একদিন ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগে খেতে ।
ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। এমনকি আমার ছেলেও খুব পছন্দ করে। বেশির ভাগ সময় রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া হয় তবে অনেক আগে বাসায় তৈরি করেছিলাম। চিন্তা করেছি ছেলে যখন খেতে পছন্দ করে তাহলে বেশ কিছু সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবো তাহলে মাঝে মাঝে ভেজে খাওয়া যাবে। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটা ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ আমরা অনেক বেশি পছন্দ করি এজন্য মাঝে মাঝে বানিয়ে খাই ।
তেলেভাজা মুখরোচিকর দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আলু থেকে কিভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরি করতে হয় সেটা আমাদেরকে দেখিয়েছেন যেটা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু, অনেক লোভনীয় ছিল।
আমার ফ্রেন্স ফ্রাই দেখে আপনার খেতে ইচ্ছা করছে তাহলে বাটি থেকে নিয়ে খেতে পারেন আমি কিছু মনে করব না ।
ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি আমার খুবই ফেভারিট মাঝে মাঝেই বাসায় প্রস্তুত করা হয়।
বৃষ্টির দিনে সকালে অথবা সন্ধ্যায় এই জাতীয় খাবার আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
আপনার প্রস্তুত করা দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।
সন্ধ্যার সময়ই তো এসব খাবারটা জমে উঠে আমরা তো সব সময় এ ধরনের খাবার খাই সন্ধ্যার দিকে ।
ফ্রেন্স ফ্রাই কখনোই বাড়িতে রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আজকে প্রথম আপনার কাছ থেকে এটি তৈরির রেসিপি দেখতে পেলাম এবং খুবই সুন্দর ভাবে আপনি এটি তৈরি করেছেন এবং এটিকে যেভাবে আপনি ডেকোরেশন করেছেন আমার মনে হচ্ছে এটি অনেকটা সুস্বাদু হয়েছে। চেষ্টা করব এরকমভাবে একটি রেসিপি তৈরি করার জন্য।
এটি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও কিন্তু সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।
না না না হয় নাই, একদমই হয় নাই। না খাওয়ালে কিভাবে বলি যে হইছে হি হি হি। সবই ঠিক আছে তবে ঐ যে পেপারের উপর নেয়াটা ঠিক হয় নাই, পেপার না বিছিয়ে সেখানে টিস্যু বিছালে ঠিক হতো কারন পেপারের রং খুবই ক্ষতিকর। ধন্যবাদ
এটা ঠিকই বলেছেন আমিও জানি পেপারে নেওয়া ঠিক হয়নি । অত রাতে খেতে চেয়েছে ইচ্ছা ছিল না বানানোর বাধ্য হয়ে বানাতে গিয়েছি তাই হাতের কাছে যা পেয়েছি তাই নিয়েছি । আপনাকে যেদিন খাওয়াবো সেদিন পেপার নিব না টিস্যুই নিব কথা দিলাম ।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। কিন্তু বাড়িতে তৈরি করলে সাধারণত মুচমচে হয় না আমার টা। আপনার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি টা দেখে বুঝলাম আমার একটা জায়গা ভুল ছিল। যাইহোক চমৎকার তৈরি করেছেন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।।
এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই টা একটু সিদ্ধ করে নিলে সেটা একটু মুচমুচে হয় খেতে । আবার দ্বিতীয়বার ভাজলে সেটা আরো বেশি মুচমুচে হয় ।
আপনার ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপিটা বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে যে কেউ খুব সহজে এটা তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য
এ ধরনের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানো মোটামুটি সহজ আছে তবে একটু ঝামেলা হয় আর কি ।
মজাদার ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। এত মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফ্রেন্স ফ্রাই এমন একটা খাবার যেটি দেখলেই খেতে মন চায় ।
আপু আপনি আজকে খুব চমৎকারভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করেছেন। এইতো বেশ কিছুদিন আগে আমিও বাসায় তৈরি করে খেয়েছিলাম। এভাবে তৈরি করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। এটি তৈরির প্রতিটা ধাপে খুব চমৎকার ভাবে আমাদেরকে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
আমিতো মাঝে মাঝে বাসায় এভাবে তৈরি করে খাই । কারণ এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাইটা আমাদের সবারই খুব পছন্দ ।