★রঙীন কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি অনেকদিন পরে রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস বানাতে বসেছি। রঙিন কাগজ দিয়ে লাস্ট কবে বানিয়েছি আমার মনে নেই। একসাথে অনেকগুলো বানিয়ে রাখার কারণে আজ দুই তিন মাস আমি রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো না বানিয়ে একটার পর একটা দিতে পেরেছি। আজ বহুদিন পরে যখন বানাতে বসেছি তখন মনে হচ্ছে যে সবকিছু যেন ভুলে গিয়েছি। তারপরও সব সময় আমি চেষ্টা করি একটু কঠিন কোন কিছু বানানোর। এই ফুলটা আমি অনেক আগেই দেখে রেখেছিলাম তবে তখন মনে হয়েছিল যে এটি আমি কখনোই বানাতে পারবো না, বানানো এতটাই জটিল মনে হয়েছে। আজ যখন ফোন ঘাটতে ঘাটতে ফুলটি আবারও দেখলাম তখন মনে হলো যে এটি বানানো তো সহজই কিন্তু যখন বানাতে বসেছি তখন তো একেবারে মাথাটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এটা বানানো সহজ কিন্তু ছোট ছোট অনেক বেশি কাজ করতে হয় এজন্য আমার কাছে একটু সময় সাপেক্ষ মনে হয়েছে। তারপরও মাঝখানে এসে একবার মনে হয়েছিল বানানোটা বাদ দিয়ে দেই কিন্তু আবার ভাবলাম যে এত কষ্ট করে এতদূর বানিয়েছে এবং কাগজগুলো নষ্ট করেছি। তাই শেষ পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছ এটি বানাতে আমার অনেক বেশি সময় লেগেছে এ সময়ের ভেতরে আমি সহজ কিছু তৈরি করলে একসাথে আরো অনেকগুলো বানাতে পারতাম। এখন আমি আমার রঙিন কাগজের তৈরি সুন্দর এবং কঠিন ফুলটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পেন্সিল
স্কেল
কাঁচি
এন্ট্রিকাটার
গ্লু
কার্যপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে নীল রঙের একটি রঙিন কাগজ নিয়েছি। তারপর কাগজগুলো এক সেন্টিমিটার এক সেন্টিমিটার করে পেন্সিল দিয়ে দাগ দিয়ে এন্টি কাটার দিয়ে চিকন চিকন করে কেটে নিয়েছি। তারপর একটি নিয়েছি ১/২১ সেন্টিমিটার আরো দুটি নিয়েছি ১/১৯ সেন্টিমিটার আরো দুটি নিয়েছি ১/ ১৮ সেন্টিমিটার আরো দুটি নিয়েছি ১/১৬ সেন্টিমিটার। তারপর প্রথমে বড় কাগজটা নিয়ে তারপর ছোট ছোট কাগজগুলো নিয়ে উপরে ছবির মত করে বানিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর সবগুলো ফুলের মত বানানো হয়ে গেলে নিচের সাইডে স্ট্যাপলার দিয়ে একটা পিন মেরে দিয়ে ফুল তৈরি করে নিয়েছি। তারপর ফুলের প্রত্যেকটা মাথায় হালকা করে একটু চাপ দিয়ে নিয়েছি। একইভাবে মোট আটটা বানিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তারপর আরো তিনটি কাগজ নিয়েছি ১/১১ সেন্টিমিটার ১/৯ সেন্টিমিটার, ১/৯ সেন্টিমিটার ও ১/৭ সেন্টিমিটার সাইজের তিনটি কাগজ নিয়ে একটার সাথে একটা গ্লু দিয়ে লাগিয়ে ছবির মত বানিয়ে নিয়েছি। ছবিতে যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ঠিক সেই রকম ভাবে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তারপর গ্লু দিয়ে লাগিয়ে একটা ফুলের পাপড়ির মতো বানিয়ে নিয়েছি। একই রকম ভাবে মোট ১০ টি বানিয়ে নিয়েছি। তারপর ৩০/১ সেন্টিমিটার সাইজের আরো দুটি কাগজ নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
তারপর ওই লম্বা কাগজটি পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে একটা গোল তৈরি করে নিয়েছি। তারপর ওই গোলের সাইডে গ্লু দিয়ে একটা একটা করে ফুল লাগিয়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর মাথার সাইডে গ্লু লাগিয়ে একটার সাথে একটা লাগিয়ে ফুলগুলো মিশিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
তারপর যে ফুলের পাপড়ির মতো বানিয়ে ছিলাম সেগুলো একটা একটা করে নিয়ে মাঝে যে ফাঁকা অংশ ছিল সেই ফাঁকার মাঝে বসিয়ে দিয়েছি।
ব্যাস এভাবেই আস্তে আস্তে অনেক বেশি সময় নিয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার রঙিন কাগজের তৈরি খুব সুন্দর একটি ফুল। ফুলটি তৈরি করতে আমার অনেক বেশি সময় লেগেছে ঠিকই কিন্তু ফুলটি বানানোর পড়ে দেখতে খুবই চমৎকার লেগেছে। ভালো কিছু তৈরি করতে হলে তো একটু সময় দিতেই হবে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
পুরাই জিলাপির প্যাচ😵💫মাথা ঠিক রাখেন কিভাবে!
এ কাজগুলো করা কতটা সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্য ধরে করতে হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।খুব সুন্দর হয়েছে দেখতে আপনার ক্রাফটটি।
শুভ কামনা রইলো।
ঠিকই বলেছেন আসলেই জিলাপির প্যাচ। সময় সাপেক্ষ ও ধৈর্যের অবশ্যই প্রয়োজন আছে তা না হলে তো বানাতেই পারতাম না। ধন্যবাদ।
আপু দারুণ হয়েছে।আপনার এই নকশা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এই নকশা কাঁটার সময় নিশ্চয়ই অনেক সময় লেগেছিল। আমার কাছে এই ধরনের নকশা দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব ভালো বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ফুল আমাদের মাঝে শেয়ার করার পর।
ঠিক বলেছেন আপু, এটা কাটতেই অনেক বেশি সময় লেগেছে। প্রায় তিনটা কাগজ লেগে গিয়েছে এটি কাটতে ও বানাতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সূক্ষ্ম ব্রেনে সুন্দর নকশায় আরো সুন্দর ফুল।। সত্যি দেখতে অসাধারণ দেখাচ্ছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।।
ধাপগুলো চিত্রসহ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা।
আমার কষ্ট করে বানানোটা সার্থক হয়েছে। আপনাদের কাছে ভালো লাগলেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ওয়াও আপু অসাধারণ হয়েছে আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি ফুলের ডিজাইন টি। বেশ চমৎকার লাগছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সব সময় আপনার রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে।।
এটি বানাতে আমার অনেক বেশি সময় লেগেছে এবং অনেক কষ্ট হয়েছে। এজন্য ধাপগুলো একটু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি যাতে আপনারা ভালোভাবে বুঝতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মত আমারও একই অবস্থা রঙিন কাগজ দিয়ে অনেকগুলো বানিয়ে রেখেছি বেশ কিছুদিন হলো। বানাতে বসাই হয় না। কঠিন জিনিস বানাতে গেলে মাঝেমধ্যে মাথা গুলিয়ে যায়। আজকের ফুলটি যে বেশ জটিল বানানো তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। যত ছোট ছোট কাজ এই ফুলটি তৈরির মধ্যে সময় তো লাগারই কথা। যাইহোক সময় নিয়ে বানালেও ফুলটি কিন্তু খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখতে খুব ভালো লাগছে।
জটিল মানে বেশ জটিল বানাতে যে এতটা সময় লাগবে তা বুঝতে পারেনি তাহলে আগে বানাতে যেতাম না। অর্ধেক বানানোর পরে মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
কোন কিছুর সব সময় করতে থাকলে ঠিক থাকে আপু।এভাবে অনেকগুলো পোস্ট যখন একসাথে ফটোগ্রাফি করে নেওয়া হয় আর করা হয় না একসময় করতে গেলে অনেক বেশি একঘেয়েমি লাগে।আপনি যেহেতু আগেই করেছেন দুই একটা দেখলে ঠিক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু একসাথে করতে গেলে তাড়াতাড়ি করে ফেলা যায়। অনেকদিন পরে করলে তখন আর মন বসে না বানাতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রঙীন কাগজ দিয়ে ফুল তৈরি দেখে এত বেশি ভালো লাগলো যে আপনাকে বলে বুঝাতে পারবো না। সত্যিই দেখতে ফুলটিকে অসাধারণ লাগতেছে। ইউনিক আইডিয়া ছিলো। আপনার তৈরি ফুলটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
অনেক কষ্ট করে বানিয়েছি সবার কাছে ভালো লাগলে আমারও ভালো লাগবে, এজন্য তো যত সময় লাগুক কষ্ট করে বানানোর চেষ্টা করি। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আপু, প্রথমেই আপনাকে এত সুন্দর একটি রঙিন কাগজের ফুল তৈরির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার তৈরি রঙিন কাগজের ফুলটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ফুলটি তৈরি করতে আপনাকে ঠিক কতটা ধৈর্য ধরতে হয়েছে। এজন্যই তো আপনার একবার মনে হয়েছে ফুলটি তৈরি করা বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু অবশেষে আপনি ধৈর্য ধারণ করে, ফুলটি শেষ পর্যন্ত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। আপনার ধৈর্য ও দক্ষতার প্রশংসা করছি আপু। শেষ পর্যন্ত এত নিখুঁত রঙিন কাগজের একটি ফুল তৈরি করে শেয়ার করেছেন। পরবর্তী সময়েও আরো নিত্য নতুন রঙিন কাগজের ফুল উপহার দিবেন এই প্রত্যাশা করছি।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া ধৈর্য না থাকলে এরকম কাজ করা আসলেই সম্ভব হয় না। শেষ পর্যন্ত যে ধৈর্য ধরে বানাতে পেরেছি এটাই বড় কথা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিকই বলেছেন, ভালো কিছু তৈরি করতে হলে তো একটু সময় দিতেই হয়। ফুলটি দেখে মনে হচ্ছে আপনি খুব ধৈয্য সহকারে এটি সম্পূর্ণ করেছেন। আর ধৈর্য জিনিসটা সবার কাছে থাকে না।যাই হোক আপনার বানানো ফুলটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধৈর্য সহকারে বানিয়েছি বলেই শেষ পর্যন্ত বানাতে পেরেছি তানাহলে তো বানাতেই পারতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।