সবাই মিলে মজা করে কেক খাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে বেকার থেকে কেক কেনা ও মজা করে সবাই মিলে খাওয়া । বেশ কিছুদিন আগে আমার বোন ওর ফ্যামিলি নিয়ে আমাদের এখানে এসেছিল এবং কয়েকটা দিন আমরা একসাথে সময় কাটিয়েছি । অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে সময় গুলো কেটেছে অনেক ঘোরাফেরা করতে করতে কখন যে সময়টা পার হয়ে গেল বুঝতেই পারলাম না । ভাইবোনরা সবাই মিলে একসাথে হলে সময় গুলো অনেক আনন্দঘন হয়ে ওঠে এবং খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় ।
আমার বোন যখন এর আগের বার আসবে তখন বলেছিল ওই মাসে নাকি ওদের এনিভার্সারি আছে । এজন্য আমি মনে মনে আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম ওরা যখন এনিভার্সারির সময় আমাদের বাসায় থাকবে তখন ওদের জন্য ছোট্ট একটা কেক এনে আমরা বাচ্চারা সবাই মিলে সেলিব্রেশন করব । কিন্তু আসার পরে আমার বোন বলল যে পরের মাসে ওদের এনিভার্সারি । ওরা আবার যখন পরের মাসে আসলো তখন আমরা অনেক ঘোরাঘুরি করেছি । ওইদিন সারাদিন অনেক ঘোরাফেরা করেছি এবং বাইরে খাওয়া দাওয়া করেছি । ওরাই ওদের এনিভার্সারি উপলক্ষে আমাদের বাইরে খাইয়েছে ।
আমার মাথাতেই ছিল না যে কালকে ওদের ম্যারেজ এনিভার্সারি ।
আমরা ঘুরে ফিরে আসতে আসতে প্রায় রাত দশটা বেজে গিয়েছিল এবং দশটার সময় যখন রিকশা থেকে নামলাম তখন খালাতো ভাই বলল যে ওর একটু কাজ আছে বেইলিরোডে যেতে হবে । সাথে আমাকেও নিয়ে গেল । তখন জানতে পারলাম যে আজ রাত বারোটার সময় ওদের ম্যারেজ ডে সেই উপলক্ষে ও কিছু গিফট কিনবে । সেজন্য আমরা দুজন মিলে বের হলাম এবং কিছুক্ষণ পরে আমি আমার হাজব্যান্ড কে ফোন করে ডেকে নিলাম । পরে আমরা তিনজন মিলে চলে গেলাম বেইলিরোডের উদ্দেশ্যে ।
তখন রাত দশটা সাড়ে দশটা বেজে গিয়েছে যার কারণে বেইলিরোডের বেশিরভাগ দোকান পাট বন্ধ হয়ে গিয়েছে । আমরা অনেক ঘোরাফেরা করে একটা দোকান খোলা পেলাম এমন সেখান থেকে সুন্দর একটা ব্যাগ কিনে নিলো ওর ওয়াইফের জন্য । এরপর আমরা ফেরার পথে কেক কেনার জন্য বেকার এই গেলাম । সেটা আমি আমার তরফ থেকে ওদের জন্য ছোট্ট একটা গিফট দিলাম । খালাতো ভাই তো রাজি হচ্ছিল না সে বলে যে কেক আমি কাটিনা কেক নেওয়ার কোন দরকার নাই । তারপরও আমি জোর করে কেকটা নিলাম বললাম যে বাচ্চারা আনন্দ করে সবাই কাটবে ।
রেডি কেক ছোট্ট ডেকোরেশন হচ্ছে । এখানে কেক ছাড়াও আরও অনেক মজার খাবার রয়েছে এখানে এখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে ।
বেকারের কেকটা আমার কাছে সবসময় খুব ভালো লাগে ।আমার ছেলের ফার্স্ট জন্মদিনের কেকটা আমি এখান থেকে নিয়েছিলাম এবং খুব মজা হয়েছিল কেকটা ।আগে থেকে অর্ডার দিয়ে বানিয়েছিলাম যার জন্য একেবারে ফ্রেশ ছিল এবং খেতে খুবই মজা ছিল । এবার ওদের কাছ থেকে কেকটা নিলাম কিন্তু এবারের কেকটা খেয়ে খুব একটা মজা পেলাম না । এরপর একটা কেকটা নিয়ে বাসায় চলে এলাম এবং বাচ্চারা কেক টা দেখে খুবই খুশি হল । এরপর রাত বারোটার দিকে আমরা কেকটা কাটলাম । ওরা তো কিছুতেই কাটবে না বাচ্চাদেরকে দিয়েই কাটাবে । তারপরও জোর করে ওদেরকে কেকের সামনে বসানো হল এবং কেকটা বাচ্চারাই কাটল কিন্তু সবাই মিলে সময়টা খুব সুন্দর উপভোগ করেছিলাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু বোনের এনিভার্সারির জন্য কেক কেনার খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আপনার অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। বেকারির কেক খেতে আমিও খুব পছন্দ করি। আপনারা যেই দোকানে গিয়েছেন সেই দোকানে বেশ মজাদার খাবার পাওয়া যায় বুঝতে পারছি। আসলে সবাই ছিল আবার বাচ্চারাও ছিল বলে ওয়াহিদা আপু লজ্জা পেয়েছেন। ভাইবোনেরা একসাথে হলে গল্প করতে করতেই সময় চলে যায় আর সেই সময়টা খুব দ্রুত চলে যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আমি তো ওয়াহিদার নাম বলিনি আপনি কিভাবে বুঝলেন যে এটা ওয়াহিদার ম্যারেজ এনিভার্সারির কেক? ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য .