গল্প: একটি জীবনের গল্প পর্ব:২
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । আসলে জীবনের গল্পের কোন শেষ নেই । মানুষের জীবন নিয়ে অহরহ গল্প ঘটে চলেছে এবং সেটা আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে । সেটা যদি আমরা খুব সুন্দরভাবে গল্প আকারে লিখতে যাই তাহলে সুন্দরভাবে জীবনের কিছু অংশ থেকে একটা গল্প তৈরি করে নেয়া যায় । এ ধরনের গল্প গুলো লিখতে সবসময় ভালো লাগে আর এ ধরনের গল্পের মধ্যে কোন বানানো জিনিস থাকে না একেবারে বাস্তব জীবনের কাহিনী সুন্দরভাবে চোখের সামনে তুলে ধরা যায় । আর বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে গেলে অনেক সময় এলোমেলো গল্প হয়ে যায় এবং অনেক গল্প আছে অনেক কিছুর সাথে মিলে যায় তখন সেটা আর নিজের কাছেই ভালো লাগেনা । আজকে আমি একজনের জীবন কাহিনী নিয়ে ছোট্ট একটা গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।গত পর্বে শেষ করেছিলাম মৃদুলের একটা মেয়ের সাথে সম্পর্ক হয় এবং মেয়েটা তার ফ্যামিলির সাথে খুব সুন্দর ভাবে মিলেমিশে চলতে থাকে তারপর থেকে শুরু করছি।
এভাবে করে বেশ কিছুদিন চলতে থাকে তাদের প্রেমের সম্পর্কটা দুই বছর পেরিয়ে যায় । এর ভিতরে মেয়েটার বাবা মা মেয়েটার জন্য একটা বিদেশী ছেলে দেখে বিয়ের কথাবার্তা চালায় । বিদেশি ছেলে মানে একটু টাকা-পয়সা তার বেশি থাকে এটাই স্বাভাবিক । ছেলেটা ইটালিতে থাকে এবং তার ভালই অনেক পয়সা রয়েছে । কেন জানিনা মেয়েটা হঠাৎ করে সে বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। হয়তোবা বিদেশে যেতে পারবে এবং লোকটার টাকা পয়সা আছে এইজন্য বিয়েতে রাজি হয়ে যায় । এটা শুনে মৃদুলের মাথায় হাত সে মেয়েটাকে অনেক বোঝায় কিন্তু মেয়েটা কিছুতেই সে বিয়েটা অস্বীকার করে না ।সে বলেছে তার ফ্যামিলি থেকে তাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছে তোমার সাথে আমাকে কখনোই তারা মেনে নেবে না । তার বোনও এখানে বিয়ে দিতে রাজি হয়। কারণ তার স্বামীও বিদেশ থাকে ।
তারা তখন বিদেশী পয়সাওয়ালা ছেলে পেয়ে মৃদুল কে তখন অস্বীকার করে । কোনভাবেই মেয়েটাকে ফেরানো যায় না ।মেয়েটা তখন ওই বিদেশি ছেলে দেখে বিয়ের করে বসে । কিছুদিন পরেই স্বামীর সাথে ইটালিতে চলে যায় । এরপর থেকে মিদুলের জীবনটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যায় । মৃদুলের মাও কেমন যেন ভেঙে পড়ে। কারণ এমনিতেই মৃদুলরা তিন ভাই পন করে বসেছিল যে তারা বিয়েই করবে না ।এর মধ্যে মৃদুল প্রেমে পড়ে যাওয়ার কারণে বিয়ে করতে রাজি হয় । কিন্তু এখন কি হবে । এরপর থেকে মৃদুলও অন্যরকম হয়ে যায় সে তো আর বিয়ে করবে না বলে একেবারে মনস্থির করে বসে । মেয়েদের উপর থেকে তার মনটাও ভেঙ্গে যায় ।
এর ভিতর বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে হঠাৎ করে মেয়েটা একদিন মৃদুলকে ফোন করে এবং ফোনে জানা গেল যে মেয়েটা তার স্বামীর সাথে মোটেও সুখে নাই । এখান থেকে যাওয়ার পর সে বুঝতে পারে সে মৃদুলের সাথে কাজটা ঠিক করে নাই । এ কথা শোনার পর মৃদুল কষ্ট পাই ঠিকই কিন্তু মেয়েটার সাথে সে আর কোন যোগাযোগ করে না । মেয়েটা আরো অনেকবার চেষ্টা করেছিল মৃদুলের সাথে যোগাযোগ করার কিন্তু মৃদুল তার সাথে আর যোগাযোগ করেনাই ।
এভাবে ধীরে ধীরে বেশ কিছুদিন চলতে থাকে হঠাৎ করে একদিন মৃদুলের বড় ভাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। সে অবস্থাতে মৃদুলের ফ্যামিলি আরও বেশি ভেঙ্গে পড়ে । কারণ এত বড় ভাইটা হঠাৎ করে মারা গেল তারপরে তিনটা ভাইয়ের একটা ভাইও বিয়ে করল না । এ দিকে মা তখন আরো বেশি অসুস্থ হয়ে যায় এবং দিনকে দিন মৃদুলের বোনটাও কেমন যেন অসুস্থ হয়ে যেতে থাকে । তখন মৃদুল মনে মনে ঠিক করল সে একটা বিয়ে করবে ।
চলবে.........
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আমি তো ভেবেছিলাম মৃদুলের সাথে যে মেয়েটার সম্পর্ক হয়েছিল, তার সাথে মৃদুলের হয়তো বিয়ে হবে। কিন্তু ওই মেয়েটার ফ্যামিলি বিদেশি একটা ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক করার পর, সেই মেয়েটা নিজের থেকেই রাজি হয়ে গিয়েছিল বিয়েতে। যার কারণে মৃদুলের ফ্যামিলি এবং মৃদুল অনেক বেশি ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম মেয়েটা সেখানে গিয়ে সুখী নয়। মৃদুল আর কোনরকম তার সাথে কন্টাক্ট না করে ভালোই করেছে। তবে মৃদুলের বড় ভাই মারা গিয়েছিল শুনে অনেক খারাপ লাগলো। দেখলাম তার বোন ও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে দিনে দিনে। এখন দেখা যাক মৃদুল বিয়ে করে কিনা।
বিয়ে অবশ্যই হতো তবে মেয়েটা যদি প্রতারণা না করতো । মেয়েটা তো ওর সাথে প্রতারণা করে চলেই গেল বিয়ে হবে কিভাবে ।
জীবনের গল্প গুলো পরলে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ছেলেটার সাথে প্রতারণা করে বিদেশী ছেলেকে বিয়ে করে মেয়েটা সুখে নেই এটাই স্বাভাবিক। একজন কে কষ্ট দিয়ে কি করে ভালো থাকা যায়। ছেলেটার পরিবারের এখন খারাপ অবস্থা। দেখা যাক পরের পর্বে ছেলেটা কাকে বিয়ে করে। ভালো ছিলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
এই গল্পের প্রথম পর্বও আমি পড়েছিলাম। আজকে এর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো৷ আমি ভেবেছিলাম যে মৃদুলের সাথে সেই মেয়েটির বিয়ে হবে৷ তবে তাদের বিয়ে হলো না শুনে খুব খারাপ লাগলো৷ তারপর মেয়েটির পরিবার যখন বিদেশি ছেলের সাথে তার বিয়ে ঠিক করল সেই মেয়েটি রাজি হয়ে গেল৷ এর ফলে মৃদুল ও তার ফ্যামিলি অনেকটাই ভেঙে পড়ে গেল৷ এই বিষয়টি তারা কোনভাবে মেনে নিতে পারেনি এবং পরে দেখা গেল যে মৃদুলের ভাই মারা গিয়েছে এবং তাদের পরিবারের মধ্যেও ঝড় নেমে এসেছে৷ এবার দেখা যাক পরবর্তী পর্বগুলোতে মৃদুলের সাথে কি কি ঘটনা ঘটে৷ পরবর্তী পর্বের আশায় রইলাম৷
আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে আপনি সুন্দর করে পড়ে একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুশি হলাম । পরবর্তী পর্ব অবশ্যই তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন ।
একটি জীবনের গল্পটার প্রথম পর্ব পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। তবে দ্বিতীয় পর্বে যে এরকম কিছু হবে এটা ভাবতেই পারিনি। মেয়েটা কিন্তু মৃদুলের সাথে ছলনা করেছে। মেয়েটা চাইলেই পারতো মৃদুল কে নিয়ে নিজের ফ্যামিলিতে ভালোভাবে কথা বলতে। মেয়েটি কিন্তু এরকম কিছুই করেনি। অন্যদিকে মেয়েটাকে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের পরেই তো সে বুঝতে পেরেছে। শেষ পর্যায়ে আবার তার বড় ভাই মারা গিয়েছিল এটা শুনে তো খারাপ লাগলো। এখন সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন এটাই দেখার বিষয় যে সে আসলেই বিয়ে করবে কিনা।
মেয়েটা চাইলেই পারতো বাধা দিতে কিন্তু তাতো সে করল না মৃদুলকে ছেড়ে চলেই গেল ।
এই ধরনের ব্যাপারগুলো আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে, যে টাকাওয়ালা বিদেশি ছেলে দেখলে নিজের ভালোবাসাকে অস্বীকার করে। তাহলে ভালোবাসার কি মূল্য থাকলো! যদি সবকিছুই টাকা পয়সা হয়। যদিও মেয়েটা পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছে যে, মৃদুল কে ছেড়ে দিয়ে সে খুব বেশি একটা সুখে নেই। তবে আমি মনে করি মৃদুল ঠিকই করেছে, তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। মেয়েটার সাথে এরকমই হওয়া উচিত। কারণ সে নিজেও ছেলেটার কথা ভাবেনি , যে তার কি অবস্থা হবে। তার মধ্যে আবার মৃদুলের বড় ভাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেল। যাই হোক, দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। গল্পটা বেশ ইন্টারেস্টিং লাগলো আপু।
এরকম মেয়েদের সাথে যোগাযোগ না রাখাই ভালো তারা পয়সার জন্য একজনকে ছেড়ে আরেকজনের কাছে যে কোনোভাবেই যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
এমন মেয়েদের জন্য অনেক পরিবার শেষ হয়ে যায়। এইসব মেয়েদের সাথে যোগাযোগ না রাখাই ভালো, এটা ঠিক বলেছেন আপু।
এই ধরনের লোভী মেয়েদের কপালে এমনিতেও সুখ থাকে না। আসলে কাউকে কষ্ট দিয়ে কখনো ভালো থাকা যায় না। এতদিন প্রেম করে মৃদুলের বাসায় আসা যাওয়া করার পরেও,মেয়েটা কিভাবে পারলো এভাবে ধোঁকা দিতে। মৃদুল সেই মেয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে খুব ভালো কাজ করেছে। তবে মৃদুলদের পরিবার এখন একেবারে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে তাদের বড় ভাই মারা গেল। মৃদুলের অবশ্যই এখন বিয়ে করা উচিত। যাইহোক এতো চমৎকার একটি গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
মেয়েটা যে এরকম একটা কাজ করতে পারে সেটা আমার মাথাতেও আসেনি তারপরও তো করেই বসলো ।