আমার বাচ্চার জন্মদিন উদযাপন,১০%প্রিয় সাইফক্স
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় কমিউনিটির সবাই আশা করি ভাল আছেন সুস্থ আছেন ।আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ ভালো আছি। আজ আমি এসেছি আমার ছোট্ট সোনাটার বার্থডে সেলিব্রেশন আপনাদের সাথে একটু ভাগ করে নিতে। যদিও আমরা খুব বড় করে অনুষ্ঠানটি পালন করি না নিজেরা নিজেরাই পালন করার চেষ্টা করি, তারপরও বাচ্চার জন্মদিন বলে কথা ।গত ১০ তারিখ ছিল আমার বাচ্চার জন্মদিন ।পুরো মাস জুড়ে সে খুব আনন্দে ছিল কবে তার জন্মদিনের দিনটি আসবে আর সে কেক কাটবে। যদিও সারা বছর সে কেক কাটে কারও জন্মদিনে হোক না কেন সেই কাটবে। সে ছাড়া অন্য কারো কাটার উপায় নেই। নিজের জন্মদিন তাই সে আরও বেশি আনন্দিত ।আগের দিন থেকে তার আনন্দের মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গিয়েছে। কারণ আগের দিন রাত্রে একটু সাজানো-গোছানো হয়েছে সেটা দেখে সে খুব খুশি। একটা বেলুন ফুলানো হচ্ছে আর সে ভয়ে চিৎকার করছে কাল কারণ সে বেলুন ফুটার শব্দে একটু ভয় পায়, কিন্তু তারপরও তার বেলুন চাই ভয় পেলে কি হবে বেলুন বাদ দেওয়া যাবে না।
আমরা সবাই মিলে বেলুনগুলো ফুলিয়েছি ও ঘরের একটু সাজানো-গোছানো চলছে উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন। বেবি সার্ক তার অনেক বেশি পছন্দ তাই তার এবারের জন্মদিনে বেবি সার্ক দিয়ে সাজানো হয়েছে ।আর এই কাজটি সম্পন্ন করেছে আমাদের পাশের বাসার ফ্যামিলি ।কারণ সে সব সময় তাদের সাথেই থাকে। বেবি সার্ক দিয়ে সাজানো হয়েছে দেখে সে তো মহা খুশি। ঐদিন রাত্রের মত সবকিছু গুছিয়ে আমরা পরের দিনের অপেক্ষায় রইলাম।
জন্মদিনের খাবার দাবার সব বাইরে থেকে আনা হয়েছে। বিকেলের নাস্তাটাও বাইরে থেকে আনা হয়েছে। আমি শুধু বাসায় পায়েশটুকু করেছি। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমার তো কোনো কাজই নেই শুধু ফিটবাবু হয়ে ঘুরে বেড়ানো ।তারপরে আবার পাশের বাসার ভাবি চটপটি বানিয়ে পাঠিয়েছে ।
তারপর বিকেলের প্রথম গেস্ট হিসেবে আসে আমার বোন আপনাদের পরিচিত তানিয়া। ওরা আসার পর অনুষ্ঠানটা আরো জমে গেল ওর ছোট ছোট দুটি বাচ্চা ওদেরকে দেখে আমার বাচ্চাটি তো মহা খুশি ।সারা বাড়ি ভরে দৌড়াদৌড়ি চলছিল অনেকদিন পরে ওদের মজা দেখে খুবই ভালো লাগছিল।
তারপর শুরু হলো আমার আর আমার বোনের ছবি তোলা। কে কার আগে ছবি তুলতে পারে কারণ এখানে পোস্ট যে দিতে হবে ।অন্য গেস্ট আসার আগেই আমরা কজন বিকালের নাস্তা সেরে ফেললাম। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে গেষ্টরা একে একে আসা শুরু করলো । এর মধ্যে বাবুর্চি খাবার নিয়ে চলে এসেছে। সেটা দেখে আমরা দুজনে দৌড়ে গেলাম ছবি তুলতে তখন বাবুর্চি বলল মাংসগুলো নিচেই রয়েছে পরে ছবি তুলুন। তারপরও আমরা একটা তুলে রাখলাম তারপর আবার একটু পরে বাবুর্চি আমাদেরকে ডাক দিয়ে মেইন খাবারের ছবিটা তুলতে।
তারপর মেহমানরা যখন সবাই চলে আসলো তখন টেকটা কেটে নেওয়ার সময় হল। এর ভিতর আমরা রেডি করে নিয়েছি তখন আমরা সবাই কেক কাটার জন্য প্রস্তুতি নিলাম। বাচ্চা তো মহাখুশি কেক কাটবে বেবি সার্কের গান বাজানো হলো সবাই মিলে রেডি হয়ে গেলাম কেক কাটার জন্য।
এরইমধ্যে অন্যান্য মেহমানদের নাস্তা দেওয়া হয়ে গেল এবং সবাইকে নাস্তা খাওয়ানোর পালা শেষ হল। তারপর আরও কিছু সময় আড্ডা দিয়ে বাচ্চাদের দৌড়াদৌড়ি শেষ হলে তখন সবাই থাকতে থাকতে আমরা বাচ্চার গিফট গুলো খুলে ফেললাম।
তারপর রাতের খাবারের সময় চলে আসলো সবাই মিলে রাতের খাবার শেষ করা হলো।
তারপর সবাই মিলে আরও কিছু সময় আড্ডা দেওয়ার পরে একে একে সবাই বিদায়ের সময় চলে এলো। সবাই মিলে আড্ডা দেওয়ার পর যখন বিদায়ের সময় আসে তখন আর ভালো লাগে না। যে যার মত চলে গেল আমারা রাত তিনটা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত যারা যারা কাছের লোক ছিলাম তারা সবাই মিলে আড্ডা দিলাম। তারপর যে যার মত ঘুমোতে চলে গেলাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বলে মা সবাই কোথায় গেলো অনুষ্ঠান কেন শেষ হয়ে গেল সবাই চলে গেছে কেন ।তার খুব মন খারাপ। তারপর বোঝানোর পরে সে বুঝতে পারল।
এটাই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে । আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আবার কোনদিন হাজির হয়ে যাব নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন নিরাপদে থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
আপনার বাচ্চার জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও দোয়া রইলো। খুব সুন্দর ভাবে বাবুর জন্মদিন পালন করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। রুম টাকে খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন। খাবার গুলো খুব সুস্বাদু মনে হলো। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন অনেক ভালো লাগলো।
প্রথমে আপনার ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা । তার ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল হোক এই কামনা করছি। আসলেই ছোট বাচ্চাদের জন্মদিন খুশির দিন তাদের আনন্দের দিন এদিন খুব আনন্দ করে কারন তাদের জন্য অনেকেই গিফট আনে আর গিফট পেলে ছোট বাচ্চারা খুব খুশি হয়। অন্যদিকে কেক কাটলে তো কোনো কথাই নেই ।যাইহোক সুন্দর একটি দিন কাটিয়েছেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার বাচ্চার জন্য অনেক শুভকামনা জানিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
প্রথমেই বাবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জন্মদিনে সে নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছে। ছোট বাচ্চারা জন্মদিন পালন করতে অনেক খুশি হয়। কেক কাটার মাঝে তারা অনেক আনন্দ পায়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার বাবুর জন্মদিন পালন করেছেন এবং আপনাদের সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন ভাবে প্রতিটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
খুশি হবে না আবার সে আবার বলতে। ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন যা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
বাবুর জন্য শুভকামনা রইল আপু। বাবু কিন্তু অনেক কিউট। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। কিন্তু আপু দাওয়াতটা দিলেননা।😐
যাইহোক আয়োজন অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। শুভকামনা রইল ☺️
আহারে আপু দাওয়াত দিতে ভুলে গিয়েছিলাম ।থাক আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে পরেরবার অবশ্যই দাওয়াত দিবো ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু ।আপনার পোস্টটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল আমিও যেন আপনাদের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ছিলাম। বেশ ভালো লাগলো পুরো সময় টার অনুভূতিগুলো পড়ে ।খাবারগুলো খুবই লোভনীয় ছিল। দেখেইতো খেতে মন চাইছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর অনুভূতি গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আর ফানা কে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
আপু খাবারগুলো যেমন লোভনীয় ছিল খেতেও কিন্তু অনেক মজার ছিল আপনিতো মিস করলেন ধন্যবাদ।
প্রথমেই জানাই বাবুকে লেট হ্যাপি বার্থডে। শুভেচ্ছা রইল। বাবু অনেক মজা পেয়েছে,মনে হচ্ছে। এভাবেই অনেক অনেক মজা করুক এমন পত্যাশা করি।খাবারগুলো ছবি ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে আনন্দগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর টি মন্তব্য করেছেন।
আপনার বাচ্চার জন্য মন থেকে দোয়া করি আর তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই। শুভ জন্মদিন বাবু 🥰🥰🥰 আর বিশেষ করে যখন জন্মদিনে নিজের প্রিয় মানুষগুলো আসে তখন খুবই ভালো সময় কাটে ।আর আপনার আজকের পোস্টটি আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনি খুব সুন্দর সময় কাটালেন বাচ্চার জন্মদিন উপলক্ষে অনেক অনেক দোয়া রইল তার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
প্রথমেই জানাই বাবুর শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা, বাবুর প্রতি অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো, আপনারা মা-বাবা হিসাবে অনেক সুন্দর করে বাবুর জন্মদিন পালন করেছেন, আমি চাই প্রতিটি বছর আপনারা এমন সুন্দর করে বাবুর জন্মদিন পালন করেন, রুমটি অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছেন আপু, জন্মদিনের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর ছিলো, আপনাদের সবার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে আমার পোস্টটি পরে সুন্দর একটি মতামত দেওয়ার জন্য।
আপু আপনার শেষ কথাটি দিয়ে একটি চরম সত্য তুলে ধরেছেন। অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেলে সবাই চলে যায়। এটাই দুনিয়ার নিয়ম। যাই হোক অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। খাবারের আইটেম গুলোও অনেক ভাল ছিল। দেখেই লোভ লেগে গেলো। মাঝে মাঝে বাড়িতে এ ধরনের পার্টির আয়োজন না করলে জীবনটা আসলে বেশ একঘেয়ে হয়ে পড়ে। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।