★অকৃতজ্ঞ ছেলে ★ ১মপর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশেপাশে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা । আসলে আমাদের আশেপাশে প্রতিনিয়ত অনেক ঘটনা ঘটে থেকে যেগুলো আমরা সবসময় দেখে থাকি । এসব ঘটনা দেখলে খুবই খারাপ লাগে কোন কিছু করার থাকে না । আজকের দিনের ছেলেমেয়েদেরকে দিয়ে কোন কিছুই আশা করা যায় না । তারা কখন যে কার সাথে কি ব্যবহার করে বসে সেটা আগে থেকেই ভাবার কোন উপায় থাকে না । আর ভাবলেই বা কি মা বাবা যদি জানে যে সন্তান বড় হয়ে তার সাথে বাজে আচরণ করবে তাহলে কি বাবা-মা তাকে ফেলে দেয় । তারপরও তো বাবা মা তার দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকই পালন করে পরম যত্নে আগলে রাখে । এরকম দেখেও মানুষ ভাবে যে আমার সন্তান কখনোই আমার সাথে বাজে কোন আচরণ কিংবা বাজে বাজে কোন কিছু করবে না । কিন্তু তারপরেও তো অপ্রত্যাশিতভাবে সন্তান বাবা-মার সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে । এমন অনেক সন্তান রয়েছে যে বাবা-মা বৃদ্ধ হলে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে তখন বাবা-মা চোখের জল ফেলতে ফেলতে সন্তান যেটা করে সেটাই মেনে নেয় ।
এরকম একটা ঘটনা কয়েকদিন আগে আমাদের চোখের সামনে ঘটে গিয়েছে । একটি মা তার সন্তানকে অনেক ভালোবেসে আদর যত্ন দিয়ে বড় করছিল । তার কয়েকটা ছেলে সন্তান ছিল তারপরও সে তার ছোট ছেলের সাথে ছিল ।মা তার সবগুলো সন্তানকেই সমানভাবে ভালোবাসে কিন্তু তারপরও তো ছোট সন্তান হলে তার আদরটা মনে হয় একটু বেশিই হয় । ছেলেটা যখন ছোট ছিল তখন সে তার সন্তানকে এতটাই আদর যত্নে বড় করছে যা বলার অপেক্ষা রাখে না । এটা সব বাবা মাই করে থাকে । কোথাও নিয়ে গেলে মা শুধু আমার সন্তান আমার সন্তান করতে থাকত । কিছু কিছু বাবা-মা আছে এই জিনিসটা একটু বেশি বেশি করে থাকে । দেখতে দেখতে ছেলেটা অনেক বড় হয় । ছেলে আর ছেলের মা ই ছিল কারণ তার বাবা তার আরও একটা সংসার ছিল যার কারণে সে দুই জায়গায় ভাগাভাগি করে থাকতো । বেশিরভাগ সময় সে তার ওই ফ্যামিলির সাথে থাকতো কারণ সেটা ছিল তার আগের ফ্যামিলি , আর এটা ছিল তার দ্বিতীয় ফ্যামিলি । এই কারণে ছেলে আর মা দুজনে একাই থাকতো ।
তারপর কিছুদিন পরে হঠাৎ করে এই ছেলেটার বাবা মারা যায় । ছেলেটার বাবা মারা যাওয়ার কারণে তখন মা আর ছেলে আরও বেশি একা হয়ে পড়ে । কারণ ওই মহিলার অন্য ছেলেরা দূরে দূরে থাকতো অন্য বাসাতে তারা ছিল অন্য ঘরের এইনছেলে ছিল একা । ঢাকা শহরে মহিলার আরো কয়েকটা ফ্লাট রয়েছে । এই ফ্ল্যাটে মা তার ছোট ছেলেকে নিয়েই থাকতো । দেখতে দেখতে ছেলেটারও বিয়ের বয়স হয়ে যায় । ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে ঘরে বউ আনে । বউ আসতে না আসতে ঘরের চেহারাটা যেন পাল্টে যায় । কারণ মহিলাটা আগে থেকেই একটু দজ্জাল টাইপের ছিল সবার সাথে একটু ঝাঁজালো গলায় কথা বলতে এবং ওই মহিলাটাকে সবাই একটু এড়িয়েই চলত । তার ওই ঝাঁঝালো কন্ঠের কারণে ঝাঁজালো বললে ভুল হবে ঝগড়াটে মনোভাব ছিল সুযোগ পেলেই সে অন্যের উপর ঝগড়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তো ।
বাড়িতে ছেলের বউ আসার কারণে সে এরকম আচরণ করলে ছেলের বউ কিছুতেই তার এই আচরণগুলো মেনে নিতে পারছিল না । আর ওদিকে ছেলে তার বউকে সাপোর্ট করতো সব সময় । তারপর একদিন ছেলেটা মায়ের কাছ থেকে তার বাসাটা ছেলের নামে লিখে নেয় । মা তার ছেলেকে ভালোবেসে তাকে লিখে দেয় । কিন্তু বাসাটা লিখে দেওয়ার পরেই বিপত্তিটা ঘটে ।
চলবে......
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু এমন ঘটনা গুলো আসলে খুবই কষ্ট দেয়৷ এখানে দোষ ঐ ছেলেটারই।।সে মা এবং বউকে কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয় জানেনা। আর মহিলারও ও কিছু দোষ আছে,বৌয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করা মোটেই উচিৎ নয়।বরং তার উচিৎ ছিল ভুল হলে শিখিয়ে দেওয়া। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আজকালকার ছেলেরা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় যে বইয়ের পক্ষ নিয়ে মায়ের সাথে বাজে ব্যবহার করে , এটা আসলেই দুঃখজনক ।
আপু, আপনার পোস্ট পড়ে কি বলব যেন ভাষাই খুঁজে পাচ্ছি না। আজকাল যেন ঘরে ঘরে এরকম পরিস্থিতি গুলো লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মায়েরা যেন ছেলেদের বিয়ে করিয়েই অশান্তি ঘরে ডেকে আনে। তবে হ্যাঁ ওই মহিলা যেহেতু ঝাঁঝালো ও ঝগড়াটে টাইপের তাহলে তো বউ ছেলের সাথে মনোমালিন্য হবেই। যাইহোক মা তার ছেলেকে ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার পর কি বিপত্তি ঘটলো তা জানার অধীর আগ্রহে রইলাম।
আজকালকার সমাজে মনে হয় কেউ কাউকেই মেনে নিতে পারে না একা থাকতেই বেশি পছন্দ করে , এই জন্য এই অশান্তিটা বাধে ।
কিছু কিছু মহিলাদের স্বভাবই থাকে এমন গায়ে পড়ে ঝগড়া করা। তাছাড়া সবার উপর কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা করে। কিন্তু দিনশেষে এগুলো হিতে বিপরীত হয়ে যায়। ছেলেকে যতই ভালোবেসে বড় করুক না কেন বউ পেয়ে ছেলে মাকে গুরুত্ব কম দেয়া শুরু করে। জানিনা ওই মহিলার ভাগ্যে কি আছে ছেলে তো ফ্ল্যাট লিখে নিল নিজের নামে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আজকালকার মহিলারা নিজের কর্তৃত্ব বউয়ের হাতে ছাড়তে চায় না এজন্যই তো সমস্যাটা বেঁধে যায় ।
আসলে এরকম ঘটনা গুলো এখনও করা হোক ঘটে যাচ্ছে। কিছু কিছু মহিলা আছে যেগুলো অনেক বেশি ঝগড়াটে টাইপের। তারা অন্যের গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে একটু বেশি পছন্দ করে। এই মহিলাটার কিন্তু উচিত হয়নি ছেলের বউয়ের সাথে এরকম আচরণ করা। এখন তো দেখছি ছেলে তার নামে বাসাটা লিখে নিয়েছে। পরবর্তীতে কি হয় তা জানার অপেক্ষায় থাকলাম। কি বিপত্তিটা ঘটেছে তা আশা করছি পরবর্তী পর্বে জানতে পারবো।
দুজনেরই দোষ আছে কেউ কাউকেই মেনে নিতে পারে নাই পরে মহিলারই ভোগান্তি হল ।
ছেলেমেয়েরা বড় বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে যায় বিশেষ করে ছেলেরা কিন্তু তারপরেও বাবা-মা আবার যত্নে তাদের বড় করে এবং সঠিকভাবে তাদেরকে লালন পালন করে। সন্তানদেরকে তো ফেলে দেওয়া যায় না। কিন্তু ছেলেরা ? মহিলাটি ঝগড়াটে ছিল তাই হয়তো বউয়ের পক্ষ একটু বেশি নিতো কিন্তু সেই তো তার মা। পরবর্তী পর্ব পাওয়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
আসলে প্রতিটা বাবা মাই সন্তানকে অনেক ভালোবাসে। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি । সন্তানকে ভালবেসে সম্পত্তি লিখে দিলে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই বিপত্তি ঘটে । এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে তেমনই কিছু ঘটবে । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
সন্তান পরবর্তীতে কি করবে না করবে সেটা তো আর ভেবে মা-বাবা সন্তানকে বড় করে না । তারপরও কে কখন কার সাথে কি রকম করে এটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না ।
আসলে এরকম স্বভাব চরিত্রগুলো আমার একেবারেই পছন্দ না। যারা এই ধরনের ব্যবহার গুলো করে তাদেরকে দেখলেই আমার ঘৃণা লাগে। আসলে প্রত্যেকটা বাবা-মা তাদের সন্তানদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসি এবং আদর যত্ন করে বড় করে, কিন্তু তারা সবশেষে তাদেরকে ঠকায়। তবে এখানে কিন্তু তার মায়ের কিছু দোষ রয়েছে। তার মায়ের এরকম স্বভাব চরিত্র পাল্টালে ভালোই হতো। আজকে তো প্রথম পর্ব পড়লাম। দ্বিতীয় পর্বে কি হয় তা জানার অপেক্ষায় আছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য ।
মায়েরা তার সন্তানকে ভালোবাসবো এটাই স্বাভাবিক। ছেলেকে এত আদর যত্ন করে বড় করে বিয়ে করানোর পর তার বউয়ের সাথে আসলে এরকম করা তার উচিত হয়নি। নিশ্চয় ছেলের বউয়ের সাথে ভাব ভালো ব্যবহার করলে ভালো কিছুই হত। যাই হোক মা তার ছেলেকে ফ্ল্যাট লিখে দেওয়ার পরে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
দুজনেরই ভালো ব্যবহার করা লাগে । একতরফা কোন কিছুই সম্ভব না ।