আমার ছেলের ভাইয়ার জন্মদিনের আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব জন্মদিনের পার্টিতে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত । আমাদের পাশের বাসায় কারো জন্মদিন হওয়া মানে তো আমার ছেলের জন্য এক মহা খুশির ব্যাপার । কারণ ওদের বাসায় ওরা ৫-৭ জন সদস্য ওদের কারো জন্মদিন হোক না কেন জন্মদিনের কেকটা ওকেই কাটতে হবে । কেক বানানোর মুহূর্ত থেকে তার খুশির যেন আর শেষ হয় না । সে জন্মদিনের বেশ কিছুদিন আগে থেকে দিন গুনতে থাকে কবে জন্মদিন আসবে এবং কেকটা কে কাটবে এবং কিভাবে কোথায় কি ডেকোরেশন করতে হবে সব চিন্তা যেন তার ।
আসলে ওই বাসায় কোন অনুষ্ঠান হলে আমাদের সময়টা খুব সুন্দর কাটে । ওদের বাসায় কোন অনুষ্ঠান হলেই অন্য কোন লোকজন আসুক আর না আসুক আমরা তো থাকবোই । আর ওদের বাসায় অনুষ্ঠান মানে সারারাত ধরে আড্ডা ও গান বাজনা চলবে । খাওয়া-দাওয়া করে তারপরে গিফট দেখা ।আমরা সবকিছু মিলে আমাদের মোটামুটি ভালই কাটে । বেশ কিছুদিন হলো তারা বাসায় নেই বাচ্চারা রয়েছে কিন্তু ভাইয়া আর ভাবি আমেরিকাতে গিয়েছে যার কারণে কেমন যেন খালি খালি লাগছিল । আবার সামনে ওদের আরো একটা অনুষ্ঠান চলে আসছে তার আগেই আমি পুরনো অনুষ্ঠানের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেললাম ।
ছেলেটা গান-বাজনা করতে অনেক পছন্দ করে বিশেষ করে গিটার বাজিয়ে খুব সুন্দর গান করে । আমরা প্রায় সময় সুযোগ পেলে ওর গানগুলো শুনি । এজন্যই এবারকার কেক ডেকোরেশন করা হয়েছিল গিটারের ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে । এখানে কেকটা অনলাইনে অর্ডার করা হয়েছিল এবং বাসায় আনার পরে সুন্দরভাবে ওর বোন কেকটাকে ডেকোরেশন করেছে । যেটা দেখতে সত্যি খুব ভালো লেগেছিল।
তারপর জন্মদিনের দিন বিকেল বেলা আমরা রেডি হয়ে ওদের বাসাতে চলে গিয়েছিলাম । বিকালে বিশাল নাস্তার আয়োজন করা হয়েছিল সেগুলোর ছবি বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলেছিলাম । এখানে শুধু জন্মদিনের কেক ও অন্য খাবারের ছবিগুলোই রয়ে গিয়েছে । নাস্তা খাওয়া দাওয়া হওয়ার পরে আমরা বসে আড্ডা দিযে কেকটা কেটে ফেলা হয়েছে । কেক খাওয়া দাওয়া করে আরও কিছু সময় পরে আমরা রাত দেড়টা দুইটার দিকে রাতের খাবার শেষ করেছি । এরপর ওরা বন্ধুবান্ধব সবাই মিলে গান বাজনা করেছে সেটা করতে করতে অনেক সময় পর হয়ে যায় সেগুলো দেখে ফিরতে ফিরতে আমাদের প্রায় অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল । কোথা দিয়ে যে রাত পার হয়েছে সেটা বোঝাই যায় না খুব ভালো কাটে সময়টা আমাদের । বিশেষ করে আমার ছেলেটা অনেক খুশি হয় কারণ ঢাকা শহরে এরকম একটা ফ্যামিলি পাওয়া আসলেই বিরাট ব্যাপার । বিপদে আপদে আমরা দুই ফ্যামিলি একে অপরের খুব কাছে থাকি সত্যি এটা আমাদের জন্য বিরাট এক পাওয়া ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
নজরকাড়া কেক টি আপু।জন্মদিনের সব কিছু খুব সুন্দর ছিলো কিন্তুু গিটারের ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে কেকটি বানানিয়েছে বেশ আকর্ষণীয় লগছে।যেহেতু গানও গিটার পছন্দ তাই কেকটির ডেকোরেশন একদমই ঠিক হয়েছে। আসলে ঢাকা শহরে এরকম একটা কাছের মানুষ থাকলে অনেকটা সাহস বেড়ে যায়। জেনে ভালো লাগলো যে আপনারা দু পরিবার দুপরিবারের আপদ,বিপদ পাশে থাকেন। ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
কেকটা আসলেই আপু দেখার মত ছিল এবং খেতে অনেক মজা ছিল । ঠিকই বলেছেন এরকম একটা ফ্যামিলি পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার ।
আসলে ছোট বাচ্চারা এরকমটাই হয়। জন্মদিন যারই হোক না কেন, তারা অনেক বেশি উৎসাহিত হয়ে থাকে এই বিষয় নিয়ে। ঠিক তেমনি আপনার ছেলেও। তবে কেকটার ডেকোরেশন আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। এরকমভাবে কেকের ডেকোরেশন করলে কিন্তু খুব সুন্দরই হয়। অন্য সব খাবারগুলো ও অনেক বেশি মজাদার ছিল বুঝতেই পারতেছি। সব মিলিয়ে অনেক রাত পর্যন্ত ভালো সময় কাটিয়েছিলেন আপনারা। এরকম একটা ফ্যামিলি পেয়েছেন ঢাকা শহরে এটা জেনে ভালো লাগলো। এরকম ফ্যামিলি আসলেই পাওয়া যায় না। আপনাদের ওই প্রতিবেশীদের সাথে যেন আপনাদের সম্পর্কটা সবসময় এরকম ভালো থাকে এটাই কামনা করি।
ঢাকা শহরে কেউ কারো চেহারাই দেখে না আর এরকম একটা ফ্যামিলি পাওয়া সত্যি অনেক বড় একটা ব্যাপার । ওনারা থাকাতে আমার অনেক ধরনের সুবিধাই হয় বিশেষ করে আমার ছেলেটার জন্য ।
বুঝতেই পারতেছি আপু আপনার ছেলে অনেক বেশি উৎসাহিত ছিল তার ভাইয়ার জন্মদিন নিয়ে। সব রকম অনুষ্ঠানেই আপনারা ওনাদের বাসায় গিয়ে থাকেন এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। উনাদের সাথে আপনাদের খুব ভালো একটা সম্পর্ক হয়েছে যা বুঝতেই পারতেছি। যেহেতু তিনি গান বাজনা করতে পছন্দ করে, তাই ডেকোরেশনটা ঐরকম ভাবেই করা হয়েছে এটা দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে খুব ভালো সময় অতিবাহিত করেছিলেন নিশ্চয়ই সেখানে। দুটি পরিবার একে অপরের বিপদে-আপদে পাশে থাকেন এটা জেনেও ভালো লেগেছে। সব সময় যেন এরকম ভাবে আপনাদের সম্পর্কটা থাকে এরকমটা দোয়া করি সব সময়।
ছেলেটা গান-বাজনা করে এবং গিটার বাজিয়ে সব সময় সে গান করে যার কারণে এরকম একটি কেক ডেকোরেশন করা হয়েছিল ওর পছন্দ মত ।
বিপদে পাশে থাকার মতো এরকম একটা ফ্যামিলি পেয়েছেন পাশে, এটা বেশ বড় ব্যাপার আপু। যাইহোক, সেদিন জন্মদিনে সবাই অনেক মজা করেছেন বিষয়টা জেনে বেশ ভালো লাগলো। গিটারের ইন্সট্রুমেন্ট দিয়ে ডেকোরেশন করা কেকটি দেখতে বেশ দারুন লাগছে। বার্থ ডে বয় এর কাছে মাঝে মাঝে আপনারা গান শোনার সুযোগ পান, ব্যাপারটা বেশ ভালো ।
আসলেই বড় ব্যাপার বিশেষ করে আমার ছেলেটা ওদের ছাড়া কিছুই বোঝে না । বিপদে-আপদে ওরাই তো আগে এগিয়ে আসে ।
আপু অনেক লাকি তাহলে আপনার , এটা তো বলতেই হবে।