আসসালামু আলাইকুম

---

---

আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।

---

---

আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি ডাল ছাড়া পোলাওয়ের চাল দিয়ে ডিম খিচুড়ি রান্না করেছি। সব সময় তো ডাল দিয়ে রান্না করা হয় তাই হঠাৎ করে ভাবলাম যে বাসায় যদি কখনো ডাল না থাকে তাহলে কি খিচুড়ি রান্না করে খাওয়া যাবে কিনা। তাই ঝটপট এই রেসিপিটা করলাম খিচুড়ির ভিতরে যে ডাল দেওয়া হয়নি তা খাওয়ার সময় বোঝাই যায়নি। কালারটা দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন যে আমার আজকের খিচুড়িটা খেতে কতটা টেস্টি হয়েছিল ।আমার কাছে অনেক মজা লেগেছিল ।আপনারা চাইলে মাঝেমাঝে এভাবে ডাল ছাড়া খিচুড়ি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন। এখন আমি আমার এই মজাদার খিচুড়ি রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

প্রয়োজনীয় উপকরণ

পোলাও এর চাল―১কিলো
ডিম―৫পিছ
ঘি―৩টেবিল চামচ
আলু―৩পিছ
টমেটো―২পিছ
পেঁয়াজ―১.৫কাপ
মরিচ―৮পিছ
আদা বাটা―১.৫টেবিল চামচ
রসুন বাটা―১টেবিল চামচ
গরম মশলার গুঁড়া―১/২চা চামচ
গরম মশলা―৩,৪পিছ
জিরার গুঁড়া―১চা চামচ
মরিচের গুঁড়া―১চা চামচ
হলুদের গুঁড়া―১/২চা চামচ
লবন―পরিমাণমতো
সরিষার তেল―পরিমাণমতো

কার্যপ্রণালী

প্রথমে আমি আলু গুলো কেটে নিয়েছি এবং ডিম গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতরে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি। আমি আজকে খিচুড়িটা সরিষার তেল দিয়েই রান্না করেছি ।তারপরে তেল একটু গরম হয়ে আসলে তেলের ভিতরে কেটে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি। আলুগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

আলুগুলো হালকা বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতরে ডিম গুলো দিয়ে দিয়েছি। ডিম গুলো কিছু সময় আলুর সাথে ভেজে নিয়েছি। তারপরে আলু ও ডিম একটা বাটিতে তুলে রেখেছি। তারপর ওই তেলের ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো দিয়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি।

পেঁয়াজ মরিচ বাদামী করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভেতরে আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। একটু নাড়াচাড়া দিয়ে তার ভিতরে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ দিয়ে আরো কিছু সময় নেড়ে চেড়ে নিয়েছি। তারপর তার ভিতরে কেটে রাখা টমেটোগুলো দিয়ে দিয়েছি।

টমেটোগুলো দিয়ে তার সাথে হালকা একটু পানি দিয়ে মসলাটাকে খুব সুন্দর করে কষিয়ে নিয়েছি। মসলার কালারটা দেখেই আপনারা বুঝতে পারছেন যে মসলাটা কত সুন্দর করে কষানো হয়েছে। তারপর সেই মসলার ভিতরে ধুয়ে রাখা পোলাও এর চাল গুলো দিয়ে মসলার সাথে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।

চাল গুলোকে আমি একটু সময় নিয়ে ভেজে নিয়েছি ভাঁজতে ভাঁজতে যখন চালের কালারটা একেবারে পরিবর্তন হয়ে আসবে তখন চালের ভিতরে খিচুড়ি রান্না করার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি। একটু নাড়াচাড়া দিয়ে সেই সাথে আমি ভেজে রাখা আলুগুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ঢাকনা খোলার পরে দেখব যে পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে ।তখন উপর দিয়ে জিরার গুড়া ও গরম মসলার গুড়া ছিটিয়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।

যখন ঢাকনা খুলবো তখন দেখব যে পানিটা অনেকটাই শুকিয়ে গিয়েছে। তখন আমি কড়াইটা নিয়ে দমে বসিয়ে দিয়েছি ।তখন খিচুড়ির উপর দিয়ে ডিমগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং তিন টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু দিয়ে নেড়েচেড়ে ডিম গুলোকে খিচুড়ির নিচে ঢেকে আবার ঢাকনা দিয়ে কিছু সময়ের জন্য ঢেকে দিয়েছি চাল গুলো ভালোমতো ফুটে আসার জন্য।

ঢাকনা খোলার পর দেখবো যে আমার খিচুড়িটা সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এবং চালগুলো ফুটে কত সুন্দর দেখতে হয়েছে খিচুড়ি গুলা।তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

তারপর খিঁচুড়িটা আমি গরম গরম একটা প্লেটে ঢেলে পরিবেশন করেছিলাম। খেতে কিন্তু অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল যেমন দেখতে তেমন খেতে আপনারা চাইলে অবশ্যই এভাবে একবার ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন ডাল ছাড়া খিচুড়ি খেতে খুবই মজা।

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার	@tauhida
ডিভাইস	samsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

@tauhida