একটি রাতের দৃশ্য অংকন
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি আর্ট পোস্ট শেয়ার করব । নতুন নতুন আর্ট করতে সবসময় ভালো লাগে । কিন্তু করাই হয়ে ওঠে না । আজকে একেবারে আর্ট করার কোন ইচ্ছাই ছিল না । একটি আর্ট মাথায় রয়েছে তবে সেটি নিয়ে বসতে ইচ্ছা করছে না । কিন্তু ছেলে এমনভাবে ধরল না বসে পারলাম না । এদিকে ছেলের পরীক্ষা চলছে সময়ও পাচ্ছিনা । তারপরও দুজনে মিলে সন্ধ্যার একটু আগে আর্ট করতে বসলাম । ছেলে কিছুদূর আঁকার পরে উঠে চলে গেল যে তার আর করতে ভালো লাগছে না খেলতে ইচ্ছা করছে । ও খেলতে চলে গেলে তখন আমি কি আর করব একা একাই আমি আমার আর্ট শেষ করলাম । যেটি আমি করেছি সেটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
প্যাস্টাল রং
কালো রং পেন্সিল
মাস্কিং টেপ
বোর্ড
টিস্যু
কার্যপ্রণালী
প্রথমে একটি আর্ট পেপার নিয়েছি । তারপর মাস্কিং টেপ দিয়ে আর্ট পেপারের মাঝখানে ত্রিভুজ আকৃতির করে লাগিয়ে নিয়েছি । এরপর একেবারে নিচের থেকে সামান্য একটু উপরে হলুদ কালার রং দিয়ে রং করা শুরু করেছি । এরপর তার উপরে গ্রীন কালার রং দিয়েছি এবং তার ওপরে আকাশী কালারের রং দিয়েছি ।
এরপর আকাশী কালারের ওপরে ব্লু কালারের রঙ দিয়েছি তারপর তার উপরে ব্ল্যাক কালারের রং দিয়েছি এবং নিচের দিকে হালকা গ্রিন ও ডিপ গ্রীন কালারের রং দিয়ে রং করে নিয়েছি । এরপর টিস্যু পেপার দিয়ে ঘষে ঘষে রং গুলোকে একটার সাথে একটা সুন্দরভাবে মিশিয়ে নিয়েছি । তারপর একটা কাগজ গোল করে কেটে নিয়েছি চাঁদ আঁকার জন্য । এরপর রং করার উপরে কাগজটি বসিয়েছি । এরপর ওই গোলের মাঝখানে সাদা রঙ দিয়ে দিয়েছি ।
চাঁদ আঁকা হয়ে গেলে মাস্কিং টেপটা আস্তে করে খুলে নিয়েছি । এরপর কালো পেন্সিল দিয়ে লম্বা করে দাগ দিয়ে নিয়ে পাতার মতো দিয়ে গাছ আঁকতে শুরু করেছি ।
এরপর কালো পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে দাগিয়ে গাছগুলো সম্পন্ন এঁকে নিয়েছি এবং গাছের নিচ দিয়ে গাছের ছায়া দিয়েছি । তারপর সাদা রং দিয়ে তারা এঁকে নিয়েছি ও কলম দিয়ে পাখি এঁকে নিয়েছি । এরপর আঁকা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে ছবি তুলে নিয়েছি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপনার ছেলে বায়না ধরার কারণেই তো এত সুন্দর একটি আর্ট দেখতে পেলাম। আসলে বাচ্চাদের মন কখন যে কি চায় সেটা বলা যায় না। যাইহোক আপনার আজকের ড্রয়িং টি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। একটি ত্রিভুজের মধ্যে রাতের দৃশ্যটি খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। কালার কম্বিনেশন এবং গাছগুলো সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু।
আমার ছেলে তো সব সময় জল রঙ দিয়ে আঁকার জন্য বায়না করে এজন্য মাঝে মাঝে আমাকে বসতে হয় ।
আপনি এবং আপনার ছেলে দুজনে একসাথে বসে সব সময় আর্টগুলো করে থাকেন এই বিষয়টা আমার খুব ভালো লাগে। ছেলের পরীক্ষার জন্য যদিও আর্ট করার সময় পাচ্ছিলেন না, তবে রাতে বসেছিলেন এটা জেনে ভালো লেগেছে। আপনার ছেলে কিছুক্ষণ করার পরে উঠে গিয়েছিল, মনে হচ্ছে তার কাছে আর ভালো লাগছিল না আর্ট করতে। আপনি একা একা বসে অনেক সুন্দর করে রাতের দৃশ্যের একটা আর্ট করেছেন যেটা দারুন হয়েছে। পুরোটা কিন্তু অনেক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
দুজনে মিলে আর্ট করলে ভালো লাগে সময়টাও ভালো যায় এবং ওরও কিছু শেখা হয়।
রাতের দৃশ্যের চিত্রাংকনটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনি এবং আপনার ছেলে দুজনে মিলে এই আর্ট টি করেছেন, এটা জেনে বেশ অবাক হয়েছিলাম প্রথমে। আর্টের কিছু অংশ ছেলে করে যাওয়ার পর বাকি কাজটা আপনি করে দারুন একটা ফিনিশিং দিয়েছেন। আর্ট টি বেশ দারুণভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন যা দেখে ভালো লাগলো।
ও কিছু অংশ করে যায়নি ওরটা ও করেছিল আমারটা আমি করেছি ।
এই লেখাটা পড়ে ভাবলাম আপনারা দুজনেই হয়তো এই আর্ট টি করতে বসেছেন। আচ্ছা এইবার ব্যাপারটা বুঝলাম আপু।
খুবই সুন্দর ভাবে আপনি রাতের দৃশ্যটি তৈরি করে ফেলেছেন। এটি অনেক সুন্দর হয়েছে। এরকম সুন্দর দৃশ্যটি তৈরি করতে আপনি অনেক কষ্ট করেছেন যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে৷ সব সময় আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর দৃশ্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য
ধন্যবাদ৷ আজকের এই দৃশ্যটি অনেক সুন্দর হয়েছে যা বলে বোঝানো যাবে না৷
এ ধরনের দৃশ্যগুলো আঁকতে আসলেই অনেক কষ্ট হয় ।তবে আঁকার পর সুন্দর হলে কষ্টটা আর কষ্ট থাকে না ।
রাতের সৌন্দর্যময় চিত্রগুলো অসাধারণ লাগে আমার কাছে। আর রাতের এই সুন্দর দৃশ্য আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার চিত্রের মাধ্যমে। আপনার এই চিত্রটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এত সুন্দর ও দক্ষতার সাথে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার রাতের দৃশ্যটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
অবশেষে আপনার ছেলের জোরাজুরিতে আপনি অঙ্কন করায় বসেছিলেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো, এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনার ছেলে হয়তোবা একটু অঙ্কন করতে ভালোবাসে। যদিও আমার মত তার ধৈর্য কম হাহাহা। যাইহোক কিছুটা অংকন করে সে খেলতে চলে গিয়েছে আর আপনি দারুণ একটা অংকন করেছেন সেই মুহূর্তে দেখে ভালো লাগলো। গাছ এবং তারার দৃশ্যটা অসাধারণ ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি রাতের দৃশ্য অঙ্কন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধৈর্য কম না সে সবসময় শেষ করে যায় তবে আজকে খেলার প্রতি একটু নেশা বেশি ছিল এ কারণে চলে গিয়েছে ।
মা এবং ছেলে মিলে তাহলে তো খুব সুন্দর সুন্দর আর্ট করে থাকেন। তবে আজকে আপনার রাতের দৃশ্য অংকন অসাধারণ হয়েছে। ছোট বাচ্চারা হয়তো বা অনেক সময় খেলাধুলা করতে পছন্দ করে এই কারণে আর্টটি কিছু করে চলে গেল খেলাধুলা করার জন্য। পরে আপনি খুব চমৎকারভাবে আর্টি সম্পন্ন করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রাতের দৃশ্য আর্ট দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছে জন্য খেলাধুলার প্রতি বেশি আকর্ষণ ।
পেইন্টিং গুলো আলসেমির জন্য তৈরি করা হয় না। আর্ট করার সময় ছেলে ডিস্টার্ব করে না? যাইহোক খুব সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের চিত্রা অংকন করে ফেলেছেন। আর কালো অংশের দিকে সাদা ফোঁটা গুলো দেওয়া খুব সুন্দর হয়েছে ।
ও কখনো ডিস্টার্ব করে না ও নিজের মতো করে তাই জন্য দুজনে মিলে আঁকা হয় ।
ওয়াও অসাধারণ আপনি এবং আপনার ছেলে মিলে খুব সুন্দর রাতের দৃশ্য অংকন করেছেন। তবে আপনার আর্ট এর মধ্যে আপনার ছেলে হেল্প করে শুনে ভালো লাগলো। যদিও এই আর্ট কিছু করে খেলা করার জন্য আপনার ছেলে চলে গেল তারপর আর্টি আপনি সম্পূর্ণ করেছেন। তবে আপনার রাতের দৃশ্য অংকন অসাধারণ হয়েছে। এই ধরনের আর্ট গুলো করতে অনেক সময় লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে রাতের দৃশ্য আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ও একটা নিয়ে বসেছিল আমি একটা নিয়ে বসে ছিলাম যার যারটা সে সে করি । তবে আজকে ওরটা ও শেষ করেনি আমারটা আমি শেষ করেছি ।